ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

নাশকতার ৬ মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিন

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫৫ এএম
নাশকতার ৬ মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিন
মির্জা আব্বাস। ছবি : সংগৃহীত

নাশকতার অভিযোগে করা ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার এসব মামলায় সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জামিন পান তিনি। জামিন মঞ্জুর করে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।

মির্জা আব্বাসকে গত ১ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই দিন আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত পল্টন থানার পাঁচ মামলায় এবং ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত রমনা মডেল থানার চার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখান।

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি এসব মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো ও জামিন শুনানির জন্য আবেদন করা হয়। আদালতে মির্জা আব্বাসের জামিন শুনানি করেন জয়নাল আবেদীন, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

এমপি আনার হত্যা ৮ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:০৬ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:০৬ এএম
৮ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীমকে (আনার) খুনের উদ্দেশ্য অপহরণের অভিযোগে করা মামলার প্রতিবেদন আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এ আদেশ দেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতে দায়িত্বরত শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেন আদালত। এমপি আনারকে খুন করার উদ্দেশে অপহরণের অভিযোগে গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। মামলায় কয়েকজন আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। 

তারা হলেন, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু, শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ ও তানভীর ভুঁইয়া।

বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে আসামিদের জবানবন্দি প্রত্যাহারের ওপর শুনানি হয়। আসামি পক্ষে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীসহ কয়েকজন আইনজীবী শুনানি করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনগুলো নথিভুক্ত রাখার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে আসামিরা রিমান্ডে নির্যাতনের কারণে অসুস্থ জানিয়ে চিকিৎসার আবেদন করেন। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসার নির্দেশ দেন।

এদিকে আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সর্বশেষ গ্রেপ্তার দুই আসামি ফয়সালকে হৃদরোগের রোগী ও মোস্তাফিজকে কিডনি রোগীর ভুয়া কাগজপত্র, ভুয়া ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং বিভিন্ন ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ভারতের ভিসা করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। বৃহস্পতিবার তিনি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ভিসা হওয়ার পরে আক্তারুজ্জামান শাহীন ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে রেলযোগে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য। ভারতে গিয়ে তারা ১০ এপ্রিল কলকাতার সঞ্জিবা গার্ডেনসে প্রবেশ করেন। ১৩ মে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসা থেকে বেরিয়ে লাল গাড়িতে করে এমপি আনারকে সঞ্জিবা গার্ডেনসে নিয়ে আসেন ফয়সাল। এরপর শাহীনের পিএস পিন্টুর কাছে থেকে অচেতন করার জন্য ক্লোরোফর্ম ও চাপাতি নিয়ে আসার দায়িত্ব পালন করেন মোস্তাফিজ, ফয়সাল ও জিহাদ। এ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত মোট সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছে।’ 

ডিবি প্রধান বলেন, ‘সাতজনের মধ্যে ছয়জনই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া আরও যাদের নাম এসেছে তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। শিগগিরই তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সর্বশেষ দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর আদালত তাদের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেই রিমান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল জানান, আক্তারুজ্জামান শাহীন তাদেরকে ভারতে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টের ব্যবস্থা করে দেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ড শেষে যখন সবাই চলে যান তখন সর্বশেষ মোস্তাফিজ ও ফয়সাল সঞ্জিবা গার্ডেনসের ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন। সেখানেও শাহীনের সঙ্গে কথা হয় তাদের। শাহীন তাদের নির্দেশ দেন, ফ্ল্যাটটিতে যেন কোনো চুল এবং রক্তের দাগ না থাকে, সবকিছু গুছিয়ে ঠিকঠাকভাবে রাখতে বলা হয় তাদের।’ 

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আনার হত্যাকাণ্ডের ঘাতক আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া যখন ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হন তখন শাহীনের দেওয়া ৩০ হাজার টাকা নিয়ে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল বিভিন্ন জায়গা আত্মগোপন করেন। এরপর তারা পরিকল্পনা করেন দুর্গম পাহাড়ে কোনো মন্দিরে গিয়ে হিন্দু সেজে সেখানে লুকিয়ে থাকবেন।’

 

সাজার মামলায় ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জামিন ড. ইউনূসের

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:২২ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:২২ এএম
সাজার মামলায় ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জামিন ড. ইউনূসের
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ চারজনকে আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। তাদের করা আপিলের শুনানিতে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) হাজির হয়ে তারা স্থায়ী জামিন চান। আদালত শুনানি মুলতুবি করে ১৪ আগস্ট পরবর্তী শুনানি ধার্য করেন এবং ওই সময় পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল। 

এ সময় আদালতে ড. ইউনূসসহ সাজাপ্রাপ্তরা উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে ড. ইউনূসের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ১ জানুয়ারি এক রায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন শ্রম আদালত। রায়ের পরই আপিল করার শর্তে তাদেরকে ১ মাসের জামিন দেওয়া হয়। এরপর রায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৮ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। শুনানি নিয়ে নতুন করে জামিন দিয়ে শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন ট্রাইব্যুনাল।

সাজা স্থগিতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর। ৫ ফেব্রুয়ারি আবেদনের শুনানি নিয়ে ড. ইউনূসের সাজা স্থগিতের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সাজা স্থগিতের আদেশ কেন বাতিল হবে না, মর্মে রুল জারি করেন। পরে রুলের শুনানি শেষে গত ১৮ মার্চ ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা ও দণ্ড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের আদেশ বাতিল করেন হাইকোর্ট। ফলে ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা চলমান থাকবে বলে রায়ে বলা হয়। পরে গত বুধবার রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করা হয়। রায়ে বলা হয়, সাজা স্থগিতের কোনো বিধান নেই। জামিন দেওয়া হলে সাজা স্থগিতের আলাদা আদেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। 

এদিকে গত ১৬ এপ্রিল ধার্যদিনে ড. ইউনূসসহ সাজাপ্রাপ্তদের ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২৩ মে ধার্যদিনে ৪ জুলাই পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়।

সাবেক পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
সাবেক পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

চট্টগ্রামের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সাবেক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আবুল হাশেম (৬১) এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক মুসাব্বির আহমেদ দাবি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

আবুল হাশেমের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার দেওয়ানপুর এলাকার গুড়ামিয়া সেক্রেটারি বাড়িতে। বর্তমানে নগরের পলিটেকনিক্যাল কলেজ রোড রূপসী হাউজিং বসবাস করছেন। 

মামলা বিরণিতে জানা যায়, তিনি দুদকের হিসাব বিবরণিতে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ২৯৪ টাকার সম্পদ গোপন করেন। এ সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

তার স্ত্রী মিসেস তাহেরিনা বেগম এর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করার সুপারিশ করে দুদক। 

দুদক প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখেন যে, আসামি মো. আবুল হাশেম দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবরসহ মোট ১ কোটি ২০ লাখ ২৬ হাজার ৮৩০ ঘোষণা দেন । 

মো. আবুল হাশেম ১৯৮৮ সনে এস আই পদে চাকুরিতে যোগদান করেন। তিনি গত অক্টোবর, ২০২২ সালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে চাকুরি থেকে অবসর নিয়েছেন। তিনি ১৯৮৮-৮৯ অর্থ বছর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থ বছর (সম্পদ বিবরণী দাখিল) পর্যন্ত বেতন ভাতাদি ও তার প্রবাসী ভাই থেকে উপহার বাবদ রেমিট্যান্স, গৃহ সম্পত্তি থেকে আয়, ব্যাংক সুদ ও অন্যান্য আয় বাবদ সর্বমোট ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩৫৬ টাকা আয় করেছেন। ট্যাক্স ফাইলের তথ্য পর্যালোচনায় তার মোট গ্রহণযোগ্য দায় ৩১ লাখ ৮ হাজার ৩৪১ টাকা।

এদিকে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর (সম্পদ বিবরণী দাখিল) পর্যন্ত আবুল হাশেম এর নামে দায় বাদে মোট ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৪৮৯ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় এবং একই সময়ে তিনি ১৭ লাখ ১৯ হাজার ১৬১ টাকার পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় করেছেন। 

কিন্তু কোটি টাকা তিনি কীভাবে অর্জন করেছেন তার বিবরণ দেয়নি। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যেও তিনি তথ্য গোপন করেছেন বলেন দুদক কর্মকর্তারা জানান। 

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত খবরে কাগজকে বলেন, সাবেক সহকারি পুলিশ সুপার মো. আবুল হাশেম অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি স্থাবর অস্থাবর সম্পদ বিবরণীতে সম্পদ গোপন করেছেন। ফলে তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে।

ড. ইউনূসসহ ৪ জনের সাজা বহাল, আপিল দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:১০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
ড. ইউনূসসহ ৪ জনের সাজা বহাল, আপিল দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের সাজা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

মামলার বাদী কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের আবেদন নিষ্পত্তি করে দেওয়া রায়ে এই নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৩ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চের পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

এ রায়ের ফলে ড. ইউনূসসহ সংশ্লিষ্টদের সাজা বহাল রয়েছে। তবে তারা জামিনে থাকায় সাজা ভোগ করতে হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে তিনি এই রায় হাতে পাননি।

তিনি বলেন, ‘১৮ মার্চ রায় ঘোষণার দিন রায়ের কপি চেয়ে আবেদন করা হলেও আজ বুধবার পর্যন্ত কপি পাওয়া যায়নি। হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট শাখায় যোগাযোগ করা হলে তারা আবেদনটি পাননি বলে জানিয়েছেন।’ মামলার বাদীপক্ষ কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে এ মামলার শুনানি নির্ধারিত আছে। আমরা আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত। সবকিছু প্রকাশ্য দিবালোকেই হচ্ছে। যেখানেই ইউনূস, সেখানেই কলকারখানা প্রতিষ্ঠান। আইনি লড়াইয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ 

বুধবার প্রকাশিত ৫০ পৃষ্ঠার রায়ে পাঁচ দফা পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে ড. ইউনূসসহ সংশ্লিষ্ট চারজনের সাজা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে আপিলটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সাজা স্থগিত করার কোনো বিধান নেই। জামিন দেওয়া হলে সাজা স্থগিতের আলাদা আদেশের প্রয়োজন নেই। আপিলের নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত জরিমানা আদায় স্থগিত থাকবে। এই রায়ের নির্দেশনাসহ প্রয়োজনীয় সব আদেশ-নির্দেশ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ বইতে লিপিবদ্ধ রাখতে হবে। 

গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ের পরই আরেক আদেশে আপিল করার শর্তে ইউনূসসহ আসামিদের এক মাসের জামিন দেওয়া হয়। রায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৮ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। শুনানি নিয়ে নতুন করে জামিন দিয়ে শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন ট্রাইব্যুনাল।

সাজা স্থগিতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর। ৫ ফেব্রুয়ারি আবেদনের শুনানি নিয়ে ড. ইউনূসের সাজা স্থগিতের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সাজা স্থগিতের আদেশ কেন বাতিল হবে না মর্মে রুল জারি করেন। পরে রুলের শুনানি শেষে গত ১৮ মার্চ ড. ইউনূসের ছয় মাসের সাজা ও দণ্ড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের আদেশ বাতিল করেন হাইকোর্ট। ফলে ড. ইউনূসের ছয় মাসের সাজা চলমান থাকবে বলে রায়ে বলা হয়।

ট্রাইব্যুনালে আজ হাজিরা: শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে ড. ইউনূসসহ চারজনের করা আপিলের শুনানি নির্ধারিত আছে আজ বৃহস্পতিবার। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া জামিনের মেয়াদও শেষ হচ্ছে আজ। ফলে তিনি বৃহস্পতিবার হাজির হয়ে জামিন চাইবেন বলে তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন।

বহাল থাকল মুক্তিযোদ্ধা কোটা

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৪ এএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
বহাল থাকল মুক্তিযোদ্ধা কোটা
হাইকোর্ট

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে সরকারি চাকরিতে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রইল। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালতের রায় বহাল রাখেন।

এর আগে গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্য কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। 

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। 

এই রায়ের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা হয়। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। 

এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিলও করে রাষ্ট্রপক্ষ।

অমিয়/