![আসলেন বাবর, জিতল রংপুর](uploads/2024/01/23/1706023209.rangpurkk.jpg)
চোখের সমস্যায় রংপুর রাইডার্স শিবিরে নেই সাকিব আল হাসান। তার অনুপস্থিতিতে দলটির বড় তারকা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম। সোমবার রাতে রংপুরে যোগ দেওয়া বাবর হয়ে ওঠেন দলটির জয়ের নায়ক। সিলেট স্ট্রাইকার্সকে দ্বিতীয় হারের স্বাদ দিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। তার ৫৬ রানে ভর করে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় রংপুর। দুই ম্যাচে রংপুরের এটি ছিল প্রথম জয়। সমান ম্যাচে সিলেটের ছিল দ্বিতীয় হার।
লো-স্কোরিং ম্যাচে দুই দলের হয়েই ব্যাট হাতে রানের দেখা পেয়েছেন চার বিদেশি। সিলেটের হয়ে বেনি হাওয়েল ও বেন কাটিং এবং রংপুরের হয়ে বাবর আজম ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। বেনি হাওয়েল ও বেন কাটিংয়ের ৩৭ রানের ইনিংস সিলেটের রানকে ১০০ পার করতে বড় ভূমিকা রাখে। আর বাবর আজমের অপরাজিত ৫৬ ও আজমতউল্লাহর অপরাজিত ৪৭ রান রংপুরের জয়ে রাখে বড় ভূমিকা। এই চারজনই রানের দেখা পেতে গিয়ে একটি জায়গায় দারুণভাবে মিলে গিয়েছিল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেট একপর্যায়ে ৩৯ রানে হারিয়েছিল ৫ উইকেট। ওভার খেলেছিল ৮.২টি। দুজনে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৯.২ ওভারে ৬৮ রান যোগ করলে দলের শতরান ছাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ১২০-এ গিয়ে ঠেকে। দুজনেই আউট হন ৩৭ রান করে। দুজনকেই আউট করেন রিপন মণ্ডল। হাওয়েলের ক্যাচ ধরেন ব্রান্ডন কিং আর কাটিংয়ের ক্যাচ যায় রনি তালুকদারের হাতে। রংপুরের বোলারদের তোপে পড়ে সিলেটের এই দুই ব্যাটার ছাড়া শুধু ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত দুই অঙ্কের ঘরে গিয়ে ১৩ রান করতে পেরেছিলেন। শেখ মাহেদি ১৮ ও রিপন মণ্ডল ১৯ রানে ২টি করে উইকেট।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মাত্র ১২০ রান তাড়া করতে নেমে রংপুর সিলেটের চেয়েও বড় বিপদে পড়ে। তারা ৩৯ রানে হারায় ৬ উইকেট। ওভার খেলেছিল ৭টি। এই রানে সিলেটের উইকেট পড়েছিল একটি কম। কিন্তু ওভার খেলেছিল ১.২টি বেশি। এই সময় হার দেখছিল রংপুর। কিন্তু ক্রাইস্টচার্চ থেকে উড়ে এসেই ইনিংসের উদ্বোধন করতে নামা বাবর আজম ভাবছিলেন তখন অন্য হিসাব। আফগানিস্তানের আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গে নিয়ে দাঁড়িয়ে যান। পরে আর কোনো উইকেটেরই পতন হতে দেননি। করেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। একেবারে দলকে জয়ী করে মাঠ ছাড়ের দুজনে। জুটিতে তারা অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রান যোগ করেন ১১.২ ওভারে। ৪৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে বাবর আজম অপরাজিত থাকেন ৫৬ রানে। তার ৪৯ বলের ইনিংসে ছিলে ৬টি চারের মার। আজমতউল্লাহ ৩৫ বলে ২টি করে চার ও ছয় মেরে ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে জিতে নেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। সিলেটের দুসান হেমন্ত ২০ রানে নেন ৩ উইকটে।
এমএ/