ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

গ্যালারি যেন বিরানভূমি

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪১ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৯ এএম
গ্যালারি যেন বিরানভূমি
ছবি : সংগৃহীত

সিলেটে ফিরছে বিপিএল। এমন আবহে পুরো শহরজুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ। বিপিএলের সিলেট পর্ব শুরুর দিন গ্যালারিজুড়ে উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু দর্শকদের সেদিন হতাশ হতে হয় স্বাগতিক দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের পরাজয়ে। গত মঙ্গলবার সিলেট জিতবে এমন আশায় মাঠে এসেছিলেন অনেক দর্শক। এবারও হতাশায় পোড়ে তারা। কারণ সিলেট স্ট্রাইকার্স পায়নি তাদের কাঙ্ক্ষিত জয়। টানা পঞ্চম হারে সিলেটের এমন ব্যর্থতায় দর্শকের আগ্রহ কমেছে। গ্যালারি পরিণত হয় বিরানভূমিতে।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটার জাকির হাসান বিশ্বাস করেন, সিলেট পারফর্ম করলে বাড়বে দর্শকের পুরোনো ওই স্রোত। তার কথায়, ‘গতবার পারফর্ম করেছি দেখেই দর্শকরা এসেছে। এখানে প্রথম ম্যাচে এসেছিল। এবার ডে ম্যাচ বলে হয়ত কম এসেছে। আমরা পারফর্ম করলে আবার দর্শকরা আসবে।’

চা বাগান ঘেরা সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আসতে মূল সড়ক থেকে পেরুতে হয় অনেকটা পথ। সিলেটে ম্যাচ হলে ওই রাস্তায় দর্শকদের উপস্থিতিতে হেঁটে পাড়ি দেওয়া হয়ে ওঠে কঠিনতম কাজ। বিপিএলের সিলেট পর্বের প্রথম দিনেও কষ্ট হয়েছিল সবারই। তবে পরের দিন থেকে বদলে গেছে চিত্র। দর্শকের ভিড় না থাকায় হেঁটে আসা যায় অনেকটা নির্বিঘ্নে। এমন চিত্র স্পষ্ট করে দেয়, সিলেটের স্থানীয় দর্শকরা বিপিএল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তাদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার একমাত্র কারণ- সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যর্থতা।

স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা দর্শকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিপিএলে সিলেট ভালো না করায় মাঠে বসে খেলা দেখার আগ্রহ কম। তারা আরও জানান, সিলেট ভালো খেললে দর্শকে সরগরম হয়ে উঠবে লাক্কাতুরার গ্যালারি। তবে কী শুধু সিলেটের টানা হার দর্শক চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে? এটাকে একমাত্র কারণ হিসেবে দাঁড় করানোটাও ভুল হবে।

মাঠে উপস্থিত দর্শকদের বেশির ভাগের অভিযোগ, টিকিট কাউন্টার নয়, তারা কালোবাজারিদের কাছ থেকে টিকিট কিনেছেন। বিপিএলের টিকিট কাউন্টারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় শুধুমাত্র ৮০০ ও ২৫০০ টাকা দামের ছাড়া আর কোনো টিকিট নেই। অথচ বাইরে কালোবাজারে ২০০ ও ৪০০ টাকা দামের টিকিট বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। দর্শকের অভিযোগ, কালোবাজারিদের কাছ থেকে বাড়তি দামে টিকিট ক্রয় করায় বেশির ভাগই মাঠে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। যারা কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে পেরেছেন তাদের অভিযোগ দাম নিয়ে। তাদের মতে, বিপিএলের এবারের আসরে টিকিটের দাম অনেক বেশি। এমন কী আন্তর্জাতিক ম্যাচের চেয়ে বিপিএলের টিকিটের দাম বেশি। এটাকেও দর্শকদের অনুপস্থিতির অন্যতম কারণ বলে জানান মাঠে আসা সমর্থকরা।

মাঠে দর্শক উপস্থিতি কম থাকলেও সিলেটের বিখ্যাত গ্রিন গ্যালারিতে অবশ্য বেশি দর্শক পাওয়া যায়। রাতের ম্যাচে ক্ষেত্র বিশেষে থাকে না তিল ধারণের ঠাঁই। গ্রিন গ্যালারিতে উপস্থিত কয়েকজন দর্শকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা এখানে বসে খেলা উপভোগ করতেই এসেছেন। বিদেশের মতো খোলা মাঠে বসে খেলা উপভোগ করার ইচ্ছা থেকে এখানে এসেছেন। তারা জানান, টিকিটের দাম কমানো ও কালোবাজারি ঠেকানো সম্ভব হলে দর্শক চাহিদা ফের ফিরে আসবে সিলেটে। এমন কী তিল ধারণের জায়গা থাকবে না বলে বিশ্বাস তাদের।

গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতি কমের বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যায় টিকিট কাউন্টারে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সামনের বুথ কিংবা রিকাবিবাজার জেলা স্টেডিয়ামে টিকিট বিক্রির বুথের সামনে নেই কোনো লাইন। নির্বিঘ্নে টিকিট কিনতে পারছেন দর্শকরা। তবে ২০০ কিংবা ৪০০ নয়, সেখানে বেশির ভাগ সময় বিক্রি হয় ৮০০ ও ২৫০০ টাকা দামের টিকিট। দর্শক খরার এই সময়েও ২০০ ও ৪০০ টাকার টিকিট কালোবাজারিদের কাছ থেকে কিনে মাঠে ঢুকতে হয় দর্শকদের। সিলেটের কাঙ্ক্ষিত জয় ও কালোবাজারি বন্ধ হলে তবেই সিলেটের গ্যালারি দর্শকে কানায় কানায় পূর্ণ হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

খেলতে খেলতেই চলে গেলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
খেলতে খেলতেই চলে গেলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া
গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ারউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ারউর রহমান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শুক্রবার (৫ জুলাই) জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালে খেলতে খেলতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।

সংবাদমাধ্যমকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশে দাবা ফেডারেশনের ইন্টারন্যাশনাল জাজ হারুনুর রশিদ।

মৃত্যুকালে জিয়াউর রহমানের বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। ২০০২ সালে দাবার গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন জিয়া। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার।

বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সিরিজের সূচি প্রকাশ

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম
বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সিরিজের সূচি প্রকাশ
ফাইল ছবি

আগামী ২১ আগস্ট থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরু হবে বাংলাদেশ দলের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে হবে সিরিজের দুই টেস্ট।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে বাংলাদেশ সিরিজের সূচি প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সূচি অনুযায়ী সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে আগামী ২১ আগস্ট। রাওয়ালপিন্ডিতে হবে প্রথম টেস্ট।

দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু করাচি। এই ভেন্যুতে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী ৩০ আগস্ট। 

এই সিরিজকে সামনে রেখে আগামী ১৭ আগস্ট পাকিস্তানে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের।

পার্থ/সালমান/

হামবুর্গে বদলা না পুনরাবৃত্তি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
হামবুর্গে বদলা না পুনরাবৃত্তি
অনুশীলনে ফ্রান্সের অলিভার জিরুদ ও ক্রিশ্চিয়ানে রোনালদো

১৯৭৮ থেকে ২০১৫, দীর্ঘ এই সময়ে টানা ১০ ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে হেরেছিল পর্তুগাল। সেই খরা পর্তুগাল কাটায় ২০১৬ সালে, ইউরোর ফাইনালে (১-০)। ফরাসিদের হারিয়ে রোনালদোরা জেতে পরম আরাধ্যের প্রথম ইউরো শিরোপা। এরপর দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ইউরোর সবশেষ আসরে। গ্রুপ পর্বের সেই লড়াইটি ছিল অমীমাংসিত (২-২)। সেই লড়াইয়ের চার বছর পর ফ্রান্স ও পর্তুগাল আবার মুখোমুখি। এবার কোয়ার্টার ফাইনালের মঞ্চ। সেমিতে যাওয়ার লড়াইয়ে আজ হামবুর্গে মুখোমুখি দুই সাবেক চ্যাম্পিয়ন। ফ্রান্সের সামনে ২০১৬ ফাইনাল হারের শোধ তোলার উপলক্ষ। পর্তুগালের চোখ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর প্রথম সেমিতে পা রাখা। হামবুর্গে কী হবে শুক্রবার (৫ জুলাই) , ফরাসিদের বদলা নাকি পর্তুগিজদের পুনরাবৃত্তি?

লড়াইটা শুক্রবার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বনাম কিলিয়ান এমবাপ্পেরও। যদিও সময়ের দুই তারকা ফুটবলার এখনো নামের সুবিচার করতে পারেনি। এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে একটি গোল পেলেও রোনালদোর হিসেবটা শূন্য। দুই ঘুমন্ত দৈত্য আজ জেগে উঠতে চাইবে প্রাণপণ, তা অনুমেয়।

হেড টু হেড কিংবা সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স- সব দিক থেকেই এগিয়ে থাকছে ফ্রান্স। ২৮ বারের মোকাবিলায় ফ্রান্সের জয় ১৯টি। সেখানে পর্তুগালের জয় ৬টি। ড্র হয়েছে তিন ম্যাচ। ২০১৬ ইউরো ফাইনালে ফ্রান্সকে হারানোর পর আর জয় পায়নি পর্তুগাল। তিনবারের দেখায় হার দুটি, ড্র একটি। 

ইউরো ফুটবলে ফ্রান্স দুবারের চ্যাম্পিয়ন (১৯৮৪ ও ২০০০)। ২০১৬-তে ফাইনালে উঠলেও শিরোপা থেকেছে অস্পর্শ। গত আসরে দলটি বিদায় নেয় শেষ ষোলো থেকে। এবার কতদূর যাবে ফ্রান্স, তা সময়ই বলে দেবে। যদিও চলতি টুর্নামেন্টে ফ্রান্স অজেয়। কিন্তু নামের সঙ্গে পারফরম্যান্সের ব্যাপক তফাত দলটির। গ্রুপ পর্বে এক জয় ও দুই ড্রয়ের পর শেষ ষোলোয় বেলজিয়ামকে দিদিয়ে দেশমের দল হারায় ১-০ গোলে। গোলটি ছিল প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী।

অন্যদিকে পর্তুগাল শেষ দুই ম্যাচে গোলহীন, শেষ ষোলোর বৈতরণী দলটি পার হয়েছে টাইব্রেকারে স্লোভেনিয়াকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে। যেখানে পেনাল্টি মিসের পর কেঁদেছিলেন রোনালদো। গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তার অবিশ্বাস্য বীরত্বে শেষ আটে নাম লেখায় পর্তুগিজরা। 

তারপরও ফ্রান্সের বিপক্ষে লড়তে প্রস্তুত পর্তুগাল। দলটির হেড কোচ রবার্তো মার্তিনেজ বলেন, ‘আমাদের পূর্ণ মনোযোগ কোয়ার্টারের ম্যাচে এবং প্রস্তুত ফ্রান্সের জন্য। তারা খুব শক্তিশালী, তবে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে মরিয়া আমরা।’ অন্যদিকে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশমের চোখ সেমিতে।

তিনি বলেন, ‘এখনো আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি। অথচ দল হিসেবে আমাদের আরও ভালো কিছু করা উচিত। সবাই ক্ষুধার্ত সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।’

ইউরোর চলতি আসরে সবচেয়ে বেশি শট নিয়েছেন রোনালদো (২০টি)। কম যাননি এমবাপ্পেও (১৫টি)। কিন্তু চেষ্টার সমান্তরালে মেলেনি ফল। এবার হামবুর্গের লড়াইয়ে ফরাসি দুর্গের পতন ঘটাতে পর্তুগাল তাকিয়ে থাকবে রোনালদোর দিকে। ফরাসিরা সওয়ার হতে চাইবে এমবাপ্পের কাঁধে। শেষ হাসি কে হাসবেন, তা সময়ই বলে দেবে। 

ফাইনালের আগে ‘ফাইনাল’

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৭ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
ফাইনালের আগে ‘ফাইনাল’
স্পেনের লামিনে ইয়ামেল ও অনুশীলনে জার্মানি শিবির

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সবচেয়ে সফল দুটি দল জার্মানি ও স্পেন। তিনবার করে মহাদেশীয় এই ফুটবল আসরে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরেছে দুই দল। এবার চতুর্থ শিরোপায় চোখ রেখেই এগোচ্ছিল তারা। তবে শেষ আটেই দুই দলের একটিকে থামতে হচ্ছে। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়েই যে মুখোমুখি সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

স্টুটগার্টে শুক্রবার (৫ জুলাই) প্রতিযোগিতার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক জার্মানি ও স্পেন। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির জন্য ইউরো কাপ এখন এক হাহাকারের নাম। ১৯৯৬ সালের পর আর এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি দলটি। ঘরের মাঠে আয়োজিত এবারের আসরে এখন পর্যন্ত শিরোপার দীর্ঘ খরা কাটানোর মিশনে দুর্দান্তই দলটি। ওদিকে সবশেষ ২০১২ সালে ইউরো জেতা স্পেন অনেকদিন পর যেন নিজেদের স্বকীয় ফুটবল শৈলী দেখাতে পারছে। এক কথায় যাকে বলে নান্দনিক ফুটবল।

দে লা ফুয়েন্তের স্পেন এবারের ইউরো মিশন শুরু করে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে। পরের ম্যাচেই তারা ইতালিকে হারায় ১-০ গোলে। এরপর আলবেনিয়াকে একই ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপসেরা হিসেবে শেষ ষোলোতে ওঠে। স্পেনই এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে শতভাগ জয় পাওয়া একমাত্র দল। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে জর্জিয়াকে তো কোনো পাত্তাই দেয়নি দলটি। প্রথমে গোল হজম করলেও তুলে নেয় ৪-১ গোলের দাপুটে এক জয়।

ইউলিয়ান নাগেলসমানের জার্মানিও সাম্প্রতিক অতীতের বিবর্ণতা ঘুচিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকেই এগোচ্ছিল দারুণ ছন্দে। স্বাগতিক হওয়ায় এবারের ইউরোয় তাদের প্রতি সমর্থকদের প্রত্যাশা বেশি। এখন পর্যন্ত প্রত্যাশার প্রতিদান দারুণভাবেই দিয়েছে তারা। স্কটল্যান্ডকে ৫-১ গোলে গুঁড়িয়ে আসর শুরুর পর হাঙ্গেরিকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে দলটি। বলতে গেলে হারতে হারতে ম্যাচটা ড্র করে। শেষ ষোলোয় বিপজ্জনক দল ডেনমার্ককে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের জায়গা করে নেয় তারা।

এখন তাদের সামলাতে হবে স্পেন চ্যালেঞ্জ। মুখোমুখি লড়াইয়ে যদিও দুই দল প্রায় সমানে সমান। এখন পর্যন্ত ২৬ বারের দেখায় ৯টিতে জিতেছে জার্মানি, ৮টিতে স্পেন, বাকি ৯ ম্যাচ ড্র হয়েছে। কিন্তু ১৯৮৮ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের পর বড় প্রতিযোগিতায় আর স্পেনের বিপক্ষে জয় পায়নি জার্মানি। সেবার গ্রুপ পর্বের দেখায় ২-০ গোলে জিতেছিল জার্মানি। এরপর ইউরো, বিশ্বকাপ ও নেশন্স লিগ মিলিয়ে ছয়বারের দেখায় কোনোবারই জার্মানি জয় পায়নি। হয় ম্যাচ ড্র হয়েছে, না হয় স্পেন জিতেছে। 

সবশেষ এই দুই দল মুখোমুখি হয় কাতার বিশ্বকাপে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছিল। এর দুই বছর আগে নেশন্স লিগে জার্মানিকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল স্পেন। সবমিলিয়ে স্পেনের বিপক্ষে পাওয়া জার্মানির জয়টাও সেই ১০ বছর আগের, ২০১০ সালে প্রীতি ম্যাচে। টনি ক্রুসের শেষ মুহূর্তের গোলে স্পেনের মাঠে ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছিল জার্মানি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আজ জার্মানি কি হাসতে পারবে? নাকি স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে নিজেদের দুর্দান্ত যাত্রা অব্যাহত রাখবে স্পেন?

টি-২০ বিশ্বকাপ অনলাইন কুইজ পুরস্কার ‘খবরের কাগজ সবার কথা বলে’

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১১:৩২ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১১:৪১ এএম
‘খবরের কাগজ সবার কথা বলে’
কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের সঙ্গে খবরের কাগজের সম্পাদক মোস্তফা কামাল

খবরের কাগজ সবার কথা বলে নিরপেক্ষভাবে। সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে দলমত নির্বিশেষে সব ধরনের পাঠকদের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দৈনিক খবরের কাগজের সম্পাদক মোস্তফা কামাল রাজধানীর বাংলামোটরে খবরের কাগজ মিলনায়তনে লিলি গ্ল্যাম বিউটি সোপ-খবরের কাগজ টি-২০ বিশ্বকাপ অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন খবরের কাগজ সম্পাদক। দুই দফায় ৩৩ জন বিজয়ী এই পুরস্কার পেয়েছেন। 

তিনি বলেন, খবরের কাগজের বয়স এক বছরেরও কম। অল্প সময়ের মধ্যে খবরের কাগজ পাঠকের মধ্যে একটি অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছে। পাঠকদের আস্থার পত্রিকা হতে চায় খবরের কাগজ। পত্রিকার বয়স এক বছর না হলেও বিশ্বকাপ ক্রিকেট সামনে রেখে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপ-সম্পাদক এনাম আবেদীন, উপ-সম্পাদক ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন, প্রধান বার্তা সম্পাদক খালেদ ফারুকী, কপি এডিটর কবি হাসান হাফিজ, চিফ রিপোর্টার তৌফিক মারুফ, জিএম (মার্কেটিং) মাসুদুর রহমান, মানবসম্পদ ও প্রশাসন প্রধান মিন্টু ভূষণ রায়, সার্কুলেশন প্রধান মাসুদ কবির পাভেল, আইটি হেড প্রিন্স মাহমুদ অর্ণব, ডিজিটাল প্রধান কাজী গোলাম রাব্বানী, ব্র্যান্ড ও ইভেন্ট প্রধান আতিয়া সুলতানা এবং রিমার্ক এইচবি লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী (মিডিয়া এবং কমিউনিকেশন) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বার্তা সম্পাদক খালেদ ফারুকী বলেন, ‘আজ একটি আনন্দের দিন। কুইজে অংশ নিয়ে কয়েক লাখ পাঠকের মধ্যে থেকে যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন।’ সামনের দিনগুলোতে খবরের কাগজ আরও নানা ধরনের কুইজের আয়োজন করবে বলে তিনি জানান।

চিফ রিপোর্টার তৌফিক মারুফ বলেন, ‘যেকোনো অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন নতুন নয়। তবে আমরা চাই আপনারা খবরের সঙ্গে থাকুন। খবরের কাগজের কুইজে অংশগ্রহণ করুন এবং আপনাদের বন্ধু বা প্রিয়জনদের মধ্যে খবরের কাগজের কথা পৌঁছে দিন।’ পাঠকদের সঙ্গে নিয়ে খবরের কাগজ সামনে এগিয়ে যেতে চায় বলে তিনি জানান।

পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে ফেনীর নাজমুন নাহার, জারিন আঞ্জুম, মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, ঢাকার মারিয়া খান, কেশবপুর, যশোরের নাহিদ হাসান, ডেমরা, ঢাকার তামান্না হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাবিবা আক্তার ইমা, মতলব, চাঁদপুরের আরিফুল ইসলাম সোহাগ, ধানমন্ডি ২, ঢাকার সাদিয়া ফারহা, বাগাতিপাড়া, নাটোরের তাবাসসুম তামান্না, এ কে খান, চট্টগ্রামের এ জে বাপ্পী, শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. আসিক আলী, আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গার মো. সোহেল রানা, মালিবাগ রেলগেট, ঢাকার মাইনুল ইসলাম, রামপুরা বনশ্রী, ঢাকার রাহিমা আক্তার, কাকরাইল, ঢাকার ফারিয়া মোস্তফা, কাজীপাড়া, ঢাকার জাহিন ফাবিহা, সিনিয়র অফিসার, আইটি, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড সদরঘাট মো. আরিফুল ইসলাম, বাগাতিপাড়া উপজেলা, নাটোরের কৌশিক আহম্মেদ, উত্তরা ব্যাংক, নড়াইলের রুবিনা খাতুন, উত্তর বাড্ডা, ঢাকার মো. রাজন, আজিমপুর, ঢাকার ফারহানা আক্তার লিমা, রেল বন্দর, নারায়ণগঞ্জের মো. রাসেল খান উপস্থিত ছিলেন।