![জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ, মা-ছেলে দগ্ধ](uploads/2023/12/02/1701511148.Untitled.jpg)
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে মা-ছেলে দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর নিতাইগঞ্জের মোল্লাপাড়া এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- সীমা বেগম (৫০) ও তার ছেলে রোমান হোসেন (২৫)। সীমা বেগম গৃহিণী ও তার ছেলে রোমান স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধ সীমা বেগমের শরীরের ৬০ শতাংশ ও ছেলে রোমানের ১৪ শতাংশ পুড়ে গেছে। সীমার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি রাখা হয়েছে। আর রোমানকে অবজারভেশন কক্ষে রাখা হয়েছে।
দগ্ধের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, মোল্লাপাড়া এলাকায় তিনতলা ওই বাসার একটি ফ্ল্যাটে সীমা তার ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। শুক্রবার রাতে বাসায় লাইন থেকে গ্যাস বের হওয়ার গন্ধ পান তারা। তবে বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে দুজনই ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে সীমা রান্না করতে রান্নাঘরে গিয়ে দিয়াশলাই জ্বালাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রুমে আগুন ধরে যায় এবং সীমা ও তার ছেলে রোমান ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় দগ্ধ হন। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ আগুনে পুড়ে যায়। এ সময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে আগুন নেভায়। পরে তাদের নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠায়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে রুমে গ্যাস জমাট বেঁধে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর রুমে আগুন ধরলেও তা ছড়ায়নি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলে। দগ্ধ মা-ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিল্লাল/সালমান/