বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফি বিন মর্তুজার নাম ব্যবহার করে নড়াইল পৌরসভার ধোপাখোলা এলাকায় বাড়িঘর দখল ও ভাঙচুরের অভিযোগে মোহাম্মদ উল্লাহ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৭ জুন) রাতে মাশরাফির পক্ষে সদর থানায় দখলদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নড়াইল সদরের ধোপাখোলা এলাকার নাছিমা বেগমের সঙ্গে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের কর্মচারী ও বর্তমান ভওয়াখালী এলাকার মোহাম্মদ উল্লাহর জমি নিয়ে বিরোধ চলমান। আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও মোহাম্মদ উল্লাহ কিছুদিন আগে তার লোকজন নিয়ে ওই জমিতে থাকা ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে দখল করেন। এতে নাছিমা বেগমসহ তার পরিবারের লোকেরা বাধা দিলে মোহাম্মদ উল্লাহ ও তার লোকজন নিজেদের মাশরাফির লোক বলে পরিচয় দেন।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ‘মাশরাফির পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত লোকজন’ এমন খবর প্রকাশ করে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেল। এরপরই বিষয়টি নজরে আসে মাশরাফির।
মাশরাফির ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বলেন, জমি দখল কিংবা কোনো অপকর্মের সঙ্গে কখনোই হুইপ মাশরাফি জড়িত নন। দুই পক্ষের জমি নিয়ে বিবাদে আদালতে মামলা চলছে।
এ মামলা নিয়ে মাশরাফির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। তবে মাশরাফির নাম ব্যবহার করে একটি পক্ষ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন জাহিদুল ইসলাম।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। এ ঘটনায় মাশরাফির নাম ব্যবহার করে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। অতীতেও বিভিন্নভাবে বিতর্কিত করতে তার নাম অহেতুক টেনে আনা হয়েছে।’
এটি মাশরাফির বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন তিনি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম শনিবার খবরের কাগজকে বলেন, মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শরিফুল ইসলাম/পপি/অমিয়/