![ইবিতে অল্প বৃষ্টিতেই ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা](uploads/2024/07/02/1700285908.islami-university-1719891573.jpg)
আষাঢ় মাস। স্বাভাবিক নিয়মে এ মাসে বৃষ্টির দেখা মেলে। তবে মাসজুড়েই এবার আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা গেছে। প্রচণ্ড তাপমাত্রায় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে জনজীবন। এর মধ্যেই এক পশলা বৃষ্টির দেখা মিলেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)। এতে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিবিলাস করলেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে ক্যাম্পাসজুড়ে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগান, সাদ্দাম হোসেন হলের পার্শ্ববর্তী জায়গা, জিয়াউর রহমান হল ও জিয়া মোড়ের মধ্যবর্তী জায়গা, টিএসসিসির সামনে এবং অনুষদ ভবনের প্রাঙ্গণে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ফলে রাস্তায় চলাচলে সমস্যাসহ মশার উৎপাতে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের আশঙ্কা কাজ করছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
ক্যাম্পাসে ড্রেনেজব্যবস্থা রয়েছে। তবে সেগুলোও ঝোপঝাড় ও আবর্জনায় ভরে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশনও হচ্ছে না ভালোভাবে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঠিক পরিচর্যার ঘাটতি রয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমি জিয়া হলের ডাইনিংয়ে প্রায় সময় খেতে যাই। কিন্তু বৃষ্টি হলেই জিয়া মোড় থেকে জিয়া হল পর্যন্ত যাওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ ওই জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে থাকে। এতে রাস্তা কাদা হয়ে যায় এবং আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখছি না।’
আল ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে যাওয়ায় মশার উৎপাত বাড়ছে, মাঝেমধ্যে সাপের আনাগোনাও দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড়সংলগ্ন জায়গায় পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ড্রেনগুলোতে ঝোপঝাড় ও ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর হওয়ায় পানি নিষ্কাশনও হয় না। এ ছাড়া ময়লা-আবর্জনা ফেলার মতো কোনো ডাস্টবিনও নেই। কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেটপ্রধান শামসুল ইসলাম জোহা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার তেমন জানা নেই। জলাবদ্ধতা যদি আবর্জনা বা ঝোপঝাড়ের কারণে হয়ে থাকে, তাহলে বিষয়টি আমি দেখব এবং সরেজমিনে দেখার জন্য লোক পাঠাব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) এ কে এম শরীফ উদ্দীন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শিগগিরই সমাধান করার চেষ্টা করব। বিশেষ করে জিয়া হল থেকে জিয়া মোড়ের এই রাস্তাটি ঠিক করে দেব।’