ঢাকা ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

এমপি আনার হত্যাকাণ্ড সিয়ামকে হাতে পেল কলকাতা পুলিশ

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪, ০৩:০০ এএম
আপডেট: ০৬ জুন ২০২৪, ০৩:০০ এএম
সিয়ামকে হাতে পেল কলকাতা পুলিশ
ছবি : সংগৃহীত

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সিয়ামকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে নেপাল প্রশাসন। বুধবার (৫ জুন) পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। পাশাপাশি সিয়াম এবং আক্তারুজ্জামান শাহীন কাঠমান্ডুর যেসব হোটেলে ছিলেন, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে।
 
এদিকে এমপি আনার ও শিলাস্তির কথোপকথনের সম্পূর্ণ রেকর্ডিং হাতে পেয়েছে কলকাতা পুলিশ ও সিআইডি নিয়ে গঠিত বিশেষ তদন্ত দল। ঢাকার গোয়েন্দা বিভাগ ডিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। একই সঙ্গে সব প্রশাসনিক জটিলতা কাটিয়ে সিয়ামকে দ্রুত কলকাতায় আনার চেষ্টাও চলছে।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, এমপি আনারকে খুনের পর তার মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তাও নেপালে আত্মগোপন করে থাকা এই সিয়ামই পাঠিয়েছিল। আরও একটি অত্যন্ত তৎপর্যপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে তদন্তে। 

এদিকে চলতি বছরেই এমপি আনারের সঙ্গে আরও এক নারী ভারতে এসেছিলেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সেই নারীর সঙ্গে শিলাস্তির মেসেজ আদান-প্রদানের কিছু নির্দিষ্ট প্রমাণ গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। সেই সূত্র ধরেই দ্বিতীয় সেই নারীকেও চিহ্নিত করে হেফাজতে নেওয়ার জন্য ঢাকার ডিবির কাছে আরজি জানানো হয়েছে কলকাতার তরফ থেকে।

অন্যদিকে ভারতের কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলা খালে আনোয়ারুল আজীমের দেহাবশেষ ফেলার ব্যাপারে সিআইডিকে প্রথম তথ্য দিয়েছিল ঘাতকদের ভাড়া করা ক্যাবচালক। সেই মতো তল্লাশি শুরু করে সিআইডি। সেই তল্লাশি প্রক্রিয়ায় অংশ নেন ঢাকা থেকে আসা ডিবি কর্মকর্তারাও। কিন্তু কসাই জিহাদের বিভ্রান্তিকর তথ্যের ওপর ভরসা করে লাগাতার তল্লাশিতে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি এমপি আনারের মাথার খুলি কিংবা হাড়ের খণ্ডিত অংশ। সেখানে গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে নৌবাহিনীর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তল্লাশি। ভারতীয় নৌসেনার তিনজনের একটি প্রতিনিধিদল এবং সিআইডির একটি দল ওই খালে তল্লাশি চালাচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত কিছু মেলেনি।

কাজাকিস্তানের নাগরিক হত্যায় বেলারুশ নাগরিকের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
কাজাকিস্তানের নাগরিক হত্যায় বেলারুশ নাগরিকের যাবজ্জীবন
ছবি: খবরের কাগজ

পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে কর্মরত কাজাকিস্তানের এক নাগরিককে হত্যার ঘটনায় এক বেলারুশ নাগরিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ না হওয়ায় দুই বেলারুশ নাগরিককে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে পাবনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ট্রেস্ট রোসেমের কর্মকর্তা মাতাভিয়েভ ভ্লাদিমির (৪৩)। 

এই মামলা থেকে উরবানোভিচাস ভিটালি এবং ফেডারোভিচ গেনেডি নামে অপর দুই বেলারুশ নাগরিক খালাস পেয়েছেন। 

রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৬ মার্চ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বিদেশিদের আবাসিক এলাকা নতুনহাট গ্রিন সিটি আবাসিক এলাকার একটি ভবন থেকে সেভেত্স ভ্লাদিমির নামের এক কাজাকিস্তান নাগরিকের রক্তাক্ত মরদেহ এবং তার ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় তিন বেলারুশ নাগরিককে দায়ী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিকিমত কোম্পানির পরিচালক ভেদোরোভ ইউরি। তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৭ মে তিন বেলারুশ নাগরিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ খান রতন এবং আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মুকুল বিশ্বাস ও হেদায়েত উল ইসলাম। 

এ ছাড়াও দোভাষী হিসেবে বাদীপক্ষে এস এম আরিফ আলম এবং আসামির পক্ষে কে এম মুরাদুজ্জামানন সহযোগিতা করেন।

পার্থ হাসান/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

দুই মেডিকেল শিক্ষার্থীর যৌন ব্যবসা, ৭ বছরে আয় শতকোটি

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
দুই মেডিকেল শিক্ষার্থীর যৌন ব্যবসা, ৭ বছরে আয় শতকোটি
ছবি : সংগৃহীত

বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থী ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে উঠতি বয়সী তরুণীদের ফাঁদে ফেলে গত সাত বছরে হাতিয়ে নিয়েছেন শতকোটি টাকা। 

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অতিরিক্ত আইজিপি জানান, গ্রেপ্তাররা হলেন মেহেদী হাসান (২৫), তার খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন (২৬), মো. জাহিদ হাসান কাঁকন (২৮), তানভীর আহমেদ ওরফে দীপ্ত (২৬), সৈয়দ হাসিবুর রহমান (২৭), শাদাত আল মুইজ (২৯), সুস্মিতা আক্তার ওরফে পপি (২৭) ও নায়না ইসলাম (২৪)।

এ চক্রের নেতৃত্ব দিতেন মেহেদী হাসান ও জাহিদ বিন সুজন। তারা আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি, ট্যালেন্ট হান্ট ও মডেলিংয়ের নামে বিজ্ঞাপন দিতেন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে কৌশলে তোলা হতো নগ্ন ছবি। এরপর শুরু হতো ব্ল্যাকমেইল। শুধু তা-ই নয়, ফাঁদে পড়া মেয়েদের ভিডিও কলে নগ্ন হওয়া এবং যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হতো। সেগুলোর ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে যৌন ব্যবসা চালাতেন এই দুই ভাই। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতো, তেমনি তাদের ভিডিও টেলিগ্রাম গ্রুপে শেয়ার করে সেখানে থাকা লাখো দেশি-বিদেশি সাবস্ক্রাইবারের কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হতো। এভাবে চক্রটি গত সাত বছরে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় শতকোটি টাকা। 

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর চক্রটিকে শনাক্ত করে এর প্রধানসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করার কাজে ব্যবহৃত ১২টি মোবাইল ফোন, ২০টি সিম কার্ড, ১টি ল্যাপটপ এবং আয়ের টাকা লেনদেনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও চেক বই জব্দ করা হয়েছে।

অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘চক্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া নামে ফেসবুক আইডি ও পেজ খুলে ফ্রিল্যান্সিং কাজ, লোভনীয় চাকরি, মডেল বানানো, মেধা অন্বেষণের নামে অল্প বয়সী তরুণীদের কাছ থেকে কৌশলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নেয়। এরপর ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে জোরপূর্বক তাদের দেহ ব্যবসায় নামানোর ভয়ংকর কার্যক্রম চালায়। চক্রটি মূলত উঠতি বয়সী তরুণীসহ যেসব তরুণী পারিবারিক ভাঙনের শিকার এবং আর্থিকভাবে সমস্যা রয়েছে তাদের টার্গেট করে। কাজের সুযোগ দেওয়ার নামে প্রথমে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়। এরপর বিজ্ঞাপনে সুযোগ দেওয়ার কথা বলে আপত্তিকর ছবি নেয়। প্রাথমিকভাবে কাজে আগ্রহী তরুণীদের চাহিদামতো টাকা ও প্রয়োজন মেটায় তারা। এরপর ধীরে ধীরে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করে।’

তিনি জানান, এই চক্রের প্রধান মেহেদী হাসান টঙ্গীর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী।  খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন মিলে এই চক্রটি গড়ে তোলেন। জাহিদ কল্যাণপুর ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তারা দুজন আরও কিছু সহযোগী নিয়ে তরুণীদের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরি করতেন এবং সেগুলো টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দিতেন। 

এসব অনৈতিক কাজের মাধ্যমে গত সাত বছরে চক্রটি প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে দাবি করে অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘এই টাকা দিয়ে তারা যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা এবং ঢাকায় বিপুল পরিমাণ জমি ক্রয় ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। তাদের আত্মীয়স্বজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও বিপুল অর্থ জমিয়ে রাখার তথ্য মিলেছে।’

সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে চক্রটির নিয়ন্ত্রণে ১০টি টেলিগ্রাম গ্রুপের সন্ধান মিলেছে। এসব টেলিগ্রাম গ্রুপে দেশি-বিদেশি গ্রাহকের সংখ্যা তিন লাখের বেশি। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে গ্রাহকরা ওই গ্রুপগুলোতে যুক্ত থাকেন। অর্থ লেনদেনের জন্য চক্রটি ব্যবহার করত মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস। এ ছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সিতেও তাদের হাজার হাজার ডলার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। চক্রটি তরুণীদের সঙ্গে ভিডিও কলের সবকিছু গোপনে ধারণ করে রাখত। এরপর তাদের বাধ্য করা হতো যৌন সম্পর্ক স্থাপনে। এভাবেই চক্রটির হাতে আধুনিক যৌনদাসীতে পরিণত হন শত শত তরুণী।

এমপি আনার হত্যা : খাগড়াছড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৫:২০ পিএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
এমপি আনার হত্যা : খাগড়াছড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ২
ছবি : সংগৃহীত

হেলিকপ্টার দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির আভিযানিক দল।

বুধবার (২৬ জুন) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন ফয়সাল ও মোস্তাফিজুর। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, এমপি আনার খুন হওয়ার আগে গত ২ মে কলকাতায় যান মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল। পরে ১৯ মে দেশে ফিরে আসেন তারা। তারা দুজনই খুলনার ফুলতলার বাসিন্দা। হত্যার মাস্টারমাইন্ড শিমুল ভূঁইয়ার বাড়িও একই এলাকায়।

ডিবির তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই দুই আসামির কাছে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের অনেক তথ্য-উপাত্ত রয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। 

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৩ মে তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে ট্রলিব্যাগে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় ভারত ও বাংলাদেশে ৬ জন গ্রেপ্তার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন। হত্যা নিশ্চিত হওয়ার ৩ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এমপি আনারের মরদেহের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এদিকে মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যার দিকে সঞ্জিভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এগুলো আনারের মরদেহের টুকরো কি-না, সেটা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

সালমান/

কারাগারের ছাদ ফুটো করে ৪ ফাঁসির আসামির পলায়ন, পরে আটক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ১১:৪৪ এএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
কারাগারের ছাদ ফুটো করে ৪ ফাঁসির আসামির পলায়ন, পরে আটক
ছবি : সংগৃহীত

বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালিয়েছিলেন। তবে পালানোর পরপরই তাদের আটক করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে। 

পালিয়ে যাওয়ার পর আটকরা হলেন- কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু ওরফে মঞ্জু (৬০), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি গ্রামের আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৪১), বগুড়ার কাহালু উপজেলার উলট্ট গ্রামের জাকারিয়া (৩৪) এবং বগুড়া সদরের কুটিরবাড়ি গ্রামের ফরিদ শেখ (৩০)।

বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন কারাগারের ডেপুটি জেলার ফারুক হোসেন। 

এ ঘটনার পর বুধবার (২৬ জুন) সকালে জেলখানা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।

পরে পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে এই চার আসামি ছাদ ফুটো করে বের হয়। এরপর তারা বিছানার চাদর ব্যবহার করে দেয়াল টপকে বাইরে বের হয়। খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম শহরে তল্লাশি করে ভোর ৪টা ১০ মিনিটে শহরের চেলোপাড়া চাষি বাজার থেকে চারজনকেই আটক করতে সক্ষম হয়।

তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার পরপরই জেলা কারাগার থেকে পাঠানো ছবি দেখে আটকদের শনাক্ত করা হয়। পরে তাদের ডিবি কার্যালয়ে আনা হলে কারা কর্তৃপক্ষ চারজনকে শনাক্ত করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, কারাগার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, তারা চারজন একই সঙ্গে একটি কক্ষে অবস্থান করত। তারা পরিকল্পিতভাবে ছাদ ফুটো করে পরিধেয় বস্ত্র এবং বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানিয়ে দেয়াল টপকে পালিয়ে করতোয়া নদীর পার হয়ে পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

অমিয়/

এমপি আনার হত্যা : আ.লীগ নেতা বাবু ঝিনাইদহ কারাগারে

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
এমপি আনার হত্যা : আ.লীগ নেতা বাবু ঝিনাইদহ কারাগারে
কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবু

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার আসামি কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ কারাগারে আনা হয়েছে। বাবু জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক। 

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে করে কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে আনা হয়।

কারাগারের জেলার মহিউদ্দিন হায়দার এ খবর নিশ্চিত করেন। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবুকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা আসামি গ্যাস বাবুকে গ্রহণ করে কারাগারে পাঠিয়েছি।’ 

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবুকে নিয়ে ঝিনাইদহে অভিযানের আদেশ দেন। পাশাপাশি বাবুর ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধারে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনার আদেশ দেওয়া হয়। আদেশ মোতাবেক মঙ্গলবার বিকেলে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ কারাগারে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাবাদে গ্যাস বাবু জানিয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু তার কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে আলামত নষ্টের জন্য দুটি পুকুরে ফেলে দেন। তাকে সঙ্গে নিয়ে সেই পুকুর দুটিতে অচিরেই অভিযানে নামবে ডিবি।