![জামিন পেলেন ববি](uploads/2024/07/03/bom-1719990879.jpg)
কদিন ধরেই মিডিয়াতে চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববিকে নিয়ে চর্চা হচ্ছে। কারণ তার বিরুদ্ধে চুরি ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করার অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা হয়েছে। ববিও পাল্টা মামলা করেছেন। এবার ববি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।
গত ২৫ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। গত সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা শুনানি শেষে ২ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাকিব উদ্দোজা ওয়াই এন সেন্টারে এজিএম পদে প্রায় ২ মাস ধরে কর্মরত আছেন। ওই ভবনের ৭ম তলায় ভুবান নামীয় রেস্তোরাঁটি আবুল বাশার ও ববি প্রায় দুই মাস ধরে জোর করে দখল করার চেষ্টা করছেন। রেস্তোরাঁর মালিক তাদের বারবার রেস্তোরাঁ ছেড়ে দিতে বললেও তারা কর্ণপাত করেননি। পরে মালিক গত ২৩ জুন সেখানে নতুন তালা লাগিয়ে দেন। সেদিন দুপুর ১টার দিকে ভবনের মেইন গেট আটকানো ছিল এবং পকেট গেটে সিকিউরিটি বসা ছিল।
সিকিউরিটি গার্ড গেট খুলে দেওয়ার আগেই আবুল বাশার গাড়ি দিয়ে মেইন গেট ভেঙে প্রবেশ করেন। এতে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ সময় সাকিবের অফিস কলিগ বাধা দিলে আবুল বাশার তাকেও গাড়ি দিয়ে চাপা দিতে যান। তখন তিনি সরে গেলে গাড়ি থেকে নেমে তাকে মারধর করেন আবুল বাশার। সাকিব বাধা দিলে নায়িকা ববি ও আবুল বাশার উত্তেজিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করেন এবং তার পকেটে থাকা ১ লাখ টাকা নিয়ে নেন। জানা গেছে, ববি ও মির্জা আবুল বাশার যৌথভাবে গুলশানের ওয়াই এন সেন্টারে একটি রেস্তোরাঁ কেনেন। ওই রেস্তোরাঁটি নায়িকা তার নামে নামকরণ করেন ‘ববস্টার’।
তবে চিত্রনায়িকা ববি ১ জুলাই একটি সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ববি জানান, রেস্তোরাঁ ব্যবসায় নেমে প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। ববি বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারিতে বেইলি রোডে আগুন লাগার পর এই ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই ভবনে থাকা রেস্তোরাঁ বাঁচাতে না পারার ভয়ে বিক্রেতারা সেটি বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়ার ফাঁদ পাতেন। সেই ফাঁদে আমাদের ফেলা হয়েছে।’ এদিকে এ ঘটনায় ববি ও বাশারও পাল্টা মামলা করেছেন। ববির পক্ষ হয়ে মো. আব্বাস মামলা করেন। ভবনের মালিক শাহিনা ইয়াসমিন, তার সন্তান জাওয়ান আল মামুনসহ ৭ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনের নামে মামলা করেন।
কলি