প্রার্থীর দ্বারা প্রভাবিত হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইসাহাক আলী এবং সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিব হোসেনকে বদলির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই আসনে গত উপনির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সব কর্মকর্তাকে আসন্ন সংসদ নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৩ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা বুবলি রিট আবেদনটি করেন। তিনি সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মেয়ে।
রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ওই আসনে গত উপনির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সব প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদেরও নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে। সেই কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং ফুলছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের দৃশ্য দেখে ঢাকা থেকে মাঝপথে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি।
বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে অনিয়মের কারণে কোনো সংসদীয় আসনের নির্বাচন পুরোপুরি বন্ধ করার ঘটনা সেটিই প্রথম। গাইবান্ধায় অনিয়মে জড়িতদের চিহ্নিত করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পুলিশের উপপরিদর্শক, নির্বাহী হাকিমসহ শতাধিক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচনি এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় ইসি। পরে ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি সেখানে নতুন করে ভোট হয় এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হোসেন রিপন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রিপন এবারও গাইবান্ধা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী।