ঢাকা ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

কনডেম সেলে রাখা নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
কনডেম সেলে রাখা নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ
হাইকোর্ট

মৃত্যুদণ্ডের আদেশ চূড়ান্ত হওয়ার পর অর্থাৎ ফাঁঁসির আসামির প্রাণভিক্ষা নাকচ হলেই কেবল তাকে কনডেম সেলে বন্দী রাখা যাবে, হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করবে রাষ্ট্রপক্ষ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে এ সংক্রান্ত রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। 

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির আদালতের রায়ের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। 

তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনের উচ্চ আদালতে আপিল শুনানির পূর্বে কনডেম সেলে বন্দি রাখার বিষয়ে ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হয়েছিল। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে উচ্চ আদালত রুল ও নির্দেশনা দেয়। মৃত্যুদণ্ডের সাজা চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বে কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন অবৈধ হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি কতজন নারী ও পুরুষ কনডেম সেলে বন্দি আছেন তার একটি তালিকা আদালতে দাখিল করতে আইজি প্রিজনের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।

অ্যাডভোকেট শিশির মনির জানান, ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়, ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বলা যাবে না এবং কনডেম সেলে বন্দি রাখা যাবে না। রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে আসামির হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে মামলা নিষ্পত্তি, প্রশাসনিক অন্যান্য কার্যক্রম ও রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থণার পরই মৃত্যুদণ্ডের রায় চূড়ান্ত হয়। এরপর নির্জন কক্ষে বন্দী রাখা যাবে।

অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, রায়ে বলা হয়েছে বিশেষ বিবেচনায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তির সংক্রামকজনিত সমস্যা বা অন্য কোনো বিশেষ কারণে তার শুনানি নিয়ে তাকে নির্জন কক্ষে আটক রাখা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। 

রায়ে বলা হয়েছে, অন্যান্য মামলায় যেরূপ হাইকোর্ট বিভাগে আপিল ও জামিন শুনানি হয়, শুনানি শেষে আদেশ হয়, তেমনি মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যাক্তি আপিলের পাশাপাশি জামিনের আবেদন করতে পারবেন। উপযুক্ত আদালত তার জামিন আবেদন বিবেচনা করতে পারবেন। 

রায়ে দেশের জেল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতের বিষয়ে তথ্য অধিকার আইনে কোনো তথ্য চাইলে তা যেন দেওয়া হয়। একই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত মামলার তথ্য সুপ্রিম কোর্ট ওয়েবসাইটে পরিবেশন করার জন্যও আদেশ দেওয়া হয়েছে।

অ্যাডভোকেট শিশির মনির জানান, মামলাটির শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, কারা আইন নতুন করে প্রণয়ন করা হচ্ছে। আজ রায়ে আদালত বলেন, রায়ের ফাইন্ডিংস ও পর্যবেক্ষণ নতুন আইনটিতে সংযুক্ত করতে যেন বিবেচনা করা হয়। 

রায়ে বলা হয়, আগামী দুই বছরের মধ্যে কনডেম সেলে আটকদের সাধারণ কয়েদিদের সাথে রাখা নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

পরে আজ আপিল আবেদন করার সিদ্ধান্তের কথা আজ জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

রিট আবেদনকারীরা হলেন- চট্রগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। সূত্র: বাসস

অমিয়/

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি কারাগারে

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৭ পিএম
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি কারাগারে
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক এক মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আন্দোলনের মধ্যে গুলিতে গার্মেন্টসকর্মী আশরাফুল ইসলামকে হত্যার অভিযোগে আশুলিয়া থানায় করা মামলায় বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এই আদেশ দেন আদালত।

রিমান্ড শেষে এদিন তাকে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ঢাকার অতিরিক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মহিউদ্দিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গার্মেন্টসকর্মী আশরাফুল ইসলাম আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় গুলিতে নিহত হন। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই নাছির উদ্দিন আশুলিয়া থানায় এ মামলা করেন। 

মাহমুদুল আলম/এমএ/

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় আরও হত্যা মামলা

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৪ পিএম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় আরও হত্যা মামলা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর ফুলবাড়িয়া এলাকায় এক রিকশাচালককে গুলি করে হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে। 

রিকশাচালক মনিরুজ্জামান মনিরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) শেখ হাসিনাসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। 

নিহতের বোন নিলুফার ইয়াসমিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে এ মামলা করেন। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে শাহবাগ থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—আওয়ামী লীগ আমলের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ।

নিলুফার ইয়াসমিনের আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর ফুলবাড়িয়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন মনিরুজ্জামান মনির। তাকে ঢাকা মেডিকেল  কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় এ মামলা করা হয়।

মাহমুদুল আলম/এমএ/

স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড

স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় লুৎফুর রহমান (৪০) নামে এক যুবককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেনের আদালত এ রায় দেন।

মামলা নথি থেকে জানা যায়, শারজাহ থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর একটি ফ্ল্যাইটে আসেন কক্সবাজার মহেশখালীর লুৎফর রহমান। পরে তার কাছে থাকা খেলনা গাড়ির ভেতর থেকে ১ হাজার ৪০৬ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ২৪ ক্যারেটের এ স্বর্ণের মূল্য ৬০ লাখ টাকা। 

এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলা করে।  

মহানগর দায়রা জজ আদালতের কর্মকর্তা দীপেন দাশগুপ্ত জানান, ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি লুৎফুর রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের সময় আসামি অনুপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সিলেটে অটোচালক হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
সিলেটে অটোচালক হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ছবি : সংগৃহীত

সিলেটে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক হযরত আলীকে (৩৫) হত্যার দায়ে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিনে এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাউয়ের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম (৩৩), শান্তিগঞ্জ উপজেলার তাইকাপন গ্রামের সুমন আহমদ (২৯) এবং একই উপজেলার বরুমপুর গ্রামের শিপু মিয়া (২৯), জাকারিয়া ওরফে মুন্না (৩০) ও মো. রুহুল আমিন (৩০)।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আবদুস সাত্তার। 

তিনি জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি জামিনে ছিলেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখে তারা আদালতে হাজির হননি। ওই দিন থেকে তারা পলাতক রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১০ বছর পর এই রায় হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৭ আগস্ট রাত ৮টার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলির অটোরিকশা স্ট্যান্ড থেকে পাঁচ যুবক বিয়ানীবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে হযরত আলীর সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ভাড়ায় নেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিয়ানীবাজারের শিকপুর-বিয়ানীবাজার সড়কের পুরুষপাল এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীরা হযরত আলীকে থামান। এ সময়
তারা হযরত আলীকে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে তাদের আটক করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হযরত আলীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

পরদিন ১৮ আগস্ট নিহতের ছোট ভাই মো. শুকুর আলী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে বিয়ানীবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৪ নভেম্বর আদালতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত এ রায় দেন।

সালমান/

সাবেক আইনমন্ত্রী আরেক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৯ পিএম
সাবেক আইনমন্ত্রী আরেক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক আরেক মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় আল আমিন হোসেনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় এই আদেশ দেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আন্দোলনকেন্দ্রিক অন্যান্য মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে নতুন এই মামলা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আহসান হাবীব।

আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে ৫ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় আনন্দ মিছিল বের করেন ছাত্র-জনতা। এ সময় বাড্ডা থানার পাশে ফুলকলি মিষ্টির দোকানের সামনে আওয়ামী লীগের এলোপাতাড়ি হামলা ও গুলিতে মারা যান আল আমিন হোসেন। 

নিহতের মা এ ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

মাহমুদুল আলম/অমিয়/