![শাহ আমানতে ৮ ধরনের দুর্নীতি](uploads/2024/03/24/1711251247.sha-amanat-airport.jpg)
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিভিন্ন শাখার অনিয়ম-দুর্নীতি বারবার আলোচনায় এসেছে গত কয়েক বছর ধরে। অনিয়ম-দুর্নীতি এতটাই বেড়েছিল যে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত গড়ায়। গত ১৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিভিন্ন বিভাগ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ওই নির্দেশনার সঙ্গে যুক্ত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানবন্দরটিতে কর্তব্যরত বিভিন্ন সংস্থার কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এই অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। তারা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক) শাখা, বেবিচক এস্টেট শাখা, বেবিচক ইএম শাখা, বেবিচক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা, আনসার, কাস্টম, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, এপিবিএন, পুলিশ ফাঁড়ি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইনসে কর্মরত। তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিস্তারিত উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিএ-১ অধিশাখা চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের এসব অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ২৩ নভেম্বর বেবিচককে নির্দেশ দেয়।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম-দুর্নীতির পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়ে, অ্যাপ্রোনসহ পুরো বিমানবন্দর এলাকা থেকে বেবিচকের যেকোনো গাড়ি বের হওয়ার সময় এপিবিএন ও আনসার বাহিনী কর্তৃক নিয়মিত তল্লাশি করা, যেকোনো মেশিনারিজ (সচল/অচল) বের করে নেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট শাখাপ্রধানের প্রত্যয়নপত্র বা এনওসি প্রদান ব্যবস্থা চালু করা, ইএম শাখার চুরি ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে ইএম শাখার নষ্ট যন্ত্রপাতির হিসাব রাখা, নষ্ট যন্ত্রপাতি একটি আলাদা স্টোরে সংরক্ষণ করা, বিমানবন্দরের যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত জনবল নিয়মিত পরিবর্তনের মাধ্যমে কার্যক্রম চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, বিমানবন্দর ও বিমান কর্তৃপক্ষকে নিয়ে অনেক আগে থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও কার্যকর কিছু হচ্ছে না। তার কারণ, যারা এর জন্য দায়ী তাদেরই বলা হচ্ছে প্রতিকার বা প্রতিরোধের পদক্ষেপ নিতে। যেহেতু সর্বনিম্ন থেকে সরর্বাচ্চ পর্যায় পর্যন্ত এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, ফলে বিভাগীয় পর্যায় থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এটা ঠিক আছে। নিয়ম রক্ষার্থে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এর বাইরেও একটি নিরপেক্ষ তদন্ত করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের সহায়তা নেওয়া যায়। তবে সেখানেও শর্ত থাকবে যে যদি কোনো দুর্নীতি প্রমাণিত হয়, তাহলে আইনের চোখে সবাইকে সমান নজরে দেখে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে এটিকে কাজে লাগানো উচিত। বেবিচক বা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তো দায় আছেই। কিন্তু তারা কতটুকু কী করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ যিনি অভিযুক্ত, তিনিই যদি বিচারক হন তাহলে কতখানি বিচার হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। তাই এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানকে দিয়েও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো তিন পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন, তাদের কারণে বিমানবন্দরের সার্বিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি বিমানবন্দরের যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। বেবিচক সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের মূল স্টেকহোল্ডার হলো বেবিচক। বিমানবন্দরের বেশির ভাগ কাজ সম্পন্ন করেন বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারাই অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।
প্রতিবেদনে বেবিচক অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক) শাখার দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ভৌত নিরাপত্তা নিশ্চিতে অ্যাভসেক শাখার নিজস্ব সিকিউরিটি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে অ্যাভসেক শাখার সদস্যরা বিমানবন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীদের কাছ থেকে বকশিশের নামে টাকা নেওয়া, স্বর্ণ ও ইয়াবা চোরাচালান, হুন্ডি পাচার, বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের কর্ণধার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রটোকল দেওয়ার নামে অর্থ আদায়সহ নানা রকম অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত হয়ে পড়েছেন। অ্যাভসেক শাখার সহকারী পরিচালক মো. নজরুল ইসলামের প্রশ্রয়ে এসব অনিয়ম করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
বেবিচকের এস্টেট শাখার দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের এস্টেট শাখার সাবেক শাখাপ্রধান মো. মশিউর রহমানের দায়িত্বকালীন এই শাখায় সাতটি ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি করা হয়েছে। বিমানবন্দর টার্মিনালের কোনো স্পেসের ইজারা নিতে বা নবায়ন করতে ঘুষ নেওয়া, ইজারাপ্রাপ্তদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায়, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর নির্মাণকালে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে বরাদ্দ করা প্লটের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় ঘুষ বাণিজ্য, রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায়, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় আর্থিক সুবিধা গ্রহণের মতো অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন মশিউর রহমান। তাকে ঢাকা বিমানবন্দরে বদলি করা হলেও তার সহযোগীরা এখনো একই কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া এস্টেট শাখার বর্তমান সহকারী পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল বিভিন্নভাবে ঘুষ নিচ্ছেন।
বেবিচক ইএম শাখার দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ইএম শাখা চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণ করে। ইএম শাখার সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আজিম উদ্দীন এবং মো. আশরাফুল হোসেন শাহিন শাখার কাজে টেন্ডারে কাজ পাওয়া যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত ঘুষ নেন। এ ছাড়া এই শাখার মেকানিকস দেবপ্রিয় সিংহ, সহকারী মেকানিকস মো. ইউনুস, ওয়্যারম্যান মো. আবদুল কাদের, হেলপার মো. ফিরোজ, অফিস সহায়ক ওসমানের সহায়তায় এ শাখায় অনিয়ম-দুর্নীতির সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছে।
বেবিচক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী আবদুল আলিম বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। তিনি বিমানবন্দরে যেকোনো উন্নয়ন কাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নেন।
আনসারের দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর টার্মিনালের আগমন/বহির্গমনের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অন্তত ২০০ আনসার সদস্য নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত। বর্তমানে এরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেয়ে অনিয়ম-দুর্নীতিতে বেশি জড়িত। যাত্রীদের কাছ থেকে বকশিশ আদায় করেন তারা। কোনো কোনো সময় বিমানবন্দরের ড্রাইভওয়েতে প্রবেশের জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করা হয়। এসব বকশিশের টাকার অংশ শাখার ইনচার্জও পেয়ে থাকেন।
কাস্টম এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বর্তমানে কাস্টম সদস্যরা অবৈধ স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েছেন। কাস্টমের কয়েকজন সদস্য চোরাচালানিদের মালামাল বিমানবন্দর থেকে বিনা ট্যাক্সে বের করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়তি টাকা আদায় করছেন।
এপিবিএনের দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এপিবিএনের সদস্যরা বিমানবন্দর ও সংলগ্ন এলাকায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছেন। একজন ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে স্বর্ণ চোরাচালানকারীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া যাত্রীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের মূল্যবান মালামাল আত্মসাৎ করা হয়। এসব ঘটনায় অভিযুক্ত সদস্যদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে বিমানবন্দরে এপিবিএন ইন্টেলিজেন্স টিমের কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
পুলিশ ফাঁড়ির দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পতেঙ্গা মডেল থানার পুলিশ ফাঁড়ি থেকে কোনো আইনি সহায়তা পাওয়া যায় না। ফাঁড়ির সদস্যরা যাত্রীদের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে স্বর্ণের বার নিয়ে আসেন। পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা চোরাচালানিদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারার বিনিময়ে তাদের মালামালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। বিমানবন্দরের কোনো সংস্থার দায়ের করা মামলা তদন্তে তাদের আগ্রহ নেই।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, কয়েকজন অসাধু সদস্য চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অপারেশন ও বিমানবন্দরের গ্রাউন্ডস হ্যান্ডলিং সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা ফ্লাইটগুলোকে স্বর্ণ চোরাচালানের বিশ্বস্ত মাধ্যমে পরিণত করেছেন। স্বর্ণ চোরাচালানের পাশাপাশি বিমানবন্দরের কার্গো দিয়ে নিষিদ্ধ পণ্য চোরাচালানেও জড়িত রয়েছেন তারা।
ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইনসের দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলা হয়, ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে ভিজিট ভিসায় মানব পাচারের অভিযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে তাদের যাত্রীসেবা অত্যন্ত নিম্নমানের। এ ছাড়া ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইনসের চট্টগ্রাম বিমানবন্দর টিমের বিরুদ্ধে যাত্রীদের ব্যাগেজের ওজন বাড়তি দেখিয়ে অতিরিক্ত চার্জ আদায়, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া, যাত্রীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ রয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর বেবিচকের বোর্ড সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর মোহাম্মদ নাইমুজ্জামান খান চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালককে খাতওয়ারি ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা বেবিচককে অবহিত করার জন্য গত ২৬ নভেম্বর নির্দেশনা দেন।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য ও নির্দেশনা অনুযায়ী সংস্থা ধরে ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘নির্দেশনা অনুযায়ী এরই মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন বেবিচকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে বেবিচক। অন্য সংস্থার অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ওই সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এ ছাড়া ইএম শাখার চুরি ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আগে আমাদের অনেক গেট দিয়ে মালপত্র ঢুকত, বেরোত। কিন্তু এখন একটি গেট নির্ধারণ করে দেওয়ায় কোনো মালামালই তল্লাশি ছাড়া বেরোতে বা ঢুকতে পারছে না বিমানবন্দরে। পাশাপাশি আনসারদের ব্যাপারেও সতর্ক অবস্থান নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।