ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

প্রোটিয়াদের চোকার্স তকমা ঘুচবে এবার?

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০২:০৮ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৫ এএম
প্রোটিয়াদের চোকার্স তকমা ঘুচবে এবার?
ছবি-সংগৃহীত

১৯৯২ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের চতুর্থ আসর থেকেই নিয়মিত এর অংশ হয়ে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতি আসরেই তুমুল সম্ভাবনা জাগিয়ে বিশ্বকাপে অংশ নিলেও দিনশেষে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাপ্তি কেবলই হতাশা। বিশ্বকাপের বাইরে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে সর্বদাই ফর্মে তুঙ্গে থাকা প্রোটিয়ারা বিশ্বকাপে এলেই যেন হারিয়ে খুঁজতে থাকে নিজেদের। এখন পর্যন্ত (২০১৯ পর্যন্ত) কোনো বিশ্বকাপের শিরোপা তো দূরে থাক পা দিতে ব্যর্থ বিশ্বকাপের ফাইনালে।

নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপেই (১৯৯২) সেমিফাইনালে পা দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সেবার সেমিফাইনাল থেকে তাদের বিদায়ের প্রক্রিয়াটা ছিল অত্যন্ত মর্মান্তিক। সেমিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আফ্রিকার জিততে তখন প্রয়োজন ৭ বলে ২২। আকস্মিক বৃষ্টির বাধায় খেলা বন্ধ থাকে ১০ মিনিট। বৃষ্টি থামলে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির হিসাবটা পুরোপুরি বিপক্ষে যায় প্রোটিয়াদের। বৃষ্টির পর মাঠে নামার আগেই নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের পরাজয়। ৭ বলে ২২ রানের পরিবর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে দাঁড়ায় ১ বলে ২২ রানের লক্ষ্য। এক বৃষ্টিতেই মৃত্যু ঘটে প্রথম বিশ্বকাপেই তাদের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন।

ভারত ও পাকিস্তানে বসা ১৯৯৬ বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের যাত্রার ইতি ঘটে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রায়ান লারার শতকে। উইন্ডিজদের ছুড়ে দেওয়া ২৬৫ রানের লক্ষ্য তিন বল আগেই অলআউট হয়ে ১৯ রানে পরাজিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। অনেকের মতে, করাচির পেস স্বর্গের উইকেটে অ্যালেন ডোনাল্ডকে না খেলিয়ে পল অ্যাডামসকে খেলানো ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। সেই ভুলের খেসারতই নাকি তারা দিয়েছিল ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ে।

১৯৯৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শন পলকের ৫ ও অ্যালেন ডোনাল্ডের ৪ উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে ২১৩ রানে বেধে ফেলার পরেও সে ম্যাচ জিততে পারেনি প্রোটিয়ারা। পেন্ডুলামের মতো ঘুরতে থাকা ম্যাচ ৪৯.২ ওভারে গিয়ে হয়ে যায় ড্র দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ দুই ব্যাটার অ্যালান ডোনাল্ড আর ল্যান্স ক্লুজনারের ভুল বোঝাবোঝিতে রান আউট হয়ে। সে ম্যাচ ড্র হলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় আরেকবার ফাইনালের মঞ্চ থাকে প্রোটিয়াদের জন্য অস্পর্শ।

টানা তিন বিশ্বকাপে হৃদয় ভাঙার পর ২০০৩ সালে কেনিয়া ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে বিশ্বকাপের সহআয়োজক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকাও। কিন্তু ঘরের মাঠেও হতাশ হতে হয় তাদের। এবার বাদ পড়তে হয় গ্রুপপর্ব থেকেই। ৬ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে বি গ্রুপের পঞ্চম স্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ হয় নকআউটে পা দিতে না পারার ব্যর্থতায়। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে বরাবরই দুর্দান্ত ফর্মে থাকা প্রোটিয়ারা এভাবে বারবার বড় মঞ্চে হোঁচট খাওয়ায় ততদিনে নামের পাশে লেগে যায় ‘চোকার্স’ তকমা।

বারবার ব্যর্থ হতে হতে ক্লান্ত আফ্রিকানরা আরেকবার সেমিতে পৌঁছায় ২০০৭ বিশ্বকাপে। কিন্তু আরেকবার রচিত হয় স্বপ্ন ভাঙার গল্প। শন টেইটের পেইস আর ম্যাকগ্রার সুইংয়ের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে যায় প্রোটিয়া ব্যাটিং স্তম্ভ। মাত্র ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হারতে হয় ৭ উইকেটে।

২০১১ সালে গ্রুপ পর্বে সে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে আভাস দিয়েছিল এবার প্রথা ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়ার। কিন্তু বিধি বাম! কোয়ার্টার ফাইনালে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই পুরোনো রোগে আক্রান্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিউইদের ২২১ রানে গুটিয়ে দিয়ে নিজেরাই গুটিয়ে যায় লক্ষ্য থেকে ৪৯ রান দূরে থাকতে ১৭২ রানে। নকআউটের বাধা পেরোনো যেন দুর্ভেদ্য এক কাজ হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য।

২০১৫ বিশ্বকাপকে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের সেরা আফসোস বা আক্ষেপের বিশ্বকাপ বললে মোটেও অত্যুক্তি হবে না। তারকা ঠাসা প্রোটিয়ারা দাপটের সঙ্গেই পৌছায় সেমিতে। এর আগে কোয়ার্টারে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নকআউট বাধা টপকে যায়। কিন্তু স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিতে ফিল্ডিং ব্যর্থতায় অকল্যান্ডে আরেকবার সমাধি ঘটে তাদের ফাইনালে পা রাখার স্বপ্ন। ডি ভিলিয়ার্স, ডি কক, বেহারডিনের মতো দুর্দান্ত ফিল্ডাররা সেদিন সবাই যোগ দেন ক্যাচ ও রানআউট মিসের মিছিলে। আর তাতেই সে বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা দল নিয়েও ব্যর্থ হয় তারা। মাঠ ছাড়তে হয় অশ্রুসিক্ত নয়নে।

আগের আসরের স্মৃতি ভুলে ইংল্যান্ডে নতুন আশায় বুক বাধার চেষ্টায়ও ব্যর্থ ফাফ ডু প্লেসিসরা। কিন্তু প্রথম ৫ ম্যাচের তিনটিতেই হার ও জয়ের মুখ দেখে একটিতে। একটি ম্যাচ হয় বৃষ্টিতে পণ্ড। প্রথম চার ম্যাচের একটি হারে বাংলাদেশের বিপক্ষে। ডু প্লেসিসের মতে, ২০১৯ সালের সে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বেই যাত্রা থেমে যাওয়ার মূল কারণ বাংলাদেশের বিপক্ষে হার।

কিন্তু এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা দল ২০১৫ সালের দলের চেয়েও দুর্বার ও দুরন্ত ডাচদের বিপক্ষে অঘটনের শিকার হওয়ার পরেও। এখন পর্যন্ত নিজেদের ৭ ম্যাচে ৬টিতেই জয়লাভ করেছে তারা। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে (ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগ পযর্ন্ত)। স্বাগতিক ভারতও আছে তাদের পেছনে। ডি কক, ক্লাসেন, মার্করাম ও মিলারদের আগুন ব্যাটিংয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগোচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডি কক চার শতকে ৫৪৫ রান করে ব্যাটারদের মধ্যে সবার উপরে অবস্থান করছে চলতি বিশ্বকাপে। বল হাতে জানসেনও আছেন জাম্পা ও শাহিন আফ্রিদির সঙ্গে যৌথভাবে ১৬ উইকেট নিয়ে শীর্ষে। ১১ উইকেট নিয়ে তালিকায় আরও আছে রাবাদা ও কেশভ মহারাজ।

আগে ব্যাটিং করে এবারের বিশ্বকাপে কখনোই তিনশোর নিচে রান করেনি আফ্রিকা। এর মধ্যে চার শ করেছে একবার। ৩৫০-এর বেশি করেছে তিনবার। প্রতিটি ম্যাচ তারা জিতেছে বিশাল ব্যবধানে। ১০২ রানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, ১৩৪ রানে অস্ট্রেলিয়া, ২২৯ রানে ইংল্যান্ড, ১৪৯ রানে বাংলাদেশ এবং ১৯০ রানে হারায় নিউজিল্যান্ডকে। 

শুধু পাকিস্তানের বিপক্ষে এক উইকেটের ক্ষুদ্র জয় পেয়েছে তারা। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা সেই ম্যাচে জেতার অবস্থান থেকেও পরাজয়ের শঙ্কায় চলে গিয়েছিল তারা। শেষ পর্যন্ত শেষ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর পূর্বে বিশ্ব আসরে কখনোই এমন নার্ভ গেমে তাদের সাবলীল থাকতে দেখা যায়নি। আর এটাই হয়তো ইঙ্গিত দিচ্ছে অন্যবারের চেয়ে তারা কেন এবার আলাদা। এবারই কি তাহলে আরাধ্যের শিরোপা জিতে চোকার্স তকমা ঘুঁচাতে পারবে বাভুমা শিবির।

মুশতাকে আগ্রহী বিসিবি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
মুশতাকে আগ্রহী বিসিবি
ছবি- সংগ্রহীত

সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং পরামর্শকের দায়িত্বে ছিলেন মুশতাক আহমেদ। স্বল্প সময়ে তার হাত ধরে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ দল। এবার তার চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে যাচ্ছে বিসিবি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

আজ দুপুর তিনটায় বিসিবির বোর্ড সভায় মুশতাক আহমেদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স, পূর্বাচল শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে।

বিশ্বকাপসহ দুই মাস বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেলে কাজ করেছেন মুশতাক আহমেদ। তার অধীনে নিজেকে আরও বেশি শানিয়ে তুলেছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তার কাজে খুশি হয়ে আপাতত চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী বিসিবি।

বেলজিয়ামকে বিদায় করে কোয়ার্টারে ফ্রান্স

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৭ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৭ এএম
বেলজিয়ামকে বিদায় করে কোয়ার্টারে ফ্রান্স
ছবি: সংগৃহীত

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের অবস্থান পাশাপাশি। তবে মাঠের খেলায় সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার দেখা মেলেনি। অবশ্য সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে বেলজিয়ামের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ছিল ফরাসিরা। তার প্রমাণ পুরো ম্যাচজুড়ে আধিপত্য কিলিয়ান এমবাপ্পে-অ্যান্তেনিও গ্রিজম্যানদের। মাঠের প্রভাব অবশ্য বোঝা যায়নি ফল দেখে। কারণ, গোল পেতে ফরাসিদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত। নিজেদের জালে বল জড়িয়ে ফ্রান্সের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করে দেন জ্যান ভার্টোনেন।

ডুসেলডর্ফে ম্যাচের শুরু থেকে বেলজিয়ামের ওপর ছড়ি ঘোরায় ফরাসিরা। একের পর এক আক্রমণ করেও বলার মতো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ফরাসি স্ট্রাইকারদের একের পর এক ব্যর্থতায় মনে হচ্ছিল খেলা হয়তো গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে ডেডলক ভাঙেন কোলো মুয়ানি। বেলজিয়ামের জাল উদ্দেশ করে নেওয়া তার শট ভার্টোনেনের পায়ে লেগে জড়ায় জালে। তাতে ফরাসিদের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়।

 

আরসিবির কোচ হলেন দিনেশ কার্তিক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আরসিবির কোচ হলেন দিনেশ কার্তিক
ছবি : সংগৃহীত

সবশেষ মৌসুমটাই আইপিএলে দিনেশ কার্তিকের শেষ ছিল। এরপর ধারাভাষ্যকের ভূমিকায় দেখা যায় সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এবার নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের ব্যাটিং কোচ এবং মেন্টর হলেন তিনি।

কোচ হওয়ার খবরে ৩৯ বছর বয়সী কার্তিক বলেছেন, ‘বিষয়টা দারুণ যে আমি বেঙ্গালুরুর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। চেষ্টা করব দলকে আরও শক্তিশালী করার। পেশা হিসেবে আমার কাছে কোচিং খুবই রোমাঞ্চকর একটা ব্যাপার। জীবনের নতুন অধ্যায় নিয়ে আমি সত্যিই খুবই রোমাঞ্চিত। আশা করি খেলোয়াড় হিসেবে আমার যে অভিজ্ঞতা সেটা দলের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারব। এই দলের ব্যাটিং বিভাগের সঙ্গে কাজ করতে আমার তর সইছে না।’

ভারতের হয়ে ওয়ানডে ও টেস্ট দলে তার অভিষেক হয় ২০০৪ সালে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০০৬ সালে। খেলোয়াড়ি জীবন চলমান অবস্থাতেই তিনি ধারাভাষ্যকক্ষে বিচরণ শুরু করেন। ২০২১ সালে কাজ করেছেন ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজে। একই ভূমিকায় ছিলেন দ্য হান্ড্রেডেও।

জাতীয় দলের হয়ে ২৬টি টেস্ট, ৯৪টি ওয়ানডে ও ৬০ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কার্তিক। খেলোয়াড়ি জীবনে জিতেছেন ১টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ১টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২টি এশিয়া কাপ। 

বিসিসিআইয়ের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
বিসিসিআইয়ের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা
ছবি : সংগৃহীত

দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আইসিসির শিরোপা খরা কাটিয়েছে ভারত। এই জয়ে ভারত ক্রিকেট দলকে পুরস্কৃত করেছে দেশটির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই। যে পুরস্কার আইসিসি হতে প্রাপ্ত পুরস্কারের চেয়েও বেশি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেন, ‘আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতায় ভারতীয় দলের জন্য ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা করতে পেরে আমি আনন্দিত। টুর্নামেন্টজুড়ে এই দলটি ব্যতিক্রমী প্রতিভা, দৃঢ়তা ও স্পোর্টসম্যানশিপ দেখিয়েছে। ক্রিকেটার, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফের সবাইকে অসামান্য অর্জনের জন্য অভিনন্দন।’

এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আইসিসি থেকে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার প্রাইজ মানি পাচ্ছে ভারত। ভার ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০ কোটি ৪২ লাখ রুপি।

এছাড়া সুপার এইট পর্যন্ত ৬ ম্যাচ জেতায় তারা আরও ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৪ ডলার পাচ্ছে। আইসিসি ও বিসিসিআই হতে প্রাপ্ত পুরস্কারের অর্থসহ মোট দেড় কোটি রুপি পেয়েছে ভারত। আর রানার্সআপ হয়ে ১২ লাখ টাকা ৮০ হাজার ডলার পেয়েছে দক্ষিন আফ্রিকা। 

কানাডায় রিজওয়ানের অধীনে খেলবেন বাবর

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
কানাডায় রিজওয়ানের অধীনে খেলবেন বাবর
ছবি : সংগৃহীত

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর নেতৃত্ব হারান বাবর আজম। কিন্তু, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঘুরেফিরে সেই বাবরের কাছেই পাকিস্তান আরেকবার দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান। তাতেও লাভ হয়নি, এবারও ভরাডুবি হয়েছে দলটির। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে। এরপর থেকে আবারও শুরু হয়েছে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনা। আরেকবার শঙ্কায় তার নেতৃত্ব।

পাকিস্তান ক্রিকেটে তার অধিনায়কত্বের ভবিষ্যত নিয়ে এখনও কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া না গেলেও ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটে তাকে খেলতে হবে সতীর্থ মোহাম্মদ রিজওয়ানের অধীনে। কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে ভ্যানকুবার নাইটসের হয়ে খেলবেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেখানে রিজওয়ানের নেতৃত্বে খেলতে হবে বাবরকে।

রিজওয়ানকে অধিনায়ক ঘোষণা করে ফ্র্যাঞ্চাইজটি জানিয়েছে, ‘গ্লোবাল টি-২০ এর চতুর্থ সিজনের জন্য ভ্যানকুভার নাইটস অধিনায়ক হিসেবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের নাম ঘোষণা করছে। তার অসাধারণ ব্যাটিং দক্ষতা আর দক্ষ উইকেটকিপিং দিয়ে তিনি আমাদের জয়ের পথে নিয়ে যেতে তৈরি। তৈরি হও নাইটসরা!’

দলটিতে সুযোগ পেয়েছেন পাকিস্তানের অন্য দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির ও আসিফ আলীকে।