![সিলেটের প্রথম জয়](uploads/2024/02/02/1706884022.sylhetkk.jpg)
বিপিএলে গতবারের রানার্স আপ। অথচ এবার সেই সিলেটের যাত্রা ছিল তথৈবচ। টানা পরাজয়ে ক্রমশ খেই হারিয়ে ফেলছিল দলটি। অবশেষে লাক্কাতুরায় দেখা মিলল স্বস্তি। টানা পাঁচ পরাজয়ের পর জয়ের দেখা পেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৫ রানে হারিয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সিলেট শিবিরে এসেছিল দুই পরিবর্তন। পুরোনো গোলাপি-বেগুনি রঙের জার্সির বদলে পরেছিল নতুন জার্সিও। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা রাজনৈতিক কারণে সরে যাওয়ায় নতুন দায়িত্ব পান মোহাম্মদ মিঠুন। এসব পরিবর্তনের ছোঁয়া যেন লাগে দলের ভাগ্যেও। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে দেখা মেলে নতুন চেহারার সিলেটকে। দারুণ বোলিংয়ে ঢাকাকে দাঁড়াতেই দেয়নি তারা। ঢাকাকে উপহার দেয় টানা তৃতীয় পরাজয়ের লজ্জা।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৪২ রান করে সিলেট। জবাবে ৯ উইকেটে ১২৭ রানে থামে দুর্দান্ত ঢাকার ইনিংস। ৩০ রানে চার উইকেট শিকারী সিলেটের জিম্বাবুয়ের বাঁ হাতি পেসার রিচার্ড এনগারাভা জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ফের ব্যর্থ সিলেটের টপ অর্ডার। ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তোলে সাকুল্যে ১৩ রান। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার কাজটা করেন মোহাম্মদ মিঠুন ও সামিত প্যাটেল। চতুর্থ উইকেটে দুজন যোগ করেন ৫৭ রান। ৩২ বলে ৩২ রান করা সামিতের বিদায়ের পর একপ্রান্তে ছিলেন অধিনায়ক মিঠুন। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার ব্যাটে আসে ৪৬ বলে ৫৯ রান। এই ইনিংসের পর তিনি ক্রাইসিস ম্যান কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘হ্যাঁ। আমি টিমম্যান। দলের চাওয়া অনুযায়ী খেলি।’ তাদের দুজনের ইনিংসে ভর করে চ্যালেঞ্জিং স্কোরে পৌঁছায় সিলেট। বল হাতে দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে ২৪ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম।
জবাবে ঢাকা নিয়মিত বিরতিতে হারায় উইকেট। সিলেটি বোলারদের বোলিং তোপে স্কোরবোর্ডে ৯২ রান তুলতে হারিয়ে বসে ৯ উইকেট। শেষের দিকে ব্যাট হাতে চমক দেখান পেসার তাসকিন। যদিও তার ইনিংস সর্বোচ্চ ২৭ রান এড়াতে পারেনি দলের পরাজয়। ১১ বলের ওই ইনিংসে তাসকিন হাঁকান ছয়টি বাউন্ডারি। স্ট্রাইক রেট ঈর্ষণীয়, ২৪৫। সিলেটের হয়ে রিচার্ড এনগারাভা ৩০ রানে নেন ৪ উইকেট। রাজা দুটি, বেনি হাওয়েল ও নাঈম হাসান পান একটি করে উইকেট।