![শান্তর ব্যাট এত শান্ত কেন?](uploads/2024/02/17/1708146043.Shanto.jpg)
নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট বড়ই শান্ত হয়ে পড়েছে। কদিন আগে তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন এই বাঁহাতি। কিন্তু সেই ঘোষণা আসার পরও চলতি বিপিএলে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি তিনি। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে যা দর্শক মনে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে শান্তর রান মাত্র ১২৪। সর্বোচ্চ ৩৬। এই ম্যাচগুলোতে ২১টি বাউন্ডারির দেখা পেলেও ছয় হাঁকাতে পারেননি একটিও। যা শান্তর নামের সঙ্গে বড্ড বেমানান। অথচ বিপিএলের গত আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। বর্তমান দল সিলেটের হয়েই ১৫ ম্যাচে ৩৯.৬৯ গড়ে করেছিলেন ৫১৬ রান। তার দলও সেবার রানার্সআপ হয়।
এবার শান্ত যেমন বিবর্ণ, তেমন মলিন ছিল সিলেটও। আসরে নিজেদের প্রথম পাঁচ ম্যাচই হেরে বসে দলটি। এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে মাত্র ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে আছে তারা। এখান থেকে এখনো দলটি প্লে অফ খেলার স্বপ্ন দেখছে। সেই স্বপ্ন পূরণে কিন্তু দলটি তাকিয়ে আছে শান্তর ব্যাটের দিকেই।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যানেজার নাফিস ইকবালের কথাতেই বিষয়টি পরিষ্কার, ‘টুর্নামেন্টের শুরুটা ওর (শান্ত) ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচে কিছুটা রান পেয়েছিল। এরপর রান পাচ্ছিল না। তবে শেষ দুই ম্যাচে ওকে বেশ ভালো অবস্থায় দেখা গেছে। ও অনেক কঠোর পরিশ্রমও করছে। আমাদের জন্য শেষ তিনটা ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি ও (শান্ত) নিজেকে মেলে ধরতে পারে, তাহলে আমরা ভালো অবস্থানে থাকব।’
সিলেট আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি) মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশালের। প্লে অফের দৌড়ে থাকাদের মধ্যে এখন সবচেয়ে কোণঠাসা তারাই। তবে নাফিস বলছেন, ‘আপনারা দেখেছেন, শেষ চার ম্যাচের মধ্যে আমরা তিনটি জিতেছি। অর্থাৎ মোমেন্টাম আমাদের সঙ্গে আছে। আর একটা বড় ব্রেকও (৮ দিনের) আমরা পেয়েছি। কালকের ম্যাচটা যদি জিততে পারি, তাহলে আমরা ভালো আত্মবিশ্বাস পাব।’
নাফিস কথা শেষ না করে শান্তর বিষয়টিও যোগ করেন দেন, ‘শান্ত খুব আইকনিক টাইপ প্লেয়ার। আমার মনে হয় ওর ক্লিক করাটা এই মুহূর্তে দলের জন্য খুব জরুরি।’
শুধু সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্যই নয়, বলতে হয় এটা জাতীয় দলের জন্যও খুব জরুরি। অফ ফর্মে থেকে জাতীয় দলে গেলে দলকে যে উজ্জীবিত করা কঠিনই হতে পারে তার জন্য। এমনিতে শান্তর সাম্প্রতিক অতীতের পারফরম্যান্স নজর কাড়াই ছিল। আর সেই পারফরম্যান্সের জোড়েই ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক থেকে ভারমুক্ত হয়েছেন সম্প্রতি। তার নেতৃত্বেই গত বছর দেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে জিতে একটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। অধিনায়ক শান্তর প্রতি তাই অনেক চাওয়া সবার। প্রত্যাশা মেটাতে হলে সেই শান্তকে তো ব্যাট হাতেই জ্বলে উঠতে হবে আগে।
এমনিতে শান্ত নিজেও বেশ মরিয়া রানে ফিরতে। গতকাল অনুশীলনে যেমন দীর্ঘ সময় ব্যাটিং নিয়ে কাজ করলেন। দেখার বিষয় সেই পরিশ্রমের সুফল তিনি আজ পান কি না।