ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি, জেলাবাসীর মিশ্র প্রতিক্রিয়া

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৭ পিএম
টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি, জেলাবাসীর মিশ্র প্রতিক্রিয়া
ছবি : খবরের কাগজ

শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এতে টাঙ্গাইলের মানুষ উচ্ছ্বসিত। তবে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে কিছু শাড়ি ব্যবসায়ীর মাঝে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এটা আরও অনেক আগেই করা উচিত ছিল সরকারের। তাহলে নিজেদের জিনিস অন্য দেশ নিয়ে যাওয়ার পর উঠে পড়ে লাগতে হতো না। তবে তার পরও তারা খুশি যে, সরকার এই শাড়ির জিআই স্বীকৃতি দিয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক বলেন, কাউকে দোষী করতে চাই না, তবে যখনই ভারত সরকার টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরেছে তখনই বাংলাদেশ সরকারের টনক নড়েছে। এই টনক নড়া আরও আগে হওয়া উচিত ছিল, যখন অন্য দেশ স্বীকৃতি পেয়েছে তখনই কেন আবেদন করতে হবে। এই আবেদন তো সবার আগে আমাদের করার কথা। এখনো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাইনি আমরা। আমাদের চাওয়া সরকার যেমন এক দিনের ব্যবধানে জিআই স্বীকৃতি দিয়েছে, তেমনি আন্তর্জাতিকভাবে যেন অতি দ্রুত স্বীকৃতি পায়। 

টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক পলাশ বসাক বলেন, বাংলাদেশ সরকার টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়ায় ধন্যবাদ জানাই। তবে এই স্বীকৃতি আরও আগে আমাদের পাওয়ার কথা ছিল, প্রশাসনের গাফিলতির কারণে আমরা এই স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে গেছি। যদি প্রশাসন আগে আবেদন করত তাহলে আরও আগে স্বীকৃতি পেতাম। যেহেতু বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে এখন আন্তর্জাতিকভাবে যেন শিগগিরই স্বীকৃতি পাই সে ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে।

শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও জিআই স্বীকৃতি ভারতের হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করার সমন্বয়ক মুঈদ হোসেন তড়িৎ বলেন, সরকার এই স্বীকৃতি কতটুকু আন্তর্জাতিকভাবে আদায় করতে পারবে তা বলা মুশকিল, সরকার শুধু এই জিআই স্বীকৃতি দিলেই হবে না, তাঁতিদের জন্য বিশেষ কিছু করতে হবে। তাঁতিদের জন্য পেনশনব্যবস্থা চালু করতে হবে। শুধু জিআই স্বীকৃতি পেয়ে কী হবে যদি তাঁতিরা না খেয়ে থাকেন? আসলে এই স্বীকৃতি আরও আগে পেতাম। যখন ভারত সব পণ্যের জিআই স্বত্ব নিচ্ছে ঠিক তখনই বাংলাদেশ সরকারের টনক নড়েছে। জেলা প্রশাসন কোনো গুরুত্ব দেয়নি। যার ফলে স্বীকৃতি পেতে সময় লেগে গেছে।

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আকুয়া গ্রামের তাঁত শাড়ি ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, জিআই স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। কিন্তু স্বীকৃতি ভারত আগে পেয়েছে, এটা সব থেকে বড় কষ্ট। ভারতের টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব বাতিলের দাবি জানাই। 

দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইলের রিতু বসাক বলেন, ‘আমার বাব-দাদারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, সেই ছোটকাল থেকে দেখে আসছি এই টাঙ্গাইলের শাড়ি তৈরি করতে। এখন ভারত তার জিআই স্বত্ব নিচ্ছে। আর আমাদের দেশের সরকার ন্যায্য অধিকার আদায় করতে অনেক সময় নিয়ে ফেলছে। তাই দাবি জানাই যেহেতু বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে, এখন আন্তর্জাতিকভাবে যেন অতি দ্রুত স্বীকৃতি পায় সে ব্যবস্থা করতে।’ 

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ‘জিআই স্বত্ব পাওয়ার আবেদন করার যে প্রক্রিয়া তাতে অনেক সময় লাগে। যার কারণে আমাদের আবেদন করতে সময় লেগে গেছে। আমরা গত ৬ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেছি আর আজকে ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সরকার জিআই স্বীকৃতির জন্য গেজেট প্রকাশ করেছে। আমরা এখনো জিআই স্বত্ব পাইনি। এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।’

এমএ/

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২
ছবি: খবরের কাগজ (ভিডিও থেকে নেওয়া)

ফরিদপুর-ঢাকা মহাসড়কের ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার যুদুনন্দি এলাকায় বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে‌ চারজন। নিহতরা হলেন- পিকআপের ড্রাইভার ও হেলপার। তবে তাদের নাম পরিচয় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেল তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিকেল তিনটার দিকে ফরিদপুরের দিকে যাওয়ার পথে গোল্ডেন লাইনের একটি পরিবহনের সঙ্গে ভাঙ্গাগামী একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপের ড্রাইভার ও হেলপার নিহত হয়। আর এই ঘটনায় বাসের আরও চার যাত্রী আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিস, হাইওয়ে পুলিশ ও নগরকান্দা থানা পুলিশ। সড়ক দুর্ঘটনার পরে ওই এলাকায় যানজট তৈরি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সঞ্জিব দাস/এমএ/

দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৬

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৯ পিএম
দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৬
ছবি : খবরের কাগজ

দিনাজপুরে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৬ জন। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোর ৬টায় সদরের ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের পাঁচবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওগামী নাবিল পরিবহনের একটি বাস পাঁচবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকের চালক ও বাসের সহকারী নিহত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে এক শিশুসহ আরও চারজন মারা যান। 

এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক জিল্লুর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় নিহত ছয়জনের মধ্যে ঘটনাস্থলে দুইজন এবং হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে চারজন মারা যান। আর আহতদের মধ্যে দুইজন আইসিইউতে এবং তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিন্না আল মামুন খবরের কাগজকে জানান, বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। 

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, তিনি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এবং আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন। নিহত ও আহতদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। 

এএসএম আলমগীর/জোবাইদা/

গাইবান্ধায় ২৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি, বিশুদ্ধ পানির সংকট

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম
গাইবান্ধায় ২৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি, বিশুদ্ধ পানির সংকট
ছবি : খবরের কাগজ

গাইবান্ধায় করতোয়া, ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়েই চলেছে। দুইদিন ধরে ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ওপরে। অবিরাম বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। ২৮ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তারা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন। বিশেষ করে দুর্গম চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী এলাকার পরিস্থিতি আরও বেশি করুণ।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, জেলার চার উপজেলায় ২৭টি ইউনিয়নে বন্যার্ত পরিবারের সংখ্যা ২৮ হাজারেও বেশি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিতরণের জন্য ৪০০ মেট্রিক টন (জিআর) চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা মজুত রয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার ৫০টি শুকনো খাবারের প্যাকেট ও ১৬৫ মেট্রিক টন চাল চার উপজেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। 

অন্যদিকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি ও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

ফুলছড়ি উপজলোর গুপ্তমনি চর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার থেকে তার ঘরের ভেতর তিন থেকে চার ফুট পানি। নলকূপ ও শৌচাগার ডুবে গেছে । পানিতে ভেসে গেছে হাঁস-মুরগি। গরু-ছাগল নিয়ে মহাবিপদের মধ্যে আছেন। বুধবার সকাল থেকে বৃস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তারা শুকনো খাবার খেয়ে আছেন। বৃষ্টির মধ্যেই নৌকা নিয়ে বালাসিঘাট এলাকায় বাজারে শুকনো খাবার ও পানি কিনতে এসেছেন।

একই গ্রামের সাজু মিয়া জানান, শুধু তারা নয়, তাদের মতো অনেক পরিবার পানিবন্দি। তারা সামান্য খাবার খেয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারছেন না বাড়ি-ঘরে আসবাবপত্র রেখে। এ মুহূর্তে তাদের শুকনো খাবার ও পানি খুবই দরকার।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, নদ-নদীর পানি বাড়লেও আপাতত বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়ার কারণ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল। এ পানি ঘাঘট নদীতে প্রবেশ করেছে। একই কারণে করতোয়ার পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে বৃষ্টির কারণে বাঁধের বিভিন্ন এলাকায় রেইনকাট হয়েছে। সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জানান, ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য নৌকা, স্পিডবোট প্রস্তুত রয়েছে। জেলা ও উপজেলায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। ইউনিয়নভিত্তিক বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম, কৃষি টিম, স্বেচ্ছাসেবক টিম এবং লাইভস্টোক টিম গঠন করা হয়েছে।

রফিক খন্দকার/জোবাইদা/

মাদারীপুরে ৭২ লাখ চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
মাদারীপুরে ৭২ লাখ চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন
ছবি: খবরের কাগজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে ৩০ কোটি গাছ রোপণ করার উদ্দেশ্যে মাদারীপুরে ৭২ লাখ বনজ ও ফলদ গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে গ্রামীণ ব্যাংক মাদারীপুর জোনের উদ্যোগে মস্তফাপুর গ্রামীণ ব্যাংকের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তিন জেলার (মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জ) জোনাল প্রধান। 
এ সময় মাদারীপুর জোনাল ম্যানেজার আ. মান্নান বলেন, ‘আমরা এক একজনকে ৫-৬টি করে গাছের চারা বিতরণ করেছি। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭২ লাখ চারা বিতরণসহ রোপণ করব। গাছ হলো পরম বন্ধু। আশা করছি আমাদের গ্রামীণ ব্যাংকের যে লক্ষ্যমাত্রা, আমরা তা পূরণ করতে পারব।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এরিয়া ম্যানেজার আ. রহিম, শাখা ব্যবস্থাপক দীপক কুমারসহ শাখার কর্মকর্তারা। 

রফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/

মেঘনায় নৌকাডুবি : ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার, বোন এখনো নিখোঁজ

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
মেঘনায় নৌকাডুবি : ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার, বোন এখনো নিখোঁজ
ছবি: খবরের কাগজ

নরসিংদীর মাধবদীতে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় মেঘনা নদীতে নৌকা ডুবে দুই ভাই-বোন নিখোঁজ হয়। প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। তবে বোন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টায় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে পাইকারচর ইউনিয়নের ভাটিরচর গ্রামের বেড়িবাঁধের পাশ থেকে মো. আব্দুল্লাহর (১২) মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৪) এখনো নিখোঁজ রয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, দুই-তিনদিন ধরে বৈরী আবহাওয়ায় মেঘনা নদী উত্তাল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর একটি ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকা ডুবে যায়। পরে নৌ-পুলিশসহ স্থানীয়রা চারজনকে উদ্ধার করেন। 

আব্দুল্লাহ ও জান্নাতুল নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলাগাছিয়া গ্রামের এমতাজ উদ্দিনের সন্তান। তারা নরসিংদীর মাধবদী পৌর শহরের টাটাপাড়া মহল্লায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য মেঘনা ঘাট থেকে নৌকায় ওঠেন তারা। তবে নৌকা ছাড়ার আগে তেমন বাতাস ছিল না। ঘাট থেকে একটু দূরে গেলেই বাতাস আর ঢেউয়ের কবলে পরে নৌকা ডুবে যায়। সঙ্গে সঙ্গে নৌ-পুলিশ ও স্থানীয়রা এমতাজ উদ্দিন, তার স্ত্রী দিলারা বেগম, আব্দুল মতিন ও রুহুলকে উদ্ধার করেন। তবে আব্দুল্লাহ ও জান্নাতুল নিখোঁজ হয়ে যায়।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভঙ্গারচর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক অনিমেশ হলধর। 

শাওন খন্দকার/ইসরাত চৈতী/