ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

বাবা মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে অপেক্ষার প্রহর গুণছে সাজিদ!

প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৮ এএম
আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২১ এএম
বাবা মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে অপেক্ষার প্রহর গুণছে সাজিদ!
কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত সিরাজগঞ্জের মইদুল খাঁ ও নার্গিস খাতুনের ছেলে শিশু সাজিদ মন ভার করে তার দাদী সাহানা খাতুনের কোলে উঠে আছে। খবরের কাগজ

আর কয়েকদিন পরই মুসলমানদের ঘরে ঘরে খুশির বার্তা নিয়ে হাজির হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ইতোমধ্যেই অনেকের বাবা-মা তাদের আদরের সন্তানদের নতুন পোশাক কিনে দিয়েছেন। ঈদের দিন সন্তানরা কি খাবে, আবার কি কি খেতে পছন্দ করে, সে প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছেন কেউ কেউ। 

কিন্তু এবার ঈদে এখনো নতুন জামা কেনা হয়নি তিন বছরের শিশু সাজিদের! সে অপেক্ষায় রয়েছে তার বাবা কবে নতুন জামা কিনে নিয়ে আসবে, সঙ্গে আনবে লাচ্ছা সেমাই। আর মা আনবে খেলনা। সেই আশায় অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে ছেলে শিশু সাজিদ। কিন্তু তার সেই আশা পূরণ হওয়ার নয়। কারণ চলতি বছরের ১৭ মার্চ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা যান তার বাবা মইদুল খাঁ ও মা নার্গিস খাতুন। 

ছোট শিশুটি এখনো বাড়ির অঙিনায় গাড়ির শব্দ পেলে ছুটে চলে, এই বুঝি এলো তার মা-বাবা। কিন্তু তারা যে ফিরবেন না, জানে না শিশু সাজিদ। সাজিদ সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বেড়াকোল গ্রামের খাঁ পাড়ায় ভাঙা ঘরে দাদি সাহানা খাতুনের সংসারে রয়েছে। 

জানা যায়, সাজিদের মা-বাবা ঢাকায় পোশাক শ্রমিকের কাজ করতেন। সাজিদের দাদা বৃদ্ধ সাবেদ খাঁ ছেলের উপার্জনের টাকাতেই নাতিকে নিয়ে সংসার চালাতেন। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মানুষটি কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন অনেক আগেই। বৃদ্ধ বয়সে নিজের সংসার আর নাতিকে পালার জন্য আবারও নতুন করে কাজ শুরু করেছেন। অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে এখন সংসার চালাচ্ছেন। 

সরেজমিনে, শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের খাঁ পাড়ায় গিয়ে দেখা হয় সাজিদের সঙ্গে। টিনের একটি ঘরে দাদির সঙ্গে রয়েছে সাজিদ। ঘরের চাল থাকলেও নেই জানালা। ঘরে আসবাবপত্র বলতে একটি মাত্র চৌকি। দাদির কোলে মন ভার করে আছে সাজিদ। সাজিদের দাদা কাজের খোঁজে বাইরে গেছে। 

কথা হয় দাদি সাহানা খাতুনের সঙ্গে। তিনি জানান, নাতি বারবার শুধু বাবা-মার কথা বলে। ও বলে ‘ঈদে বাবা আসবে, আমার জন্য মাংস নিয়ে আসবে, মা আমার জন্য খেলনা আনবে আরও কত কি।’ আমি তখন মুখ লুকিয়ে কাঁদি। ছোট ছেলেটি তাই দেখে আমার থেকে দূরে গিয়ে মন ভার করে বসে থাকে। প্রতিবেশী অনেক ছোট ছেলেমেয়েরা সাজিদকে বলে তোর বাবা-মা মারা গেছে। কিন্তু এগুলো সে বুঝতেই চায় না। ছোট এই অবুঝ শিশুকে নিয়ে আমি কি করব। আমার দুই সন্তানের মধ্যে মইদুল ছোট। বড় ছেলে নিজের সংসার নিয়েই থাকেন, আমাদের দেখে না। গত তিন বছর ধরে ছোট ছেলেই আমাদের খরচ যুগিয়েছে। কোনো উপায় না পেয়ে এখন সংসার চালাতে বৃদ্ধ মানুষটি আবারও মাঠে ঘাটে কাজ শুরু করেছে।

প্রতিবেশী রমজান খাঁ বলেন, ‘এই পরিবার খুবই অসচ্ছল। ছেলের মৃত্যুর পর নাতিকে নিয়ে কোনোমতে দিন পার করছে। ঈদের আনন্দ আর কি, ঠিকমতো ইফতারি করতে পারেন না। গতকাল পানি দিয়ে ইফতারি করেছেন।’ 

সাজিদের দাদা সাবেদ খাঁ বলেন, ‘ছেলে ও ছেলের বউয়ের মৃত্যুর পর কোনো সহযোগিতা পাইনি। কয়েকদিন আগে একটি দলের পক্ষ থেকে কিছু টাকা পেয়েছি। সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা আসেনি। সরকার যদি আমাদের পাশে দাঁড়ায়, তাহলে নাতিকে নিয়ে এই বয়সে একটু বাঁচতে পারতাম।’

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি। ঈদ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে সহয়তা করা হবে।’ 

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ জনের মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলারই পাঁচজন। শুধু মইদুল ও নার্গিসের পরিবারের অবস্থাই এমন নয়, নিহতদের সবার পারিবার অসচ্ছল। অসহায় এ মানুষগুলোর পাশে সরকার এগিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন স্থানীয়রা। 

দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৬

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৯ পিএম
দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৬
ছবি : খবরের কাগজ

দিনাজপুরে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৬ জন। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোর ৬টায় সদরের ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের পাঁচবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওগামী নাবিল পরিবহনের একটি বাস পাঁচবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকের চালক ও বাসের সহকারী নিহত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে এক শিশুসহ আরও চারজন মারা যান। 

এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক জিল্লুর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় নিহত ছয়জনের মধ্যে ঘটনাস্থলে দুইজন এবং হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে চারজন মারা যান। আর আহতদের মধ্যে দুইজন আইসিইউতে এবং তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিন্না আল মামুন খবরের কাগজকে জানান, বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। 

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, তিনি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এবং আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন। নিহত ও আহতদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। 

এএসএম আলমগীর/জোবাইদা/

গাইবান্ধায় ২৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি, বিশুদ্ধ পানির সংকট

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম
গাইবান্ধায় ২৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি, বিশুদ্ধ পানির সংকট
ছবি : খবরের কাগজ

গাইবান্ধায় করতোয়া, ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়েই চলেছে। দুইদিন ধরে ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ওপরে। অবিরাম বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। ২৮ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তারা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন। বিশেষ করে দুর্গম চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী এলাকার পরিস্থিতি আরও বেশি করুণ।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, জেলার চার উপজেলায় ২৭টি ইউনিয়নে বন্যার্ত পরিবারের সংখ্যা ২৮ হাজারেও বেশি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিতরণের জন্য ৪০০ মেট্রিক টন (জিআর) চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা মজুত রয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার ৫০টি শুকনো খাবারের প্যাকেট ও ১৬৫ মেট্রিক টন চাল চার উপজেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। 

অন্যদিকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি ও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

ফুলছড়ি উপজলোর গুপ্তমনি চর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার থেকে তার ঘরের ভেতর তিন থেকে চার ফুট পানি। নলকূপ ও শৌচাগার ডুবে গেছে । পানিতে ভেসে গেছে হাঁস-মুরগি। গরু-ছাগল নিয়ে মহাবিপদের মধ্যে আছেন। বুধবার সকাল থেকে বৃস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তারা শুকনো খাবার খেয়ে আছেন। বৃষ্টির মধ্যেই নৌকা নিয়ে বালাসিঘাট এলাকায় বাজারে শুকনো খাবার ও পানি কিনতে এসেছেন।

একই গ্রামের সাজু মিয়া জানান, শুধু তারা নয়, তাদের মতো অনেক পরিবার পানিবন্দি। তারা সামান্য খাবার খেয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারছেন না বাড়ি-ঘরে আসবাবপত্র রেখে। এ মুহূর্তে তাদের শুকনো খাবার ও পানি খুবই দরকার।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, নদ-নদীর পানি বাড়লেও আপাতত বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়ার কারণ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল। এ পানি ঘাঘট নদীতে প্রবেশ করেছে। একই কারণে করতোয়ার পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে বৃষ্টির কারণে বাঁধের বিভিন্ন এলাকায় রেইনকাট হয়েছে। সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জানান, ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য নৌকা, স্পিডবোট প্রস্তুত রয়েছে। জেলা ও উপজেলায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। ইউনিয়নভিত্তিক বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম, কৃষি টিম, স্বেচ্ছাসেবক টিম এবং লাইভস্টোক টিম গঠন করা হয়েছে।

রফিক খন্দকার/জোবাইদা/

মাদারীপুরে ৭২ লাখ চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
মাদারীপুরে ৭২ লাখ চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন
ছবি: খবরের কাগজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে ৩০ কোটি গাছ রোপণ করার উদ্দেশ্যে মাদারীপুরে ৭২ লাখ বনজ ও ফলদ গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে গ্রামীণ ব্যাংক মাদারীপুর জোনের উদ্যোগে মস্তফাপুর গ্রামীণ ব্যাংকের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তিন জেলার (মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জ) জোনাল প্রধান। 
এ সময় মাদারীপুর জোনাল ম্যানেজার আ. মান্নান বলেন, ‘আমরা এক একজনকে ৫-৬টি করে গাছের চারা বিতরণ করেছি। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭২ লাখ চারা বিতরণসহ রোপণ করব। গাছ হলো পরম বন্ধু। আশা করছি আমাদের গ্রামীণ ব্যাংকের যে লক্ষ্যমাত্রা, আমরা তা পূরণ করতে পারব।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এরিয়া ম্যানেজার আ. রহিম, শাখা ব্যবস্থাপক দীপক কুমারসহ শাখার কর্মকর্তারা। 

রফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/

মেঘনায় নৌকাডুবি : ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার, বোন এখনো নিখোঁজ

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
মেঘনায় নৌকাডুবি : ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার, বোন এখনো নিখোঁজ
ছবি: খবরের কাগজ

নরসিংদীর মাধবদীতে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় মেঘনা নদীতে নৌকা ডুবে দুই ভাই-বোন নিখোঁজ হয়। প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। তবে বোন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টায় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে পাইকারচর ইউনিয়নের ভাটিরচর গ্রামের বেড়িবাঁধের পাশ থেকে মো. আব্দুল্লাহর (১২) মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৪) এখনো নিখোঁজ রয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, দুই-তিনদিন ধরে বৈরী আবহাওয়ায় মেঘনা নদী উত্তাল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর একটি ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকা ডুবে যায়। পরে নৌ-পুলিশসহ স্থানীয়রা চারজনকে উদ্ধার করেন। 

আব্দুল্লাহ ও জান্নাতুল নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলাগাছিয়া গ্রামের এমতাজ উদ্দিনের সন্তান। তারা নরসিংদীর মাধবদী পৌর শহরের টাটাপাড়া মহল্লায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য মেঘনা ঘাট থেকে নৌকায় ওঠেন তারা। তবে নৌকা ছাড়ার আগে তেমন বাতাস ছিল না। ঘাট থেকে একটু দূরে গেলেই বাতাস আর ঢেউয়ের কবলে পরে নৌকা ডুবে যায়। সঙ্গে সঙ্গে নৌ-পুলিশ ও স্থানীয়রা এমতাজ উদ্দিন, তার স্ত্রী দিলারা বেগম, আব্দুল মতিন ও রুহুলকে উদ্ধার করেন। তবে আব্দুল্লাহ ও জান্নাতুল নিখোঁজ হয়ে যায়।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভঙ্গারচর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক অনিমেশ হলধর। 

শাওন খন্দকার/ইসরাত চৈতী/ 

সাতক্ষীরায় কৃষকলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:১১ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:১১ পিএম
সাতক্ষীরায় কৃষকলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
নিহত আবুল কাশেম। ছবি: খবরের কাগজ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে আবুল কাশেম নামে এক কৃষকলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোরে উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের খোলপেটুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কাশেম ওই এলাকার মৃত নেছার কাগুজির ছেলে। তিনি গাবুরা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ছিলেন।

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, ৩০ বিঘা মাছের ঘের নিয়ে আবুল কাশেম ও লোকমান গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতে কাশেম তার স্ত্রীকে নিয়ে মাছের ঘেরে ছিলেন। এ সময় লোকমান বাহিনীর সদস্য শরিফুলসহ ৭-৮ জন অতর্কিত হামলা চালিয়ে কাশেম আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে।

শ্যামনগর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘আবুল কাশেম দলের নিবেদিত নেতা ও তার প্রতিবেশী ছিলেন।’ এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘেরসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি।’ 

এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

নাজমুল শাহাদাৎ/সাদিয়া নাহার/