![পূর্ব-ষোলোশহরে বৃষ্টি নেই তবুও জলাবদ্ধতা](uploads/2024/06/23/ctg-1719117006.jpg)
চট্টগ্রামের পূর্ব-ষোলোশহর এলাকায় প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় জীবনযাপন করছে। দীর্ঘসময় পানি জমে থাকায় যাতায়াতে বিঘ্নসহ নানা দুর্ভোগে পড়েছে বাসিন্দারা। এতে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় খালের সংস্কার কাজ চলছে। এতে মাটি কেটে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে পানি খালে গিয়ে পড়তে পারছে না। পানি চলাচলের পথ রোধ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরের বহদ্দারহাট খাজারোডে ডাইলার বাড়ির দক্ষিণ পাশের পরিবারগুলো পানিবন্দি। তাদের ঘরের মেঝের কাছাকাছি পানি। রাস্তায় ইট ও বালুর বস্তা বিছিয়ে যাতায়াত করছেন। জলাবদ্ধতার কারণে আবু আহম্মদ, আবু হাসান, হারিছ, জোজ মুহাম্মদ, মানিকসহ অনেকের ঘর পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। পচা ও নোংরা পানিতে অনেকের পায়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। মশার উপদ্রব বেড়েছে। চর্মরোগসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।
স্থানীরা জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় পূর্ব ষোলোশহরে প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছেন। এতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত করতে পারে না। রাস্তার কারণে এই এলাকার ছেলেমেয়েদের বিয়ের জন্য প্রস্তাব আসছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হারিছ বলেন, ‘ডাইলার বাড়িতে প্রায় ১০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।’ হাজি মোহাম্মদ গোলাম হোসেন বলেন, আগে এ রকম দেখিনি। আমি ৮০ বছর হয় এখানে বসবাস করি। এবারই প্রথম দেখলাম, বৃষ্টি ছাড়া রাস্তাঘাটে পানি জমে আছে। এই এলাকায় প্রায় ১ হাজার পরিবার দুর্ভোগে রয়েছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই।’
স্থানীয় আবদুল হাকিম বলেন, পূর্ব-ষোলোশহর এলাকার দক্ষিণ পাশে নুরনগর হাউসিং সোসাইটির পাশে খাল খনন করা হচ্ছে। ওই খালের মাটিতে ড্রেন ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হচ্ছে।’
জানা গেছে, চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের উদ্যেগে মির্জা খালটি খনন করা হচ্ছে। নুরনগর হাউসিং সোসাইটির ওপর দিয়ে পূর্ব-পশ্চিম লম্বা খালটি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মিশেছে। খালের দুই পাশে আরসিসি ওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। দুই পাড়ে তৈরি হচ্ছে সড়ক। এসব কাজ করার জন্য খালের মুখ বন্ধ রাখা হয়েছে। এর কারণে নিম্নাঞ্চলে পানি জমেছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহাম্মদ মঈনুদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘পূর্ব-ষোলোশহর এলাকায় জলাবদ্ধতার কথা আমাকে কেউ জানায়নি। খালটি খনন প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে সেনাবাহিনী। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। বিষয়টি সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানাতে হবে।