![ইউক্রেনে হামলায় উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র](uploads/2024/05/01/ukrin-1714533235.jpg)
ইউক্রেনে হামলা চালাতে উত্তর কোরিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রুশ সেনারা। জাতিসংঘের বিধিনিষেধ পর্যবেক্ষণকারী একাধিক দল নিরাপত্তা পরিষদের এ সংক্রান্ত কমিটিকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছেন বলে গত মঙ্গলবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জাতিসংঘের বিধিনিষেধ পর্যবেক্ষণকারীদের তৈরি ৩২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ২ জানুয়ারি ইউক্রেনের খারকিভ শহরে আঘাত হানা একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে তা উত্তর কোরিয়ার নির্মিত হাওয়াসং-১১ সিরিজের ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এর মাধ্যমে এটিই স্পষ্ট হয়েছে, জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ার ওপর যে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রথম হাওয়াসং-১১ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। খারকিভে এটি লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছিল কি না- তা জানা যায়নি।
মোট তিনটি নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণকারী দল চলতি মাসের শুরুতে ধ্বংসাবশেষ দেখতে ইউক্রেনে গিয়েছিলেন। ক্ষেপণাস্ত্রটি যে রাশিয়ার তৈরি, এমন কোনো প্রমাণ তারা পাননি। তবে এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন যে রাশিয়াই করেছে- এর নিশ্চিত প্রমাণ পায়নি দলগুলো। কারণ তারা স্বতন্ত্রভাবে শনাক্ত করতে পারেনি যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোথা থেকে এবং কার দ্বারা উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। যদিও কিয়েভ দাবি করেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়ারই ছোড়া।
প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, সম্ভবত রাশিয়ার কোনো নাগরিকের মাধ্যমে এগুলো কেনা হয়ে থাকতে পারে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মিশন এখন পর্যন্ত এই ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করেনি। যদিও আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করে আসছিল- রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করছে উত্তর কোরিয়া। তবে মস্কো ও পিয়ংইয়ং এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যদিও দুই দেশই গত বছর সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর করার ঘোষণা দিয়েছিল।
ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও পরমাণু কর্মসূচির জন্য ২০০৬ সাল থেকেই জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞায় আছে উত্তর কোরিয়া। এর আলোকে উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র কেনাবেচা বা দেশটির এসব প্রকল্পে অর্থ বা প্রযুক্তি সহায়তা দেওয়া নিষিদ্ধ। সূত্র: আল-জাজিরা