পাপুয়া নিউগিনিতে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনায় গত শনিবার রাত পর্যন্ত পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। তবে ওই ঘটনায় ৬৭০ জন নিহত হতে পারে বলে জাতিসংঘ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
রবিবার (২৬ মে) জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে এ আশঙ্কা প্রকাশ করে। খবর রয়টার্সের।
পাপুয়া নিউগিনিতে আইওএমের মিশনপ্রধান সেরহান আক্তোপ্রাক জানান, গত শুক্রবারের এনগা প্রদেশে ভূমিধসের প্রভাব প্রাথমিক ধারণার চেয়ে ভয়াবহ। শনিবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা পাঁচে দাঁড়িয়েছে। আহত ও নিখোঁজদের সংখ্যা এখনো সম্পূর্ণ জানা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ও একটি ফিলিং স্টেশনসহ ১৫০টির বেশি ঘরবাড়ি মাটিচাপা পড়েছে।
তিনি আরও জানান, ভূমিধসের কবলে পড়া এলাকায় প্রায় চার হাজার মানুষের বসবাস। ঘটনাস্থলের ভূমি পিছলে হওয়ার কারণে উদ্ধারকর্মীরা ঝুঁকিতে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তবে মানবিক ত্রাণ সহায়তা সংস্থা কেয়ার অস্ট্রেলিয়া সতর্কতা দিয়ে জানিয়েছে, পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের উপজাতীয় দ্বন্দ্ব থেকে পালিয়ে আসা লোকজনের আগমনের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হতে পারে। আক্তোপ্রাক বলেন, দুর্যোগের ফলে প্রায় এক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যেসব জায়গা থেকে খাদ্য ও পানি সরবরাহ করার উপযোগী ছিল, সেগুলোও প্রায় সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
উদ্ধারকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্তদের পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো উপায় ব্যবহার করছেন বলে জানান আক্তোপ্রাক। তিনি বলেন, স্থানীয়রা মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা লাশগুলো উদ্ধার করতে খননকাজে লাঠি, কোদাল ইত্যাদি ব্যবহার করছে।
গত শুক্রবার পাশের দেশ অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, এদিন দিবাগত রাত ৩টার দিকে এনগা প্রদেশের কাওকালাম গ্রামে এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এলাকাটি রাজধানী পোর্ট মোরেসবি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। ভূমিধসের কারণে এলাকাটির ছয়টির বেশি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম পাপুয়া নিউগিনি পোস্ট কুরিয়ার জানিয়েছে, ভয়াবহ এই ভূমিধসে ১ হাজার ১৮২টি ঘরবাড়ি মাটি চাপা পড়েছে। সূত্র: রয়টার্স