![লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা আজ, রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন মোদি!](uploads/2024/06/04/1714155299.1714072797.1713463655.indian electionkk-1717440795.jpg)
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা আজ মঙ্গলবার। বুথফেরত জরিপ বলছে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। তবে হাল ছাড়ছে না কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইন্ডিয়াও। কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ভোটের শেষ ধাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনই বিরোধী জোটের অন্তত ২৯৫ আসন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র দেশ বলা হয় ভারতকে। দেশটিতে ভোটারই রয়েছেন প্রায় একশ কোটির কাছাকাছি। ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছিল লোকসভা নির্বাচন। সাত দফার ভোট শেষ হয় গত ১ জুন। এ সময়টিতে ভারত সম্মুখীন হয়েছে তীব্র গরমের। ভোটার উপস্থিতিতে গরমের বিষয়টি প্রভাব ফেলেছে বলে বিভিন্ন সময় খবর এসেছে ভারতীয় গণমাধ্যমে।
তবে সোমবার (৩ জুন) রাজধানী নয়াদিল্লিতে দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার জানান, এবারের লোকসভা নির্বাচনে যত ভোট পড়েছে, তা এর আগে কোনো দেশের নির্বাচনে হওয়ার নজির নেই। তার দেওয়া তথ্যানুসারে, ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মোট ভোট দিয়েছেন ৬৪ কোটি ২০ লাখ ভোটার, যার মধ্যে ৩১ কোটি ২০ লাখ নারী ভোটার।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হবে।
গত শনিবার শেষ ধাপের ভোট গ্রহণ শেষে রাতের বুথফেরত জরিপ বলছিল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপি জিতবে। এমনকি পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাও অর্জন করবে দলটি। এটি ঘটলে ক্ষমতাসীন দল সংবিধানে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
বিষয়টি মোদির জন্যও হবে বড় মাপের অর্জন। কারণ জওহরলাল নেহরুর পর ভারতে কেউ তিনবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। আর যদি তিনি প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে নেহরুর পরে এটি হবে নতুন রেকর্ড।
নির্বাচনে বিভিন্ন দফায় বিজেপির বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি তাদের প্রার্থীদের হয়রানি ও ভয় দেখানোর মাধ্যমে দমানোর চেষ্টা করেছে। এমনকি মুসলিম ভোটাররাও দমনের শিকার হয়েছেন। কারণ তারা বিজেপির ভোট ব্যাংকে নেই।
নির্বাচন চলাকালে একাধিকবার বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে নির্বাচনি বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে মোদির বিরুদ্ধে। মোদি রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিরোধীদের দমানোর চেষ্টা করছে এমন অভিযোগও এসেছে বিরোধীদলীয়দের পক্ষ থেকে।
একই কথা বলেছে বিদেশি সংস্থাও। যুক্তরাষ্ট্রের থিংকট্যাংক ফ্রিডম হাউস বলেছে, চলতি বছর রাজনৈতিক বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে সরকারি সংস্থাগুলোকে ব্যাপক হারে ব্যবহার করেছে বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচনের আগ দিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বিরোধী দল আম আদমি পার্টি (আপ) এর নেতা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পরে নির্বাচনের মাঝে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ মেনে গত রবিবার তিনি আবার কারাগারে ফেরত যান। তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগকে রাজনৈতিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন আপ-এর নেতা-কর্মীরা। গত বছর অপরাধী আখ্যা দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও।
নির্বাচনের প্রকৃত ফলাফল কী হবে, তা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগ পর্যন্ত বলা সম্ভব নয়। তবে সমীক্ষায় এখনো মোদিই এগিয়ে। নির্বাচনের আগে তারা চারশরও বেশি আসন পাবেন বলে দাবি করেছিলেন। বিশেষজ্ঞ ও সমীক্ষার ফল বলছে, তা হয়তো হবে না, কিন্তু জয় পাবে বিজেপি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস