ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

হ্যাটট্রিকের পথে নরেন্দ্র মোদি!

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪, ০২:০০ এএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৪, ১০:১৭ পিএম
হ্যাটট্রিকের পথে নরেন্দ্র মোদি!
নরেন্দ্র মোদি

ভারতে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদি। তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনের ক্ষেত্রে যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল তা অনেকটা কেটে গেছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) শরিক দুটি দল জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) ও তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) সরকার গঠনে সমর্থন দেওয়ায় তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে আপাদত আর কোনো বাধা থাকল না। 

বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গড়তে টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু ও জেডিইউ নেতা নিতিশ কুমার বুধবার (৫ জুন) সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।

তৃতীয় বার সরকার গঠনের দাবি জানাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে যেতে পারেন মোদি। সঙ্গে থাকতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডু।

ভারতের গণমাধ্যম জানায়, বুধবার এনডিএ জোটের বৈঠকে সরকার গঠন নিয়ে মোদিকে নিতিশ বলেন, ‘তাড়াতাড়ি করুন! সরকার গঠনে দেরি করবেন না।’

এনডিএ সূত্রের দাবি, রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গঠনের দাবি জানানোর পর শুক্রবার মোদিকে এনডিএর সংসদীয় দলনেতা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী শনিবারই প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন মোদি। 

বুধবার সকালেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে পরবর্তী ধাপে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

ভারতের ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে একটি দল বা জোটের ২৭২টি আসন প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে এটা নিশ্চিত যে, বিজেপি এককভাবে ক্ষমতায় আসতে পারছে না। বিজেপি জয় পায় ২৪১টি আসনে। তবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯৩টি আসনে জিতেছে। অন্যদিকে এককভাবে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৯টিতে।

এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিজেপি আরও একবার তথা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে আশা করলেও তা বেশ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। সরকার গড়তে দলটিকে অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলোর দ্বারস্থ হতে হবে।

অন্যদিকে পরপর দুইবার ব্যাপক বাজে ফলাফলের পর আবারও জয়ের ধারায় ফিরেছে কংগ্রেস। দলটি এরই মধ্যে ৯৯ আসন নিশ্চিত করেছে। জোটগতভাবে ২৩২টি আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। বিজেপি ২০১৯ সালে এককভাবে ৩০৩টি এবং ২০১৪ সালে ২৮২টি আসন জিতেছিল। আর বিরোধী কংগ্রেস ২০১৯ সালে ৫২টি এবং ২০১৪ সালে ৪৪টি আসন জিতেছিল। সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।

যুক্তরাজ্যের নির্বাচন: ঘুরে দাঁড়াল লেবার পার্টি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম
যুক্তরাজ্যের নির্বাচন: ঘুরে দাঁড়াল লেবার পার্টি
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। ধারণা করা হচ্ছে, এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে স্যার কির স্টারমারের লেবার পার্টি।

জনমত জরিপ বলছে, স্টারমারের মধ্য-বাম দল বিপুল বিজয়ের পথে রয়েছে। মূলত ভোটাররা যে কনজারভেটিভ শাসনের বদলে অন্য কিছু চাইছেন, সে বিষয়টিই ফুটে উঠেছে জরিপের মধ্য দিয়ে। তবে স্টারমারের জন্য পথ মোটেও সহজ হবে না। তিনি বিজয়ী হলে তাকে অভিবাসন সমস্যা, মূল্যস্ফীতি, ইউক্রেন যুদ্ধ- এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো সামাল দিতে হবে। স্টারমার অবশ্য পরিবর্তনের আশ্বাস দিচ্ছেন শুরু থেকেই। নির্বাচনি প্রচারে ‘পরিবর্তন’ শব্দটিকেই বারবার ব্যবহার করেছেন তিনি।

বিজয়ী হলে যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে, তা স্টারমার নিজেও জানেন। আর তাই হয়তো শুরু থেকেই স্টারমার বলে আসছেন, ক্ষমতায় এলেও দ্রুতই কিছু বদলাতে পারবেন না, সময় লাগবে। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ভোটারদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে স্টারমার বলেন, ‘আজ ব্রিটেন নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে। আমরা আরও পাঁচ বছর কনজারভেটিভদের অধীনে কাটাতে পারব না। তবে পরিবর্তন শুধু তখনই হবে, যখন আপনি লেবারকে ভোট দেবেন।’

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাজ্যজুড়ে ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রে গতকাল ভোট হয়েছে। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি সুনাককে বৃহস্পতিবার প্রথম ভাগেই স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির সঙ্গে ভোট দিতে দেখা গেছে। উত্তর ইংল্যান্ডের রিচমন্ড নির্বাচনি এলাকায় ভোট দেন তারা। অন্যদিকে বিরোধীদলীয় নেতা স্টারমার উত্তর লন্ডনে নিজের ভোট দেন। 

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুনাক সময়ের বহু আগেই নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। নির্বাচনি প্রচারে সুনাককে কনজারভেটিভ পার্টিকে পঞ্চম মেয়াদে আনার কথা বলতে শোনা যায়নি। বরং তিনি বারবারই তুলে ধরেছেন, লেবার পার্টি ক্ষমতায় গেলে কী কী সমস্যা তৈরি হতে পারে, সে বিষয়টি।

ভোটের দিনও সুনাককে ভোটারদের সতর্ক করতে শোনা যায়। তিনি দাবি করেন, লেবার সরকার এলে কর বাড়বে, অর্থনৈতিক গতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।

বৃহস্পতিবার সুনাককে বলতে শোনা যায়, ‘তারা দেশের ও অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি করবে- যেমনটা তারা গতবার ক্ষমতায় থাকার সময় করেছিল। এমনটা হতে দেবেন না।’

সুনাক আগে থেকেই বলে আসছেন, তার ২০ মাস ক্ষমতায় থাকা অর্থনীতিকে ঊর্ধ্বমুখী করেছে এবং লেবারের উচিত হবে না সেটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। 

যুক্তরাজ্যজুড়ে ৬৫০টি নির্বাচনি এলাকায় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসের জন্য প্রার্থী নির্বাচনের জন্য ভোট হয়েছে। হাউস অব কমনসে কোনো দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য মোট আসনের অন্তত ৫০ শতাংশ বা ৩২৬টি আসনে জয়লাভ করতে হয়। 

ফলাফল আসার পর নির্বাচনে বিজয়ী দলকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানাবেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়, নির্বাচনের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয় না।

গত মেয়াদে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসে ১৩টি দল ও ১৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির দখলে ছিল নিম্নকক্ষের ৩৪৪টি আসন। প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির হাতে ছিল ২০৫টি আসন। ৪৩টি আসন ছিল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির হাতে। ১৫ আসন দখলে রেখেছিল লিবারেল ডেমোক্র্যাটসরা। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি

এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে কাজাখস্তানে পুতিন

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:০১ এএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:০১ এএম
এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে কাজাখস্তানে পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

সাংহাই কো-অপারেশন অরগানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কাজাখস্তানে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) ক্রেমলিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

সাংহাই কো-অপারেশন অরগাইজেশনের সদস্য ৯টি রাষ্ট্র। স্থায়ী সদস্যরা- কাজাখস্তান, ভারত, চীন, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং নতুন সদস্য রাষ্ট্র ইরান।

জোটটিতে চলতি বছর বেলারুশ যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের এসসিও শীর্ষ সম্মেলনেই বেলারুশ সদস্য হবে বলে জানানো হয়।

ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘৩-৪ জুলাই এসসিও সদস্য দেশগুলোর নেতারা সংস্থার মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতা আরও গভীর করার জন্য এবং এর কার্যক্রমের উন্নতি ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন।’ 

ক্রেমলিন বলেছে, পুতিনের শীর্ষ সম্মেলনে নেতাদের আরও কয়েকজনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে। 

এদিকে, সম্মেলনে যোগ দিতে গত বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও কাজাখস্তানে পৌঁছান। সেখানে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী মুরত নরতলুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। সূত্র: এএফপি 

দলের ভেতরেই চাপে বাইডেন

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
দলের ভেতরেই চাপে বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

বিতর্কে ভালো না করার দায় ‘জেট ল্যাগের’ ওপর চাপিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, বিতর্কের আগে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কয়েকবার সফর করার বিষয়টি ‘খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ ছিল না।’

গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় অনুদান সংগ্রহের এক অনুষ্ঠানে ওই মন্তব্য করেন বাইডেন। 

বাইডেন আরও বলেন, ‘আমি আমার কর্মীদের কথা শুনিনি এবং মঞ্চে প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।’ তবে বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ১৫ জুন সফর থেকে ফিরেছেন, ২৭ জুন হওয়া বিতর্কেরও প্রায় দুই সপ্তাহ আগে।

প্রেসিডেন্টের মন্তব্য এমন এক সময়ে সামনে এল যখন খোদ বাইডেনের দলের ভেতরেই তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। শুরু থেকে অনেকে বাইডেনের পাশে দাঁড়ালেও এবারই প্রথম কোনো ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা তাকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন। গত মঙ্গলবার বাইডেনের প্রতি ওই আহ্বান জানান টেক্সাসের আইনপ্রণেতা লয়েড ডগেট।

তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে সে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার বেদনাদায়ক ও কঠিন সিদ্ধান্তটি নেবেন।’ 
ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্ক চলাকালে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতেও কষ্ট হচ্ছিল বাইডেনের। তাকে দেখেও বেশ দুর্বল মনে হচ্ছিল। তবে তিনি ওই ঘটনার পর থেকেই বলে আসছেন যে ট্রাম্পকে তিনি পরাস্ত করতে পারবেন। নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেবেন না বলেও জানিয়েছেন বাইডেন।

সফরের প্রসঙ্গ তুলে অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, ‘এটি কোনো অজুহাত নয়, ব্যাখ্যা মাত্র।’ বিতর্কে নিজ ভূমিকার জন্য ক্ষমাও প্রার্থনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, তার জন্য পুনরায় নির্বাচিত হওয়াটা গুরুতর।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, বাইডেন গত মাসে দুই সপ্তাহের মধ্যে ইউরোপে দুটি পৃথক সফর সম্পন্ন করেছেন। ১৫ জুন ইতালিতে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে এক অনুদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরের দিন ওয়াশিংটনে ফেরেন তিনি।

এর আগে হোয়াইট হাউস কর্মকর্তারা জানান, বিতর্কের দিন ঠাণ্ডায় ভুগছিলেন বাইডেন। কিন্তু মঙ্গলবারের বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট কোনো রোগের কথা বলেননি। হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র বলেছেন, বিতর্ক চলার সময় তিনি ঠাণ্ডার জন্য কোনো ওষুধ নেননি।

এ ছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের প্রস্তুতি নিতে ওয়াশিংটন ডিসির বাইরে প্রেসিডেন্টদের অবকাশযাপন কেন্দ্র ‘ক্যাম্প ডেভিড’-এ বেশ কিছুটা সময় কাটান তিনি। অজ্ঞাতনামা সূত্রের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, তার সকাল শুরু হতো ১১টা নাগাদ এবং দিনের ভাগে তার ঘুমানোর জন্য কিছুটা সময় বরাদ্দ ছিল।    

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, বিতর্কের পর থেকে বাইডেন বেশ চাপের মুখে রয়েছেন। টেক্সাসের আইনপ্রণেতা ছাড়াও দলের ভেতর থেকে আরও অনেকেই তাকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। ডেমোক্র্যাটদের আশঙ্কা, বাইডেন হয়তো ট্রাম্পকে হারানোর মতো অবস্থায় নেই।

এক সূত্র জানায়, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ২৫ জন ডেমোক্র্যাটিক সদস্য আসন্ন দিনগুলোতে বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আরেক সূত্র বলছে, প্রতিযোগিতামূলক অঞ্চলের ডেমোক্র্যাটরা নিজ নিজ এলাকায় প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেক ডেমোক্র্যাট নাকি বাইডেনকে বড় পরিসরে দলের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভাবার পরামর্শও দিয়েছেন।

পুনরায় নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বাইডেন সরে দাঁড়ালে তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বর্তমান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। বাইডেন প্রচার শিবিরের সাত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানান। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেছাল ট্রাম্পের সাজা ঘোষণা

এদিকে বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়ার মামলায় সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল ১১ জুলাই। কিন্তু ট্রাম্প আইনজীবীদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সাজা ঘোষণার সময় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেছানো হয়েছে।

আইনজীবীরা সাজা ঘোষণা বিলম্বিত করার যে আবেদন জানিয়েছিলেন, সেটিতে তারা বলেন- যে সময় ওই ঘটনা ঘটে, সে সময় ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এ কারণে কিছু কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে তার আংশিক দায়মুক্তি রয়েছে। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

নিরাপদ এলাকায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১২

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫২ এএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫২ এএম
নিরাপদ এলাকায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১২
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের পূর্ব খান ইউনিসে একটি নিরাপদ এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের ৯ জনই একই পরিবারের সদস্য। 

গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) দেইর আল-বালাহতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। বুধবার (৩ জুলাই) সকালেও মধ্য গাজার এলাকাগুলোতে ইসরায়েলি বোমা হামলা অব্যাহত ছিল।

এসব হামলার মুখে বাস্তুচ্যুতির ঘটনাও ঘটছে। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েল এলাকা ত্যাগের জন্য বাধ্য করায় ২ লাখ ৫০ হাজারের মতো ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস ছাড়তে হয়েছে। গাজার মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১৯ লাখে পৌঁছেছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন বলেছেন, ‘খান ইউনিসের ইউরোপিয়ান হাসপাতাল থেকে মাত্র তিনজন রোগী ছাড়া শত শত অসুস্থ ও আহত মানুষ পালিয়েছে। ইসরায়েলি স্থল অভিযান থেকে হাসপাতালটিকে রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’  

এদিকে, ইসরায়েলের সেনাদের ওপর যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। টানা ৯ মাস যুদ্ধের পর সৈন্যরা ক্লান্ত বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কমান্ডাররা। গাজা উপত্যকায় কর্মরত চার সামরিক ব্রিগেডের কমান্ডারকে উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম। তারা বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে ক্লান্তি বিরাজ করছে। টানেল ও অবকাঠামো ধ্বংস করতে সময় লাগে। 

গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান সৌদি আরবের
সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে রাজনৈতিক ও মানবিক ফ্রন্টে নিজেদের ‘জোরালো চেষ্টা’র কথা পুনর্ব্যক্ত করছে সৌদি আরব। 

সৌদি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, জেদ্দায় ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পরে ওই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আরও বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করার জন্য দেশটির আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করা হয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা

ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে হারিকেন বেরিল

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪২ এএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে হারিকেন বেরিল
ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট হারিকেন বেরিল। ঝড়টির আঘাতে অঞ্চলজুড়ে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপে প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঝড়টি জ্যামাইকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। 

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হারিকেন বেরিল ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার ঝড়ে রূপ নিয়েছে। 

পূর্বাভাসকারীরা বলেছেন, ঝড়টি জ্যামাইকার কাছাকাছি বা তার ওপর দিয়ে কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের কাছে চলে যাবে। সে সময় ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ ঝড়ে পরিণত হবে। 

ঝড়টি শক্তিশালী হয়ে ওঠার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

গত মঙ্গলবার রাতে ঝড়টি জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টনের প্রায় ৩০০ মাইল পূর্বদক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ছিল। সেখানে ঘণ্টায় ১৫০ মাইল বেগে বাতাস বয়ে যায়। 

যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানায়, ঝড়টির কারণে দ্বীপ দেশ জ্যামাইকাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। সূত্র: আল-জাজিরা