![উত্তর কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন পুতিন](uploads/2024/06/18/putin-1718683317.jpg)
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সফরে উত্তর কোরিয়া যাচ্ছেন। ২৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন তিনি।
সোমবার (১৭ জুন) ক্রেমিলনের পক্ষ থেকে পুতিনের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়, ১৮ জুন (মঙ্গলবার) তিনি উত্তর কোরিয়া সফরে যাবেন। এরপর তিনি ভিয়েতনাম সফর করবেন।
সর্বশেষ ২০০০ সালে পুতিন উত্তর কোরিয়া সফর করেছিলেন। সে সময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন বতর্মান নেতা কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল।
এটিকে একটি ‘বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সফর’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ক্রেমলিন।
রাশিয়ান মিডিয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছেন, এ সফরে পুতিন ও কিম নিরাপত্তা বিষয়সহ একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারেন এবং মিডিয়ায় তারা যৌথ বিবৃতি দেবেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএও এই সফরের ঘোষণা দিয়েছে কিন্তু বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির সংবাদপত্র রোডং সিনমুনের মঙ্গলবারের সংস্করণে প্রকাশিত একটি চিঠিতে পুতিন বলেছেন, সমতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাসের ভিত্তিতে গত ৭০ বছরে দুই দেশ ভালো সম্পর্ক এবং অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে।
পুতিন লিখেছেন, ‘আমরা বাণিজ্য ও পারস্পরিক বন্দোবস্তের বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তুলব যা পশ্চিমাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় এবং যৌথভাবে অবৈধ একতরফা বিধিনিষেধকে প্রতিহত করব এবং একই সময়ে- আমরা ইউরেশিয়ায় সমান এবং অবিভাজ্য নিরাপত্তার একটি স্থাপত্য তৈরি করব।’
তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থন করার জন্য উত্তর কোরিয়াকে ধন্যবাদ জানান এবং পিয়ংইয়ংকে ‘মার্কিন চাপ, ব্ল্যাকমেল এবং সামরিক হুমকি’ বলে তার স্বার্থ রক্ষার জন্য সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
উত্তর কোরিয়া সফরের পর পুতিন ১৯ জুন দুদিনের সফরে হ্যানয় যাবেন।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে পুতিনের এ সফর নিয়ে আলোচনা করেছে এবং দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। সূত্র: বিবিসি/আল-জাজিরা
পপি/অমিয়/