ঢাকা ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

জিয়ার ক্ষমতা দখল ও বিএনপির সৃষ্টি অবৈধভাবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৭:৩১ পিএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ০৯:১৪ পিএম
জিয়ার ক্ষমতা দখল ও বিএনপির সৃষ্টি অবৈধভাবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বন্দুকের নলের মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে বিএনপির জন্ম হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির চেয়ারে নিজেকে আজীবন আসীন করে রাখার বাসনা নিয়ে আইয়ুব খানের অনুকরণে সেনাছাউনিতে বসে দলছুট রাজনীতিবিদদের নিয়ে ওই দল (বিএনপি) গঠন করেন মেজর জিয়া। তিনি যেমন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন, তেমনি অবৈধভাবেই বিএনপি সৃষ্টি করেন।’

বুধবার (২৬ জুন) সংসদ অধিবেশনে রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. আসাদুজ্জামান আসাদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরুর পর প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রশ্নের উত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

প্রধানমন্ত্রীর বলেন, ‘খুনি ফারুক-রশিদরা আগে নিজ থেকে জাতির পিতাকে হত্যার পরিকল্পনা করে, যেটা জিয়া জানতেন। অথচ জাতির পিতাই মেজর জিয়াকে ১৯৭২ সালে কর্নেল, ১৯৭৩ সালে ব্রিগেডিয়ার ও একই বছরে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়েছিলেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করে একাধারে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন। ইতিহাসের এই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডে জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল। জিয়া ইনডেমনিটি জারি করে জাতির পিতার খুনিদের রক্ষা করেছেন। তাদের বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসন করেছেন।’

১৯৭৮ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেই নির্বাচন সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অসাংবিধানিক ছিল। ব্যাকডেটে সই করে তিনি তার সব প্রমোশন নিয়েছিলেন। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে বারবার আমাদের পবিত্র সংবিধান কাটাছেঁড়া করেছিলেন। জিয়ার নির্দেশে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা স্বাধীন দেশের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। খুনি জিয়ার মানুষ হত্যার নমুনা নিয়ে অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তার ‘বাংলাদেশ: এ লিগ্যাসি অব ব্লাড’ লিখেছিলেন, ‘সরকারি হিসাবমতে জিয়া ১৯৭৭ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র দুই মাসের মধ্যে ১১৪৩ জন সৈনিককে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল।’ খুনি জিয়ার উত্তরসূরি স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও একই কায়দায় দেশ শাসন করেছিলেন।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া তার স্বামীকে অনুসরণ করে যুদ্ধাপরাধী নিজামী ও মুজাহিদকে মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে উপহার দেন লাখো শহীদের রক্তে ভেজা জাতীয় পতাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রশিদ ও হুদাকে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনে এমপি বানিয়ে খালেদা জিয়া প্রমাণ করেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে তার আত্মার আত্মীয়তা।’

সংসদ নেতা বলেন, ‘একমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, তখনই মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করেছে। আমরা জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করি, দেশের উন্নয়ন করি। জাতির পিতার নীতি অনুসরণ করে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন আমাদের মূল লক্ষ্য।’

তারেক জিয়াকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে

যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জোর কূটনৈতিক ও আইনি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, ‘তাকে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কিছু আইনগত জটিলতা রয়েছে। তবে সব জটিলতা আইনি প্রক্রিয়ায় নিরসন করে ওই অপরাধীকে দেশে এনে সাজার মুখোমুখি করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি, এই প্রক্রিয়ায় ফলাফল আমরা অচিরেই দেখতে সক্ষম হব।’

রাশিয়া-চীনসহ উন্নত দেশ থেকে সমরাস্ত্র কেনা হচ্ছে

আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নকল্পে ফোর্সেস গোল-২০৩০-এর আলোকে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ভারতসহ সমরাস্ত্র শিল্পে উন্নত বিভিন্ন দেশ থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাহিনীগুলোর গঠন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ফোর্সেস গোল প্রণয়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। বর্তমানে ফোর্সেস গোল-২০৩০-এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

জাতির পিতার দেখানো পথেই বাংলাদেশের সাফল্য: প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১১:০৮ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১১:০৮ এএম
জাতির পিতার দেখানো পথেই বাংলাদেশের সাফল্য: প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব
ছবি: খবরের কাগজ

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্যই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই বাংলাদেশের মুক্তি, বাংলাদেশের সাফল্য। আমাদের ব্যক্তি, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক জীবনে যা কিছু অর্জন তার সব কিছুই জাতির পিতার জন্য। বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের স্বাধীনতা ও বাংলাদেশই দিয়ে যাননি, আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের মৌলিক রূপরেখাও তিনি দিয়ে গিয়েছিলেন। সেটি নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ, প্রশাসন যাই বলি না কেন, সব জায়গায় সব কিছু করে দিয়ে গেছেন।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর যে ইচ্ছা, যে স্বপ্ন, যে বাস্তব রূপরেখা তিনি দিয়ে গেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে তিনি যে বীজ বপন করে গেছেন তার সেই দেখানো পথেই বাংলাদেশ চলছে।’

এর আগে বিকেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মানাজাতে অংশ নেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত মন্তব্য বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবির, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হক, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

হাতিরপুলে অফিস কক্ষ থেকে যুবকের অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:৪০ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:৪০ এএম
হাতিরপুলে অফিস কক্ষ থেকে যুবকের অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর হাতিরপুলের নাহার প্লাজার ৯ তলার একটি অফিস কক্ষ থেকে সেজানুর রহমান আনাস (২৩) নামে এক নিখোঁজ যুবকের অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেল ৫টার দিকে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

আনাস শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার জালাল মুন্সির ছেলে। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল পশ্চিমপাড়া দরবার শরিফ রোডে থাকতেন। ওই যুবক পেশায় একটি লিফট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সেলস এক্সিকিউটিভ ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মোনায়েম। তিনি জানান, খবর পেয়ে নাহার প্লাজার ৯ তলা থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই যুবক ফ্যানের হুকের সঙ্গে স্টিলের তার দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন। এতে তার লাশ কিছুটা পচন ধরে গেছে।

তিনি আরও জানান, নাহার প্লাজার ৯ তলায় ঢাকা লিফট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির অফিস। ওই যুবক সেই অফিসের সেলস এক্সিকিউটিভ ছিলেন। ঈদ উপলক্ষে ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে বন্ধ ছিল অফিসটি। আর ২৫ জুন থেকে তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার দুপুরে কোম্পানির মালিক পারভেজ বাবু অফিসে গিয়ে ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। অনেক ধাক্কাধাক্কির পর দরজা খুলে যায়। তখন ওই যুবককে অফিসের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, চার দিন আগে আনাস অফিসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। 

মৃত আনাসের মামা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সাত মাস আগে বিয়ে করে আনাস। কিন্তু বাসা ছোট হওয়ায় স্ত্রীকে বাসায় তুলতে পারছিল না। এসব বিষয় নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে গত ২৫ জুন রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে আসে সে। এরপর থেকে মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। শুক্রবার তার অফিস থেকে ফোন এলে তারা জানতে পারেন, আনাস গলায় ফাঁস দিয়েছে।

খাজা/এমএ/

নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:৩০ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:৩০ এএম
নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ছবি : সংগৃহীত

নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শুক্রবার (২৮ জুন) জাতীয় জাদুঘরে ‘বজলুর রহমান স্মৃতিপদক ২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধান বিচারপতি  বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অবিনশ্বর চেতনার মাপকাঠিতে সমকালীন ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঈর্ষণীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠের যে অসীম তৃষ্ণা ছড়িয়ে দিতে পেরেছে, তাতে আমরা আশাবাদী হই। সাহস পাই পরাজিত শক্তিরা যতই ষড়যন্ত্র করুক, এ মাটির বুক থেকে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, শহিদের রক্তবিন্দুকে মুছে ফেলা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো অনন্তকাল আমাদের হাত ধরে থাকবে, পথ দেখিয়ে যাবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০২৩ (ইলেকট্রনিক মিডিয়া) পেয়েছেন চ্যানেল আইয়ের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট লায়লা নওশীন। প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে যুগ্মভাবে পুরস্কার পেয়েছেন ভোরের কাগজের ঝর্ণা মনি ও ডেইলি স্টারের আহমাদ ইসতিয়াক।

সুস্থ আছেন ডেপুটি স্পিকার

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:২৩ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:২৩ এএম
সুস্থ আছেন ডেপুটি স্পিকার
ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। ফাইল ছবি

নিজ সংসদীয় এলাকায় গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। তবে এখন তিনি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আব্দুল মালেক।

শুক্রবার (২৮ জুন) পাবনার বেড়া উপজেলার আব্দুল খালেক স্টেডিয়ামে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেখানেই তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে হেলিকপ্টারযোগে দ্রুত ঢাকায় আনা হয়। ঢাকার সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে পিএস আব্দুল মালেক খবরের কাগজকে জানিয়েছেন, ডেপুটি স্পিকার এখন সুস্থ আছেন। তিনি সিএমএইচে রয়েছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তিনি কেবিনে বিশ্রাম নিচ্ছেন। এখনো রিপোর্ট আসেনি।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় বেড়া আব্দুল খালেক স্টেডিয়াম থেকে নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকায় আনা হয়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে বেড়া বিপিন বিহারী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধন শেষে নিজ বাড়িসংলগ্ন নৌকা চত্বরে বৃক্ষরোপণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তিনি অসুস্থতা বোধ করেন‌ এবং হেলে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কিছুটা সুস্থতাবোধ করায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনা হয়।

 

জনসম্পৃক্ততা বিঘ্নিত না করে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:০১ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম
জনসম্পৃক্ততা বিঘ্নিত না করে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: বাসস

জনসম্পৃক্ততা বিঘ্নিত না করে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি ভিভিআইপিদের জন্য নিরাপত্তাবলয় তৈরিতে সব সহযোগী এজেন্সির সঙ্গে সুসম্পর্ক, নিবিড় যোগাযোগ ও সমন্বয় বজায় রাখার পাশাপশি ভিভিআইপিদের জনসংযোগের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখার তাগিদ দেন। খবর বাসসের। 

শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)-এর ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আগে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

তিনি এসএসএফকে বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। আপনাদের কোনো আচরণে জনগণ যেন কষ্ট না পায় সেদিকে সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’ রাষ্ট্রপতি সদা পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় এসএসএফ সদস্যদের সর্বদা বলিষ্ঠ মনোবল, প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও পেশাদারত্বের সর্বোত্তম প্রয়োগ ঘটানোর উপদেশ দেন। এসএসএফের দায়িত্ব পালনের প্রতিটি ক্ষেত্র ‘অত্যন্ত স্পর্শকাতর’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত ও সর্বোপরি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের কারণে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তার বিষয়টি সব সময়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং। 

অতি কঠোরতা ও বাড়াবাড়ির কারণে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা ও জনগণের মধ্যে যেন কোনো দূরত্ব বা ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয় সেদিকটিও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করারও নির্দেশনা প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, নিরাপত্তা আর জনসম্পৃক্ততা দুটিকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। জনগণ থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করে নয়, বরং জনসম্পৃক্ততা স্বাভাবিক রেখেই পেশাদারত্বের সঙ্গে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এসএসএফের সদস্যদের চারিত্রিক দৃঢ়তা, উন্নত শৃঙ্খলা, সততা, দায়িত্বশীলতা এবং মানবিক গুণাবলি অর্জনের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।

অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর পেশাদার, দক্ষ ও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি চৌকস বাহিনী হিসেবে এসএসএফ গড়ে তোলা হয়েছে। ১৯৮৬-এর ১৫ জুন, রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী (পিএসএফ) গঠিত হয়, পরবর্তী সময় দেশে সংসদীয় সরকারব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পর একে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) নামে নামকরণ করা হয়। এসএসএফ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু পরিবার এবং রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী ভিভিআইপি ও বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সুরক্ষা প্রদান করে এবং ভিভিআইপিদের ওপর সম্ভাব্য হুমকি প্রতিরোধ এবং সক্রিয় হুমকি থেকে ভিভিআইপিদের সুরক্ষায় বেসামরিক প্রশাসন এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ভিভিআইপিদের অফিস ও বাসস্থানের নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করে এসএসএফ।

এ সময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।