![গবেষণায় তারুণ্যের অগ্রযাত্রা](uploads/2024/05/31/BBS-1717144465.jpg)
বাংলাদেশে বেশিসংখ্যক গবেষকের বয়স ৩৪ বছরের মধ্যে। সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণা ও উন্নয়ন নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে এই তথ্য উঠে আসে। গবেষণা ও উন্নয়ন (আর অ্যান্ড ডি) জরিপ ২০২২ শীর্ষক প্রতিবেদনটি এ মাসেই প্রকাশ করা হয় বিবিএসের ওয়েবসাইটে। প্রতিবেদনটিতে ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে লিঙ্গ ও বয়সের ভিত্তিতে গবেষকের সংখ্যা তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, লিঙ্গ ও বয়সের ভিত্তিতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অনূর্ধ্ব ৩৪ বছর বয়সের গবেষকের সংখ্যা ছিল মোট ৮৭৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের ৭৫৩১ জন। ওই বছর নারী গবেষকের সংখ্যা ছিল ১২০৫ জন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট গবেষকের সংখ্যা ছিল ৮৫৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭৪৯৭, মহিলা ১০৭০ জন। ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট গবেষকের সংখ্যা ছিল ৮৬১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭৫১৮, নারী ১০৯৪ জন।
বিপরীতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী গবেষকের সংখ্যা ছিল মোট ৪৫৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪১৪৩ জন। নারী ছিল ৪৫১ জন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট গবেষকের সংখ্যা ছিল ৪৪৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪০৫৪ জন, নারী ৪৩৩ জন। ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট গবেষক ৪৮৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৩৮৭, নারী ৪৬৬ জন।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী গবেষকের সংখ্যা ছিল মোট ২৯৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৬৬২ জন, নারী ২৭৬ জন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৮৯৩ জনের মধ্যে পুরুষ ২৬২৪ ও নারী ২৬৯ জন। ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৩০৩৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৮১৯ ও নারী ২৭৩ জন।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী গবেষকের সংখ্যা ছিল ১৩৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২৪৮, নারী ১২২ জন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৪৮৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৪০৫৪, নারী ৪৩৩। ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট গবেষক ১১৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১০৩ ও নারী ৮৫ জন।
৬৫ বা তদূর্ধ্ব গবেষকদের সংখ্যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল মোট ৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৯ ও নারী ২ জন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২ ও নারী ৬ জন। ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট গবেষকের সংখ্যা ছিল ৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ গবেষকের সংখ্যা ৪৭, মহিলা গবেষকের সংখ্যা ছিল ৪ জন।
শতাংশের হিসেবে, লিঙ্গ ও বয়সের ভিত্তিতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অনূর্ধ্ব ৩৪ বছর বয়স গোষ্ঠীর মধ্যকার গবেষকের হার ছিল মোট ৪৯.৩৮ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের হার ৪৮.১৮ শতাংশ, নারীর হার ৫৮.৫৮। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট গবেষকের অনুপাত ৪৯.৮২ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮.৯১ শতাংশ, নারী ৫৭.৪ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট গবেষকের অনুপাত ছিল ৪৮.০২ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৪৬.৭৭ শতাংশ, নারী ৫৬.০৭ শতাংশ।
বিপরীতে, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী গবেষক যথাক্রমে ২৫.৯৭ শতাংশ, ২৬.১০ শতাংশ এবং ২৬.৯২ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পুরুষের অনুপাত ২৬.৫০ শতাংশ, নারী ২১.৯৩ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে পুরুষ ২৬.৪৪ শতাংশ, নারী ২৩.২৩ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে পুরুষ ২৭.২৯ শতাংশ, নারী ২৩.৮৯ শতাংশ।
৪৫ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে গবেষকের অনুপাত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল মোট ১৬.৬১ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ১৭.০৩ শতাংশ, নারী ১৩.৪২ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে গবেষকের অনুপাত ১৬.৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ১৭.১২ শতাংশ, নারী ১৪.৪৩ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট গবেষকের অনুপাত ছিল ১৭.১৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ১৭.৫৪, নারী ১৩.৯৯ শতাংশ।
৫৫ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে গবেষকের অনুপাত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল মোট ৭.৭৪ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ গবেষকের অনুপাত ৭.৯৮ শতাংশ, নারী ৫.৯৩ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে গবেষকের অনুপাত ৬.৯১ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৭.২০ শতাংশ, নারী ৪.৫৬ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে গবেষক ছিল ৭.৮৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮.১১ শতাংশ, নারী ৫.৭৯ শতাংশ।
৬৫ বা তদূর্ধ্ব গবেষকদের সংখ্যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ০.২৯ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ০.৩১ শতাংশ, নারী ০.১০ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট গবেষকের অনুপাত ৬.৯১ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৪.৫৬ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট গবেষকের অনুপাত ছিল ০.২৮ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ০.২৯ শতাংশ, নারী ০.২১ শতাংশ।
উল্লিখিত তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী গোষ্ঠী গবেষণায় সর্বোচ্চ কেন্দ্রীভূতকরণ প্রদর্শন করে। অপরদিকে, ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী গোষ্ঠী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কেন্দ্রীভূতকরণ প্রদর্শন করে।