![বিশ্বকাপে টানা দুই হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন কামিন্স](uploads/2024/06/23/Pat-Cummins-1719120540.jpg)
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের শেষদিকে করেছিলেন হ্যাটট্রিক। ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শেখ মাহেদীকে আউট করার পর শেষ ওভারের প্রথম বলে তাওহিদ হৃদয়কেও আউট করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন প্যাট কামিন্স। সেই হ্যাটট্রিকের ধারাটা আজও বজায় রাখলেন তিনি আফগানিস্তানের বিপক্ষে। প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করলেন তিনি।
রবিবার (২৩ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টে পুনরাবৃত্তি করলেন অ্যান্টিগায় করা হ্যাটট্রিকের। এবারও দুই ওভার মিলিয়ে করলেন হ্যাটট্রিক। ১৮তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে আউট করেন টিম ডেভিডের ক্যাচ বানিয়ে। বিশতম ওভারে বোলিং করতে এসে প্রথম বলে করিম জান্নাতকে ফেরান সাজঘরে, এবারও ক্যাচ নেন ডেভিড। জান্নাতকে ফিরিয়ে জন্ম দেন হ্যাটট্রিকের সম্ভবানা। দ্বিতীয় বলে গুলবেদীন নাইবও ক্যাচ তুলে দেন। এবার তা লুফে নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পরপর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার বিরল কীর্তি গড়েন কামিন্স।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য পরপর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক এবারই প্রথম নয়। এর আগে, ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন পাকিস্তান কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম বোলার হিসেবে দুটি হ্যাটট্রিকের মালিক কামিন্স হলেও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তিনি পঞ্চম বোলার এই সংস্করণে দুটি হ্যাটট্রিক করার দিক দিয়ে।
কামিন্সের এই হ্যাটট্রিকে অষ্টমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখল হ্যাটট্রিক। আর সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৬০তম হ্যাটট্রিক। আজ কামিন্সের সুযোগ ছিল রশিদ খান, লাসিথ মালিঙ্গা, কার্টিস ক্যাম্ফার ও জেসন হোল্ডারের মতো চার বলে চার উইকেট নেওয়ার। কিন্তু, সেটি আর হয়নি ডেভিড ওয়ার্নার নানগায়াল খারোতির ক্যাচ ছেড়ে দেওয়ায়।
যদিও, এই অর্জনের মাঝেও আফগানিস্তানের কাছে ২১ রানে হেরে ম্লান হয়েছে প্যাট কামিন্সের আনন্দ।