![কাজী নজরুল ইসলাম এখনো আমাদের কাছে পুরোটা অনাবিষ্কৃত](uploads/2024/05/22/a1-1716358202.jpg)
আগামী ২৫ মে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী। কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দৈনিক খবরের কাগজ-এর নারীবিষয়ক ফিচার পেজ ‘মমতাময়ী’র জন্য আমরা নজরুলপ্রেমী দুই বোনকে নিয়ে জ্যৈষ্ঠের এক বিকেলে ধানমন্ডির স্নিগ্ধ লেকের পাশে আয়োজন করেছিলাম এক আনন্দ আড্ডার। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন বড় বোন নজরুলসংগীতশিল্পী ও শিক্ষক রত্না দাস এবং ছোট বোন শিক্ষক, নজরুল গবেষক ও নজরুলসংগীতশিল্পী ড. সম্পা দাস। সেই আড্ডার আলাপচারিতায় উঠে এসেছে তাদের নজরুল ভাবনা, সংগীতচর্চা ও নতুন প্রজন্মের কাছে নজরুলকে প্রচারের দিকনির্দেশনা। এর চুম্বকীয় অংশ তুলে ধরছেন ফিচার সম্পাদক খালেদ আহমেদ
আড্ডার দিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছালেন দুই বোন। পরিপাটি সাজে চুলে ফুল লাগিয়ে এসেছেন। এক গাল হেসে তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে শুরু হলো ফটোসেশন। সবুজের চাদর মোড়ানো লেকের পাশে বেশ খানিকক্ষণ চলল ছবি তোলার কাজ। এরপর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লেকের পাশে কাচঘেরা কফিশপে বসলাম আমরা। কফির কাপে চুমুক দিয়ে শুরু হলো আড্ডা। প্রথমেই প্রশ্ন রাখলাম বড় বোন রত্না দাসের কাছে। আপনি তো দীর্ঘদিন নজরুলসংগীত সাধনা করছেন। নজরুলের গানের প্রতি আপনার আগ্রহটা বিশেষ কোন জায়গা থেকে এসেছে? মৃদু হেসে তিনি উত্তরে বললেন, আমি একজন নজরুল গানের শিল্পী। নজরুলের গানের শিল্পী বলতে গেলে যেটি বুঝায়, সেটি আসলে একেবারেই শৈশবে শুরু হয়েছিল। যে বীজ রোপণ করা হয়েছিল, সেটি আমার বাবার হাত ধরে। আমাদের দু-বোনের ক্ষেত্রে, আমি একটু পেছনে ফিরে বলতে চাই। আমার বাবা আমাদের পিঠেপিঠি দু-বোনকে স্থানীয় একাডেমিতে নিয়ে যেতেন। তখন আমরা প্রথমে নাচ শিখি। তবে নাচের সঙ্গে সঙ্গে বাবার স্কুলে যত শিক্ষক ছিলেন, তাদের আগমন ও বিদায় সংবর্ধনায় আমাকে আগের দিন মানপত্র পাঠ করতে হতো। সে মানপত্র পাঠ করার জন্য আমাকে বারবার ডাকা হতো। আমি বেশ কয়েকবার মানপত্র পড়েছি। সেই মানপত্র পাঠ দিয়েই শুরু আমার। সে মানপত্রটা আমার বাবা লিখতেন। আমার বাবা বাংলার শিক্ষক ছিলেন এবং তিনি যা লিখতেন, আমি আজ পর্যন্ত আমার বাবার মতো এখনো কারও লেখা পাই না। এত নান্দনিক, এত আকর্ষণীয় সেই লেখা। সেই মানপত্র পাঠের বিষয়টি আসলে আমার ভেতর রয়ে গিয়েছিল। শুরুটা এভাবেই ছোটবেলা থেকে । তারপর গান শিখেছি। একদিন বাড়িতে এসে বললাম, এখন তো নাচ করি, এবার একটু গানও করতে চাই। বাবা পড়াশোনার ব্যাপারে খুবই কড়া ছিলেন। খুবই কঠিন ছিলেন। বাবা তখন বললেন, যেকোনো একটি করতে হবে। তারপর গানটাকে বেছে নিলাম। সে সময় থেকেই আমাকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নিয়ে যাওয়া হতো। সেখানে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হতো, এটা স্যারের ছোট মেয়ে। আমি হারমোনিয়াম তো বাজাতেই পারতাম না, এমনকি দাঁড়াতেও পারতাম না। আমাকে টুলে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হতো। আমাকে কেউ হয়তো হারমোনিয়াম বাজিয়ে দিত। বাজিয়ে দিলে আমি গান গাইতাম এবং সবসময় বই পুরস্কার পেতাম। এভাবেই ছোটবেলার যাত্রা। একটু বড়বেলায় যখন আমরা গ্রাম ছেড়ে ঢাকা এলাম, তখন ছায়ানটে ভর্তি হই। সেখানে আমি উচ্চাঙ্গসংগীত শিখেছি শ্রী সুচিন্ত্য হালদার স্যারের কাছে, আর নজরুলসংগীত শিখেছি আমাদের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী শ্রদ্ধেয় নিলুফার ইয়াসমিন, মানস কুমার দাশ, সুধীন দাশ, আমাদের নজরুল ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান খায়রুল আনাম শাকিল, সুমন চৌধুরী এবং অঞ্জলি রায়ের কাছে। আর একটু যোগ করব আমি, তিন কবির গান শিখেছি কলকাতার শিল্পী সর্বানী ম্যামের কাছে। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক সমর্থন তো সম্পূর্ণরূপে পাচ্ছি। এর মধ্যে আমি নেদারল্যান্ডসের একটি সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। পরে আমি যেটা দেখলাম- গান করে, সংসার সামলে এবং চাকরি করে আসলে হয় না। তখন চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে আমি এই গানটাকে প্রাণের মধ্যে রেখে দিলাম। এখন পর্যন্ত আমি নজরুলকে নিয়ে যে কাজটি করি সেটা হচ্ছে- নজরুলের যে অপ্রকাশিত ও অপ্রচলিত গানগুলো রয়েছে, সেগুলো গাইতে চেষ্টা করি।
ছোট বোন সম্পা দাসের কাছে জানতে চাইলাম নজরুলসংগীত নিয়ে ভাবনার কথা। প্রশ্ন শুনে কফির কাপে ছোট্ট করে চুমুক দিয়ে কাচের দেয়ালের বাইরে স্বচ্ছ লেকের জলের দিকে তাকালেন কয়েক পলক। বুঝতে অসুবিধা হলো না তিনি নজরুল ভাবনায় ডুব দিয়েছেন। হঠাৎই আবার ফিরলেন বাস্তবে। তবে নিমগ্ন হয়ে জবাব দিলেন এভাবে- কাজী নজরুল ইসলামকে জেনারেলাইজ করা হয় আজকে একুশ শতকে দাঁড়িয়েও তিনি কেবলই প্রেমের কবি, দ্রোহের কবি, গানের কবি ইত্যাদি হিসেবে। কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিশীল জীবন ২২ বছর, বাকি সময় কবি নির্বাক ছিলেন। এই ২২ বছরের মধ্যে ১৩ বছর তিনি একেবারেই মগ্ন সাধকের মতো আধ্যাত্মিকভাবে সুর সাধনায় মগ্ন ছিলেন এবং ১৭টির মতো রাগ সৃষ্টি করেছেন। শুধু ভারতবর্ষের সংগীতের ইতিহাসে নয়, গোটা পৃথিবীর ইতিহাসে তার মতো এত বেশিসংখ্যক সংগীত কেউ রচনা করেননি। যদিও সংখ্যাধিক্য শিল্পের মানদণ্ড বিচার করার জন্য যথেষ্ট নয়। মানদণ্ড বলতে সাহিত্যের মানদণ্ডের যে জায়গা থেকে তিনি অনেক গান রচনা করেছেন, সে কথা বলতে চাইছি না। কিন্তু তার গান যখন আমরা শুনি, সেখানে দেখা যায় যে সেটি কেবলই বাণী নয়। বাণী এবং সুরের মধ্য দিয়ে বাণী যখন আমরা পড়ি তখন এক রকমের ব্যঞ্জনা পাই। যখন সুর দেখি তখন পাই সুর এবং বাণী মিলিয়ে এক অভিন্ন ব্যঞ্জনা, এক ভিন্ন রকমের অনুভূতি তৈরি হয়। তিনি প্রায় ৫ হাজার গান রচনা করেছেন। ৩ হাজার ৩৭৬টি গান সরকারিভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। বাদবাকি গান নানান চলচ্চিত্রে পাওয়া যায়, নাটকে পাওয়া যায় বিভিন্ন জায়গায়। যেটি ঘটেছে তা হলো- কবির জীবন বা জীবদ্দশায় তিনি অনেক অর্থকষ্টে ছিলেন। নানাবিধ কারণে কবি খুব চঞ্চল, অস্থির ছিলেন। আসলে অর্থনৈতিক দীনতা একটি মানুষকে ঠিক স্বাভাবিক মস্তিষ্কে, সৃজনশীল মস্তিষ্কে থাকার জন্য যে কতটা বিঘ্ন সৃষ্টি করে, কবি নজরুল সেটির একটি জ্বলন্ত উদাহরণ ছিলেন। তিনি তার প্রথম পুত্রের মৃত্যুর পর কাফনের কাপড় কিনতে পারলেন না। তখন একজন এসে বলল- আপনি যদি গান লিখে দেন তা হলে আমি যে টাকাটা দেব, সে টাকা দিয়ে আপনি তার কাফনের কাপড় কিনতে পারবেন। তখন তিনি লিখেছিলেন, ‘ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে আমার গানের বুলবুলি...।’ অর্থাৎ যখন তার এই প্রথম সন্তানের মৃত্যু হলো, তখন তিনি চিন্তা করলেন যে তিনি আর সাহিত্য রচনায় থাকবেন না। এবং একেবারেই হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে এই ভাবনা তাকে পরিবর্তন করল এবং কাব্যজগৎ থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ নির্বাসন দিয়ে তিনি সুরের জগতে চলে আসেন। এই জগতে তিনি এতটাই মগ্ন ছিলেন, এতটাই ধ্যানস্থ ছিলেন যে অসংখ্য গান লিখেছেন। তার গানের শেষ নেই, যে-ই এসেছে তাকেই দু-হাত ভরে দিয়েছেন। সুরকার কমল দাশগুপ্তকে তিনি বলেছেন, ‘শোনো, যদি একটা সমুদ্র থেকে দুই-চারটা নুড়ি চলে যায়, কিছু পানি চলে যায়, তা হলে কিন্তু সমুদ্রের পানি কখনো কমে না।’ এগুলো তার অনেক দীর্ঘ সুরজীবনের ইতিহাস। আমি যেটি বলতে চাই, যখন তিনি কাব্যজগৎ ছেড়ে দিলেন এবং সুরজগতে এলেন, তখন কিন্তু তার কাব্যের যে মেধাটা, সেটা কিন্তু সম্পূর্ণটাই সুরের ভেতরে প্রয়োগ করতে পারলেন। অর্থাৎ একজন কবি যখন সুরও জানেন, গ্রামার জানেন সংগীতের, সংগীতের রাগরাগিণী জানেন, তখন কিন্তু তার পক্ষে যে ডেলিভারিটা সেটি কিন্তু বিরাট একটি বিষয়। নজরুল যেটি করলেন, তার সেই মেধাটাকে সুরের ভেতরে ইনপুট করলেন এবং অসংখ্য রাগরাগিণী গানের যতগুলো ধারা রয়েছে- কী কাব্যগীতি, কী প্রেমের গান, কী হলি, ভজন, কীর্তন, শ্যামা, মানে বাংলা গানের যতগুলো স্টেশন রয়েছে, যতগুলো ধারা রয়েছে- সব ধারায় তিনি সংগীত সৃষ্টি করেছেন এবং এর পাশাপাশি বিভিন্ন বিদেশি সুর এনেছেন। এই স্বল্প সময়ে তিনি কীভাবে এতকিছু আত্তীকরণ করেছেন, নিজের করে নিয়েছেন, আপন করে নিয়ে সেই মালা গেঁথেছেন, এটি স্টিল আইডেন্টিফাই। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বা বব ডিলানের মতো সাহিত্যে বা সুরে সংগীতে নোবেলজয়ী না হলেও, সাধারণ মানুষের জীবনকে আশ্রয় করে তিনি যে সাহিত্য এবং সংগীত রচনা করেছেন, সেটি সব মানুষের জীবনে মহার্ঘ্য হয়ে আছে। তবে সে বিষয়টি মানুষকে জানতে হবে যে, তার কী কী ঐশ্বর্য আছে, তখনই আমরা অনুভব করব আসলে কতটুকু সম্পদ আমাদের রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা নিজেদের ঐশ্বর্যকে উদ্ঘাটন করতে না পারব, ততদিন পর্যন্ত আমরা নিজেরাও সমৃদ্ধ হব না যে আমরা কাজী নজরুল ইসলামের উত্তরাধিকারী, আমাদের একজন নজরুল রয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৪০০ গান রচনা করেছেন। অনেকে রবীন্দ্রনাথের সাথে নজরুলের বা লালনের তুলনা করেন, আসলে কারও সাথে কারও তুলনা নাই। তারা প্রত্যেকেই স্ব স্ব জায়গায় স্বকীয় মানদণ্ডে, স্বকীয় ব্যক্তিত্বে, স্বকীয় সৃষ্টিতে উজ্জ্বল। একটি শিল্প তখনই চিরকালের হয়, যখন সেটি মানুষের মনোজগতে বা অন্তর্জগতে বিশেষ প্রভাব ফেলে, মানুষ সেটা থেকে বের হতে পারে না। তখনই কিন্তু সেটি শিল্প হয়ে যায়। সেই অর্থেই পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষ যেমন আলাদা, তেমনি প্রতিটি সৃজনশীল মানুষ আলাদা, তেমনি নজরুল, রবীন্দ্রনাথ এবং লালনও আলাদা আলাদা স্বকীয় মাধুর্যে, স্বকীয় ব্যঞ্জনায় তারা স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্বের মানুষ। তবে কাজী নজরুল ইসলাম এখনো আমাদের কাছে পুরোটা অনাবিষ্কৃত। এবং তার ভেতরে যে ঐশ্বর্য রয়েছে, সেগুলো উদ্ঘাটন হওয়া প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি।
এবার প্রশ্ন রাখলাম রত্না দাসের কাছে। বিশেষ দিবস ছাড়া নজরুলসংগীতের অনুষ্ঠান কম হওয়াটা আপনি কীভাবে দেখেন? জবাবে তিনি বলেন, শুধু নজরুলের প্রয়াণ আর জন্মদিনেই খোঁজ করে সবাই। কিন্তু নজরুল আসলে কতটা প্রাসঙ্গিক আমাদের জীবনাচরণে- সেই দিক থেকে নজরুলের গানকে প্রসার, সম্প্রসারণ যাই বলেন না কেন যদি সেটি করতে হয়, নজরুলকে ছড়িয়ে দিতে হবে বিশ্বময়। বিশ্বময় ছড়াতে গেলে বিশ্ব যা চায়- নজরুলের গানের আদি সুর, বাণী এগুলো ঠিক রেখে, নতুন করে সংগীত আয়োজনের সিদ্ধান্ত অবশ্যই নিতে হবে। কেননা পরবর্তী সময়ে এই যে আমাদের কবি, এত মেধাসম্পন্ন একজন কবি বাংলা সাহিত্যে আর দ্বিতীয়টি আসবেন কি না, আমার তো মনে হয় না।
ফিরলাম সম্পা দাসের কাছে। প্রশ্ন ছিল- বর্তমান প্রজন্মের মানুষ কি নজরুলের চেতনাকে সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারছে? উত্তরে তিনি বলেন, নজরুলের চেতনাকে বুঝতে হলে আগে নজরুলের চিন্তার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে। নজরুলকে তো কেউ চিনলই না। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে যারা বুদ্ধিজীবী রয়েছেন, তারা যখন সাহিত্যিকদের কথা, রবীন্দ্রনাথের কথা, লালনের কথা বলেন, তখন কিন্তু নজরুলের প্রসঙ্গটি ইচ্ছে করেই তাদের কৌলীন্যবোধ থেকে সুকৌশলে এড়িয়ে যান এবং নজরুলকে মর্যাদা দেওয়া তো দূরের কথা, তারা স্বীকৃতিই দিতে চান না।
আরেকটু সংযোজন করতে চাই, নজরুলকে আসলে কেউ হিন্দুর কবি বলেন, কেউ মুসলমানের কবি বলেন, যেটি নিয়ে খুব দ্বন্দ্ব বাঁধে, যুদ্ধ বাঁধে রীতিমতো। নজরুল কিন্তু মানবতার কবি, এই কথাটা কিন্তু কেউ বলে না। নজরুলকে সব সময় দ্রোহ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এক কথায় যদি বলতে চাই, তিনি মানবতার কবি। তিনি বলেছেন- ‘মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান, মুসলিম তার নয়নমণি, হিন্দু তার প্রাণ...।’ তিনি একাধারে শ্যামাসংগীত লিখেছেন, ইসলামিক গান রচনা করেছেন। ওনার ইসলামি গান ‘ও মোর রমজানেরও রোজার শেষে’ না হলে আমাদের ঈদ সম্পূর্ণ হয় না, পূর্ণতা পায় না। তেমনই করে তার রচিত কালীর যে বন্দনা, প্রচুর শ্যামাসংগীত এসব ছাড়া আমাদের পুজো সম্পূর্ণ হয় না। তারপর তিনি নাটকের জন্য গান লিখেছেন স্বকণ্ঠে এবং ওনার সৃষ্ট রাগরাগিণী প্রচুর আছে। এত সীমাহীন বিস্ময় নজরুলকে কেন্দ্র করে, সারাজীবনেও এই বিস্ময় কাটবে না, ঘোর লাগা থাকবেই।
জাহ্নবী