![পরিবেশ রক্ষায় কাজ করেন যারা](uploads/2024/06/05/a2-1717569488.jpg)
ইরিনা স্টাবচুক
(ইউক্রেন)
ইরিনা স্টাবচুক, জলবায়ু নীতির একজন শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ। তিনি ইউরোপীয় জলবায়ু ফাউন্ডেশনের ইউক্রেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেছেন। তার প্রধান লক্ষ্য, ইউক্রেনের যুদ্ধোত্তর সংস্কারের জন্য সবুজ এবং জলবায়ু-উপযোগী সমাধান প্রস্তুত করা।
এর আগে ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ইউক্রেন সরকারের উপপরিবেশমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। দেশটির জলবায়ু পরিবর্তন নীতি, ইউরোপীয় ইন্টিগ্রেশন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য কাজ করেছেন।
দুটি উল্লেখযোগ্য পরিবেশবাদী বেসরকারি সংস্থা- ইকোঅ্যাকশন এবং কিয়েভ সাইক্লস্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে কাজ করা নাগরিক সমাজের আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক সমন্বয়কারী ইরিনা স্টাবচুক।
তিনি বলেন, ‘আমরা যে জায়গা ও পরিস্থিতির মধ্যে আছি তার মধ্য থেকে সর্বোচ্চ দেওয়াটাই আমাদের কাজ’।
সাগরিকা শ্রীরাম
(সংযুক্ত আরব আমিরাত)
স্কুলে জলবায়ু শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন কিশোরী সাগরিকা শ্রীরাম। কোডিং দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘কিডস ফর বেটার ওয়ার্ল্ড’ গড়ে তুলেছেন তিনি; যা বিশ্বব্যাপী শিশুদের নিজেদের মধ্যে টেকসই উদ্যোগ নেওয়ার শিক্ষা দিয়ে থাকে।
পরিবেশবিষয়ক কর্মশালার মাধ্যমে নিজেদের এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ইতিবাচক কার্যক্রম পরিচালনা করে সাগরিকার এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। অফলাইনেও চলে এর কার্যক্রম।
জাতিসংঘের শিশু অধিকারবিষয়ক সংস্থার পরামর্শক দলে যুক্ত থেকে পরিবেশ অধিকার নিয়ে কাজ করেন সাগরিকা। এ ছাড়া দুবাইয়ে
এ-লেভেলে পড়াশোনাও করেন তিনি। সাগরিকা বলেন, ‘প্রতিটি শিশু যেন টেকসইভাবে বাঁচতে পারে এবং পৃথিবীতে আমরা কীভাবে পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনতে চাই তা যেন শিখতে পারে।’
আনা হুটুউনেন
(ফিনল্যান্ড)
আনা হুটুউনেন ফিনল্যান্ডের লাহটি শহরকে আরও বেশি পরিবেশবান্ধব এবং পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। ২০২১ সালে এই শহরটিকে ইউরোপের ‘সবুজ রাজধানী’ হিসেবে মনোনীত করা হয়।
তিনি শহরের কার্বন ট্রেডিং মডেলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যা থেকে নাগরিকরা পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন ব্যবহার করে ক্রেডিট অর্জন করতে পারে। এটি বিশ্বের প্রথম অ্যাপ যা এমন সুবিধা দেয়।
তিনি নেটজিরোসিটিসের ক্লাইমেট নিউট্রাল সিটিজের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। নেটজিরোসিটিস এমন একটি সংগঠন যা ইউরোপীয় শহরগুলোয় ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে।
হুটুউনেন অন্যদের টেকসই গতিশীলতা সম্পর্কে আগ্রহী করতে চান। এ ছাড়া তিনি সাইক্লিংয়ের একজন উদ্যোগী প্রচারকও বটে।
ক্রিশ্চিয়ানা ফিগারেস
(কোস্টারিকা)
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের নির্বাহী সেক্রেটারি হিসেবে ২০০৯ সালে জাতিসংঘে যোগদান করেন ক্রিশ্চিয়ানা ফিগারেস। ছয় বছর একটি সম্মিলিত জলবায়ু কৌশলের বিষয়ে সদস্য দেশগুলোকে সম্মত করার প্রচেষ্টায় কাজ করেন তিনি।
২০১৫ সালে প্রায় ২০০টি দেশ যে ঐতিহাসিক প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষর করে সেটির পেছনে ফিগারেসের অবদান অনস্বীকার্য। এই আন্তর্জাতিক চুক্তিতে বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়ন প্রাক-শিল্প স্তরের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ফিগারেস বর্তমানে গ্লোবাল অপটিমিজমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। সংগঠনটি জলবায়ু সমস্যার সমাধান গ্রহণে বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করে। ফিগারেস বলেন, ‘আমি সম্মিলিতভাবে পরবর্তী প্রজন্মের কল্যাণে একটি সুন্দর পৃথিবী রেখে যাওয়ার জন্য কাজ করার স্পৃহা অনুভব করি।’
সূত্র: বিবিসি
জাহ্নবী