ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

নাস্তা খেয়ে কাজে ফেরার পথে লড়িচাপায় ৩ কর্মীর মৃত্যু

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:২৮ এএম
নাস্তা খেয়ে কাজে ফেরার পথে লড়িচাপায় ৩ কর্মীর মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে লরির ধাক্কায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মচারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। 

শনিবার (২৫ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিরসরাইয়ের সুফিয়া রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- পাবনার সুজানগরের সৌখেতুপাড়ার আবুল কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪৫), একই থানার রায়পুর গ্রামের মালেক ব্যাপারীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪২) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আন্দিনীল গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে মাসুদ মিয়া (৩৫)। আহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।

জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রাম লেনের পূর্বপাশে পাইপলাইনের কাজ করছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এ কাজে নিয়োজিত দীপন গ্যাস নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠনের চার কর্মী সকালের নাশতা করে কাজে ফিরছিলেন। এ সময় দ্রুতগতির একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে গাছের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। পরে চালক লরির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মূল সড়কে উঠতে গিয়ে ওই চার কর্মচারীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। 

আহত ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল সরকার বলেন, ‘আমরা লরিটি আটক করেছি। ঘটনার পরপরই লরির চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

তারেক/ইসরাত/অমিয়/ 

সিট বাণিজ্য, শিক্ষার্থীকে মারধর আইএইচটি ছাত্রলীগ সভাপতিসহ বহিষ্কার ৬

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
আইএইচটি ছাত্রলীগ সভাপতিসহ বহিষ্কার ৬
ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আল আমিন হোসেনকে এক বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিট-বাণিজ্য ও এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়। ফলে এ সময়ে তিনি ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও ছাত্রাবাসে অবস্থান করতে পারবেন না। একই অভিযোগে আরও পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মীকে ছয় মাসের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুজনকে তিরস্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তি ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। যদিও আইএইচটি কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নোটিশ আকারে বিষয়টি প্রকাশ করেছেন।

বহিষ্কৃতরা হলেন- আইএইচটি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ডেন্টাল অনুষদের আল আমিন হোসেন, ছাত্রলীগ কর্মী ডেন্টাল বি গ্যালারির মাসুদ পারভেজ, ফারহান হোসেন, ল্যাব-এ গ্যালারির শাহরিয়ার নাফিজ ও পারভেজ মোশাররফ এবং রেডিওলোজি-এ গ্যালারির নিলয় কুমার। তাদের মধ্যে আল আমিন হোসেনকে এক বছরের জন্য ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া ফার্মেসি বিভাগের সিফাতকে তিরস্কার করে ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক করা হয়েছে। প্রশাসনকে না জানিয়ে অন্য (ছাত্রলীগ সভাপতি) ব্যক্তির সঙ্গে টাকা লেনদেনের জন্য ফার্মেসি বিভাগের মো. হাসানকে তিরস্কারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্ক করা হয়েছে।

শাস্তির নোটিশে জানানো হয়, শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসেন প্রথম বর্ষের ছাত্র হাসানের কাছ থেকে হোস্টেলে সিট দেওয়ার নামে টাকা নেন। ২৯ এপ্রিল শাস্তিপ্রাপ্ত অপর পাঁচ শিক্ষার্থী (ছাত্রলীগ কর্মী) হাসানকে মারধর করেন। আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ১ মে থেকে আইএইচটি ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে গত ৬ জুন একাডেমিক সভায় শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শাস্তি প্রদানের নোটিশটি গত ১২ জুন স্বাক্ষর করেছেন অধ্যক্ষ।

শাস্তিপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ সভাপতি আল আমিন হোসেন বলেন, ‘নোটিশটি ক্যাম্পাস ছুটির কিছুক্ষণ আগে প্রকাশ করা হয় বলে জানতে পেরেছি। তবে ব্যক্তিগতভাবে শাস্তির কোনো চিঠি আমি পাইনি। যদিও ওই বিষয়টি (সিট বাণিজ্য ও শিক্ষার্থীকে মারধর) তখনই মিটমাট হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে কলেজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করায় আমাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।’ এ বিষয়ে আগামী রোববার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।

আইএইচটি অধ্যক্ষ ডা. ফারহানা হক জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমার পর একাডেমিক কাউন্সিল সভা হয়। সভায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার এই সিদ্ধান্ত হয়। গেল কয়েকদিন প্রশাসনিক কাজের চাপ থাকায় এই সংক্রান্ত আদেশের নোটিশটি প্রকাশে দেরি হয় বলে জানান তিনি।

 

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২
ছবি: খবরের কাগজ (ভিডিও থেকে নেওয়া)

ফরিদপুর-ঢাকা মহাসড়কের ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার যুদুনন্দি এলাকায় বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে‌ চারজন। নিহতরা হলেন- পিকআপের ড্রাইভার ও হেলপার। তবে তাদের নাম পরিচয় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেল তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিকেল তিনটার দিকে ফরিদপুরের দিকে যাওয়ার পথে গোল্ডেন লাইনের একটি পরিবহনের সঙ্গে ভাঙ্গাগামী একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপের ড্রাইভার ও হেলপার নিহত হয়। আর এই ঘটনায় বাসের আরও চার যাত্রী আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিস, হাইওয়ে পুলিশ ও নগরকান্দা থানা পুলিশ। সড়ক দুর্ঘটনার পরে ওই এলাকায় যানজট তৈরি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সঞ্জিব দাস/এমএ/

দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮, আহত ৩২

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮, আহত ৩২
ছবি : খবরের কাগজ

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত ও ৩২ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ জুলাই) জেলা সদরের পাঁচবাড়ী এলাকায় ও ফুলবাড়ী উপজেলার হাসপাতাল মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সদর উপজেলায় নিহতরা হলেন চিরিরবন্দর উপজেলার মমিনুল ইসলামের পাঁচ মাসের মেয়ে জায়না, সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের স্বদেশ রায়, বোচাকুঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদ জাহিদের মেয়ে বিভা, লক্ষণ বাহাদুরের ছেলে রাজেশ বাহাদুর, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার দানেশ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী ও মৃত সূরার ছেলে হাসু। ফুলবাড়ী উপজেলায় নিহতরা হলেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার নওনা গ্রামের বাসিন্দা আমান উদ্দিন ও একই উপজেলার পারোইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মেনহাজুল।

দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত এক যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওগামী নাবিল পরিবহনের একটি বাস ফজরের নামাজের জন্য বিরামপুরে যাত্রাবিরতি দেয়। এ নিয়ে অন্য ধর্মাবলম্বী এক যাত্রী বাসের চালকের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া শুরু করেন। এরপর চালক দ্রুতগতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। সকাল ৬টার দিকে বাসটি ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের পাঁচবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। 

এদিকে জালিয়াপাড়া এলাকায় স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আমবোঝাই একটি ট্রাক পেছন থেকে একটি ভ্যানকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক স্বদেশ রায় নিহত হন। ভ্যানটিকে চাপা দেওয়ার পর ট্রাকটি পালিয়ে যাচ্ছিল। ট্রাকটি দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় পাঁচবাড়ী এলাকায় নাবিল পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ৫ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হন। 

এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মেডিকেল অফিসার জিল্লুর রহমান জানান, সদর উপজেলায় দুর্ঘটনাস্থলে দুজন এবং হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চারজন মারা যান। আহতদের মধ্যে দুজন আইসিইউতে আছেন। তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর অন্যরা এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

অন্যদিকে একই দিন বেলা ৩টায় ফুলবাড়ী উপজেলার হাসপাতাল মোড়ে ট্রাকের সঙ্গে গরুবোঝাই নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে নসিমনের চালকসহ দুজন নিহত হন। এ সময় আহত হন চারজন। 

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, নিহত ও আহতদের পারিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সদর উপজেলার দুর্ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে পুলিশ বিআরটিএ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি সমন্বয়ে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এএসএম আলমগীর/জোবাইদা/এমএ/

গাইবান্ধায় ২৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি, বিশুদ্ধ পানির সংকট

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম
গাইবান্ধায় ২৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি, বিশুদ্ধ পানির সংকট
ছবি : খবরের কাগজ

গাইবান্ধায় করতোয়া, ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়েই চলেছে। দুইদিন ধরে ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ওপরে। অবিরাম বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। ২৮ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তারা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন। বিশেষ করে দুর্গম চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী এলাকার পরিস্থিতি আরও বেশি করুণ।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, জেলার চার উপজেলায় ২৭টি ইউনিয়নে বন্যার্ত পরিবারের সংখ্যা ২৮ হাজারেও বেশি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিতরণের জন্য ৪০০ মেট্রিক টন (জিআর) চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা মজুত রয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার ৫০টি শুকনো খাবারের প্যাকেট ও ১৬৫ মেট্রিক টন চাল চার উপজেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। 

অন্যদিকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি ও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

ফুলছড়ি উপজলোর গুপ্তমনি চর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার থেকে তার ঘরের ভেতর তিন থেকে চার ফুট পানি। নলকূপ ও শৌচাগার ডুবে গেছে । পানিতে ভেসে গেছে হাঁস-মুরগি। গরু-ছাগল নিয়ে মহাবিপদের মধ্যে আছেন। বুধবার সকাল থেকে বৃস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তারা শুকনো খাবার খেয়ে আছেন। বৃষ্টির মধ্যেই নৌকা নিয়ে বালাসিঘাট এলাকায় বাজারে শুকনো খাবার ও পানি কিনতে এসেছেন।

একই গ্রামের সাজু মিয়া জানান, শুধু তারা নয়, তাদের মতো অনেক পরিবার পানিবন্দি। তারা সামান্য খাবার খেয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারছেন না বাড়ি-ঘরে আসবাবপত্র রেখে। এ মুহূর্তে তাদের শুকনো খাবার ও পানি খুবই দরকার।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, নদ-নদীর পানি বাড়লেও আপাতত বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়ার কারণ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল। এ পানি ঘাঘট নদীতে প্রবেশ করেছে। একই কারণে করতোয়ার পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে বৃষ্টির কারণে বাঁধের বিভিন্ন এলাকায় রেইনকাট হয়েছে। সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জানান, ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য নৌকা, স্পিডবোট প্রস্তুত রয়েছে। জেলা ও উপজেলায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। ইউনিয়নভিত্তিক বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম, কৃষি টিম, স্বেচ্ছাসেবক টিম এবং লাইভস্টোক টিম গঠন করা হয়েছে।

রফিক খন্দকার/জোবাইদা/

মাদারীপুরে ৭২ লাখ চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
মাদারীপুরে ৭২ লাখ চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন
ছবি: খবরের কাগজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে ৩০ কোটি গাছ রোপণ করার উদ্দেশ্যে মাদারীপুরে ৭২ লাখ বনজ ও ফলদ গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে গ্রামীণ ব্যাংক মাদারীপুর জোনের উদ্যোগে মস্তফাপুর গ্রামীণ ব্যাংকের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তিন জেলার (মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জ) জোনাল প্রধান। 
এ সময় মাদারীপুর জোনাল ম্যানেজার আ. মান্নান বলেন, ‘আমরা এক একজনকে ৫-৬টি করে গাছের চারা বিতরণ করেছি। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭২ লাখ চারা বিতরণসহ রোপণ করব। গাছ হলো পরম বন্ধু। আশা করছি আমাদের গ্রামীণ ব্যাংকের যে লক্ষ্যমাত্রা, আমরা তা পূরণ করতে পারব।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এরিয়া ম্যানেজার আ. রহিম, শাখা ব্যবস্থাপক দীপক কুমারসহ শাখার কর্মকর্তারা। 

রফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/