প্রার্থিতা আটকে গেল ঢাকা-৭ আসনের মোহাম্মদ হাসিবুর রহমানের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে এবং প্রতীক বরাদ্দ দিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও এক প্রার্থীর করা আপিলের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) হাসিবুরের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী আপিলের শুনানিতে জানান, হাসিবুরের করা প্রথম রিটটি সরাসরি খারিজ হয়েছে, আদালতের এমন আদেশের তথ্য গোপন করে আরেকটি রিট করে প্রার্থিতা নেওয়া আদালতের সঙ্গে ‘প্রতারণা’। এ সময় আদালত বলেন, ‘এত চতুরতার কৌশল নিলে হবে না। হাইকোর্টের সঙ্গে ফ্রড (প্রতারণা) করেছেন। এ ধরনের প্রতারণা করতে দেওয়া হবে না।’ একপর্যায়ে হাসিবুরের আইনজীবী বলেন, ‘হাইকোর্টে ভিন্ন আইনজীবী ছিলেন।’
হাসিবুর রহমান সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ঢাকা-৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে তার মনোনয়নপত্র গত ৪ ডিসেম্বর বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ঋণখেলাপির কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এর বিরুদ্ধে তিনি ইসিতে আপিল করেন, যা ১৪ ডিসেম্বর নামঞ্জুর হয়। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। ১৮ ডিসেম্বর রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। পরে প্রার্থিতা পেতে আরেকটি রিট করেন হাসিবুর। শুনানি নিয়ে ২০ ডিসেম্বর হাইকোর্টের অপর একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী মো. ইদ্রিস ব্যাপারী ও নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন। এ আবেদনের শুনানি শেষে হাসিবুরের প্রার্থিতা বাতিল করলেন সর্বোচ্চ আদালত।
শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। ইদ্রিস ব্যাপারীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ এবং হাসিবুর রহমানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া ও অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।
এমএ/