![বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থার আলোকে এগিয়ে যাবে](uploads/2024/06/24/M.-Humayun-Kabir-1719205540.jpg)
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক আশাব্যঞ্জক ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। ১৩টি ইস্যুতে তারা পারস্পরিক সম্পর্কের ইতিবাচক উন্নয়নে আলোচনা করেছেন। আমরা জানি, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বেশ গভীর এবং বিস্তৃত। ভারত আমাদের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী, একই সঙ্গে বন্ধুপ্রতিম দেশ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে অমীমাংসিত কিছু বিষয়ের পাশাপাশি গুরুত্ব পেয়েছে অর্থনৈতিক এবং যোগাযোগের বিষয়টি। দুই দেশকেই মনে রাখতে হবে যে, নিকট প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক সুষম হলে তা টেকসই ও গতিশীল হবে।
ভারতে এবারের সাধারণ নির্বাচন বলা যায় অনেকটা ড্রামায় পরিপূর্ণ ছিল। তার কারণ হচ্ছে, নির্বাচনের আগেই এ নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণে উত্তেজনা বিরাজমান ছিল। সে ক্ষেত্রে ইতিবাচক না হলেও নেতিবাচক একটা প্রভাব দেখা গেছে। তার কারণ ছিল অনেকেই মোটামুটি প্রত্যাশা করছিলেন যে, ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার যে ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক অবস্থান, অর্থাৎ তার যে ভাবমূর্তি, এতে বিজেপি তাকেই পুঁজি করে তাদের এই নির্বাচনি ছকটা সাজিয়েছিল। সাম্প্রতিককালে ভারতে গত ১০ বছরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের যে ব্যত্যয়গুলো ঘটেছে, যেমন রাজনৈতিক নেতাদের তার পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেওয়া, দুর্নীতির অপরাধে জেলে পাঠানো, মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা। নির্বাচন কমিশন থেকে অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানকে মোটামুটিভাবে প্রভাব বিস্তার করার মতো বিষয়গুলো সামগ্রিক অবস্থার কারণেই লোকজন ধরে নিয়েছিল বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। বিজেপি একটা স্লোগান আকারে রূপান্তিত করেছিল যে, এবার ৪০০-এর বেশি আসন পেয়ে যাবে। বিজেপি যথেষ্ট পরিমাণ আত্মবিশ্বাসী ছিল যে, এ রকম একটা ফলাফল আসবে। দ্বিতীয় ড্রামায় যেটা দেখা যায়, ৪ জুনে ফল ঘোষণা হলো, তার দু-এক দিন আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন মিডিয়া বিজেপির পক্ষে বরাত দিতে শুরু করে। এবার বিজেপি এবং তার সহযোগীরা বেশ ভালো ফল করবে। তারা প্রায় ৩০০-৪০০-এর কাছাকাছি আসন পাবে, এমন আশ্বাস দিয়েছিল।
বাস্তবতা ছিল, এই বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা বিজেপি সরকার বা এনডিএ সরকার, তারা যে সরব অবস্থানে ছিল, সেখানে তাদের বিরোধীদের কোনো অবস্থায়ই সুযোগ নেই। কিন্তু ফলাফল যখন বেরিয়ে এল, তখন দেখা গেল চিত্রটা ভিন্ন। বিজেপি ১০ বছর ধরে শাসন করছিল এবং তারা জনমনে এমন একটা বার্তা প্রেরণ করেছিল যে, তাদের বিজয় অনিবার্য। কিন্তু ভারতের জনগণের চিন্তা ভিন্ন ছিল, যা ভোটে প্রকাশ পেয়েছে। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গঠনের মতো অবস্থায় পৌঁছতে পারেনি। প্রথম বৈশিষ্ট্য হলো বিজেপির ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। বিজেপি এবং মোদির ভাবমূর্তি কিছুটা নষ্ট হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কেন্দ্র করে তারা নির্বাচনি ইশতেহারটা তৈরি করেছে যে, ভোট দিতে হবে মোদিকে। সে ক্ষেত্রে জনগণ যখন বিজেপিকেই স্বাভাবিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিল না, তখন কিন্তু প্রকারান্তরেই মোদির নেতৃত্বের ওপর থেকে একধরনের অনাস্থা প্রকাশ হলো। দ্বিতীয়ত, বিজেপি দল হিসেবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সে ক্ষেত্রে বিজেপি যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভারত শাসন করছিল, ভারতের জনগণ সে পদ্ধতিতে একমত হতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে বিরোধী দল তাদের সহযোগীদের নিয়ে পার্লামেন্টে একটা উল্লেখযোগ্য বিরোধী দলের ভূমিকায় জায়গা করে নিয়েছে। এটা বলা যায় যে, ভারতের জনগণ তাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে পেরেছে। ভারতের জনগণের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জিদ বা বিচ্ছেদ বা শঙ্কা তৈরি হচ্ছিল, যেই শঙ্কা ভারতের জনগণ সক্রিয়ভাবে দূরীভূত করতে পেরেছে। সক্রিয়ভাবে নির্বাচনের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পেরেছে।
গত ১০ বছর ধরে বিশেষ করে এই নির্বাচনের প্রচারকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজেই মুসলমানদের বিরুদ্ধে বাজে বা কটু মন্তব্য করেছিলেন। মনে করা হয়েছিল, এতে করে তিনি হয়তো আবার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে তার পক্ষে নিয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেল, উত্তর প্রদেশে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মাধ্যমে যে সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক দাঙ্গা বেগবান হয়েছিল, সেই উত্তর প্রদেশেই তারা হেরে গেল। অর্থাৎ তারা গত নির্বাচনে যে আসন পেয়েছিল, তার অর্ধেকে নেমে গেল। সেখানে কংগ্রেস ও সহযোগী সমর্থকরা খুব ভালো ফল করেছে। তারাই কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। কাজেই উত্তর প্রদেশের বিজেপির এই পরাজয়টা শুধু ভোটে নয়, বিজেপির রাজনৈতিক ধারার প্রতি ভারতের জনগণের অনাস্থা প্রকাশ পেল।
আরেকটা বৈশিষ্ট্য হলো, যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল, সেখানেই রামমন্দির তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এ বছরের জানুয়ারি মাসে এই মন্দির উদ্বোধন করেন। উত্তর প্রদেশে জনগণ ধর্মীয় রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনকি রামমন্দির যে জায়গায় তারা সেটাকেই প্রত্যাখ্যান করেছে। সেখানে তারা বিজেপিকে ভোট দিয়ে জয়ী করেনি। ভারতীয় রাজনীতির গতি-প্রকৃতির ক্ষেত্রেও উত্তর প্রদেশে নির্বাচন একটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।
ইতোমধ্যে সরকার গঠিত হয়েছে। এনডিএ জোট বস্তুত ১৯৯৯ সাল থেকেই ক্ষমতায় আছে। কিন্তু গত সরকার এনডিএ জোটেরই সরকার ছিল। যেহেতু বিজেপির নিজস্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল, সেহেতু এনডিএ জোটের প্রয়োজন হয়নি। সেটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সেখানে মোদি ব্যক্তি হিসেবেই বিজেপির চেয়েও বড় হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে একটি ক্ষমতাকেন্দ্রিকতা তৈরি হয়েছিল বা কেন্দ্রিকতার প্রক্রিয়াগুলো শুরু হয়েছিল। এবার যেহেতু বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই; এবারের নির্বাচনে কোয়ালিশন সরকার গঠিত হয়। ভারতে নব্বইয়ের দশকে যে কোয়ালিশন রাজনীতি ছিল, সেটা আবার প্রকারান্তরে ফেরত এসেছে। এখন একক দলের নেতৃত্বের চেয়ে কোয়ালিশন সরকার আসার একটা সুযোগ তৈরি হলো।
কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে গত ১০ বছরে যে সম্পর্কের পরিবর্তন ঘটেছিল, সেখানেও একটা গুণগত পরিবর্তন আসবে। এখন রাজ্যগুলোকে কেন্দ্রের ওপর আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। এখানে সবাই বিজেপিকে কেন্দ্রে থাকার যে সমর্থন দিচ্ছে তার বিনিময়ে কিন্তু তারা কিছু চাইবে। চাওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্পর্কে একটা ইতিবাচক দ্বিবচনের সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে হয়। ভারতের জনগণ গণতন্ত্র রক্ষা করেছে। তারাই এই নির্বাচনের নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিজেপি এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ কিন্তু জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে একটা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ভারতের জনগণ সেটা ভোটের মধ্যে প্রমাণ করে দিয়েছে। ভারতে আবার সেই কোয়ালিশন সরকারের পুনরুত্থান দেখতে পাচ্ছি। এবার লোকসভায় বিরোধী জোট আছে, সে কারণেই স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পার্লামেন্ট যেভাবে কাজ করে, সেভাবে কাজের একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মূলমন্ত্র দায়বদ্ধতা, যা সরকারকে মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। সেই জায়গাটা শক্তিশালী হবে বলে মনে হয় এবং পার্লামেন্টটা প্রাণবন্ত হবে। আরেকটা বিষয় হলো, কেন্দ্র-রাজ্যের সম্পর্কের মধ্যে একটা বিষয় লক্ষ করছি- আগামী ৫ বছরে মোদি সরকার অর্থনীতি নিয়ে অনেক উদ্বিগ্ন। ভারতের অর্থনীতিতে তা দৃশ্যমান বলে মনে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে এই অর্থনীতির সম্পৃক্ততা রয়েছে। এখন ভারতে কর্মসংস্থান, মানুষের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়ন ইত্যাদি কাজগুলোকে এখন প্রাধান্য দিতে হবে।
মোদি সরকার অর্থনীতির দিকে বেশি মনোযোগ দেবে। ধর্মীয় বিষয়টায় ততখানি মনোযোগ হয়তো দেবে না। কারণ তারা বিজেপির রাজনীতি বজায় রাখতে চেষ্টা করবে। কিন্তু ধর্মীয় বা এ ধরনের উগ্র চিন্তার জায়গায় অর্থনীতির প্রতি মনোযোগী হওয়াটা বোধ হয় এই সরকারের বিষয় হবে। তারই একটা ভিন্নতা আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি।
তিস্তা সমস্যার সমাধান হওয়া খুবই দরকার। তিস্তার পানিবণ্টনের সঙ্গে আরও ছয়-সাতটি নদীর পানি এবং গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের বিষয়টা যোগ হয়েছে। আমরা এ অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানমুখী চিন্তায় আগ্রহী। এ বিষয়ে জনমনে যথেষ্ট প্রত্যাশা রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ বিস্তৃত। তা ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কে ছাড় কিংবা শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর ফলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বন্দর, রেলওয়ে ব্যবহারে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বেশ অগ্রগতি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সুষম সুযোগ পেতে বাংলাদেশ কী সুবিধা পেতে পারে, সেগুলো নিয়ে পরস্পর আলোচনা নানা আঙ্গিকেই যুক্তিসংগত। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শুধু উত্তর-পূর্ব ভারত নয়, অন্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ বাড়তে পারে সে বিষয়ে কাজ করতে হবে। নৌপরিবহনে জোর দিতে নৌযোগাযোগকে সমৃদ্ধ করা আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এ বিষয়টিও চর্চায় রাখতে হবে। সীমান্ত হত্যা বন্ধে আগের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে দুই দেশের বাইরে আঞ্চলিক ইস্যুগুলোতেও একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা যেমন ভারতের প্রয়োজনীয়তাকে সম্মান জানাই, তারাও বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তা, প্রত্যাশাকে সম্মান করবে- এটাই সবার চাওয়া। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে তৈরির কিছু নেই। চলমান বোঝাপড়াটাকেই শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হবে। যেগুলো সম্ভাবনার জায়গা আছে, সেগুলোর বিষয়ে অগ্রগতি হলে এই সফর অথবা আলোচনাটা সার্থক হবে। যেমন সীমান্ত হত্যা যদি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি হয়, সেটিও একটি অগ্রগতি হিসেবে ধরতে হবে আমাদের। এর পাশাপাশি বহুকাল ধরে ঝুলে থাকা ভারতে পণ্য রপ্তানিতে আধা শুল্কের মতো সমস্যাগুলোর সমাধান হওয়ার মতো বিষয়গুলোও আমাদের জন্য সফলতা। ভারতের দিক থেকে যদি বলি তারা হয়তো কানেক্টিভিটি বাড়াতে চাইবে। এর পাশাপাশি নতুন এরিয়ায় তারা যেতে চাইবে, যেমন মোংলা বন্দর। এখন যেতে চাওয়া আর কার্যকর হওয়া ভিন্ন বিষয়। সেটি যাতে কার্যকরযোগ্য হয় ও উভয়েই সুষমভাবে সুযোগ-সুবিধা পায় তা মনে রাখতে হবে।
আমাদের দিক থেকে মনে করি বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় কাঠামোর মধ্যে এটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য আমরা দুই পক্ষই চেষ্টা করতে পারি। ভারত ও চীনের মধ্যে বিরাজমান প্রতিযোগিতা দিয়ে বাংলাদেশকে দেখা সঠিক হবে না। কারণ বাংলাদেশের দিক থেকে আমরা দ্বিপক্ষীয় চিন্তাভাবনার আলোকেই সম্পর্কটা বাড়াতে ও সমৃদ্ধ করতে চাই। সেটাকে চীনের আলোকে দেখা উচিত হবে না। আমাদের নিজস্ব ভবিষ্যৎ আছে। একটি বিষয় এখানে স্পষ্ট যে, ভারতের সঙ্গে যেসব বিষয় নিয়ে কাজ করা যায়, সেগুলো নিয়েই আমাদের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যদিকে চীনের সঙ্গে যেসব ইস্যুতে কাজ করা জরুরি এবং সেটি করতে গিয়ে দুটি পক্ষকেই স্বপ্রণোদিত হতে হবে। আমাদের আশ্বস্ত হতে হবে যে, ভারত ও চীন কারোরই যাতে ক্ষতি না হয়। বাংলাদেশকে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে। এ কাজগুলো করতে গিয়ে আমরা পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থার আলোকে এ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে গেলে দুই দেশই লাভবান হবে। পাশাপাশি দুই দেশের জনগণও পরস্পর আন্তরিক ও সন্তুষ্ট হবে।
লেখক: সাবেক রাষ্ট্রদূত