![মায়ের জানাজায় অংশ নিতে এসে প্রাণ গেল ইতালি প্রবাসীর](uploads/2024/02/23/1708669328.Narsingdi.jpg)
মায়ের জানাজায় অংশ নিতে ১৪ বছর পর দেশে ফিরে বাড়ি যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ইতালি প্রবাসী শাহ আলম (৫৩)। এ সময় তার ভগ্নিপতি সেলিম মিয়াও (৪৫) মারা যান। নিহত শাহ আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের উত্তর নাটাই এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে এবং নিহত মো. সেলিম একই উপজেলার তালশহর অষ্টগ্রাম এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন। তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার ঘাসিরদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।
জানা গেছে, গত বুধবার রাত ৭টার দিকে বার্ধক্যের কারণে শাহ আলমের মা মারা যান। দুপুরে মায়ের জানাজায় অংশ নিতে বাড়ি ফেরার পথে এই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা। ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তারা দুজন নিহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক মো. জাকির বলেন, ‘বেপরোয়া গতিতে একটি মাইক্রোবাস ছোট গাড়িগুলো পাশ কেটে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এরপর আমরা মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
নিহতের স্বজনরা জানান, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ইতালিতে ছিলেন শাহ আলম মিয়া। গতকাল তার মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে দেশে ফিরে জানাজায় অংশ নিতে বিমানবন্দর থেকে মাইক্রোবাসে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ভগ্নিপতি সেলিম মিয়া ও ভাগিনা সাকিবুর রহমান সাব্বির।
হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘হতাহতদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি নরসিংদীর শিবপুরের ঘাসিরদিয়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা পাথর বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইতালি প্রবাসীসহ দুজন মারা গেছেন। এই ঘটনায় মাইক্রোবাস চালকসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন।’
এ বিষয়ে ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, প্রবাসীকে নিয়ে ওই মাইক্রোবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফিরছিল। দুর্ঘটনায় নিহত দুজনের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। তাদের স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।