ঢাকা ২২ আষাঢ় ১৪৩১, শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪

বাবুরহাটে অগ্নিকাণ্ডে ৩২ দোকান পুড়ে ছাই

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৪ পিএম
বাবুরহাটে অগ্নিকাণ্ডে ৩২ দোকান পুড়ে ছাই
শেখেরচর-বাবুরহাটের জিয়া উদ্দিন মার্কেটে আগুন।

দেশের বৃহত্তম কাপড়ের পাইকারি বাজার নরসিংদীর সেখেরচর বাবুরহাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩২টি দোকান পুড়ে গেছে। 

শনিবার (১৬ মার্চ) রাত ১টার দিকে হাটের জিয়াউদ্দিন মার্কেটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাজার কমিটি ও ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে ক্ষতির পরিমান জানানো হয়নি। তবে তদন্ত করে ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয় করা হবে বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম।

সেখেরচর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান জানান, এই বাজারে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো দোকান রয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র কাপড় বিক্রি করা হয়। এখন ঈদ মৌসুম তাই ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত কাপড় নিয়ে বসেছিলেন ঈদের বেচাকেনার জন্য। এই অবস্থায় এই অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেলো।

শাওন শাহিন/জোবাইদা/অমিয়/

 

 

 

 

সাভারে কলেজ কক্ষ থেকে অধ্যক্ষের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:২০ এএম
আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:৫১ এএম
সাভারে কলেজ কক্ষ থেকে অধ্যক্ষের লাশ উদ্ধার
অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সাভারে একটি বেসরকারি কলেজের অফিস কক্ষ থেকে শফিকুর রহমান নামে এক অধ্যক্ষের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাভারে উত্তর রাজাশনের নিজ প্রতিষ্ঠান আলহেরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলেজ ভবনের অফিস কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। 

মৃত শফিকুর রহমান (৫২) সাভারের উত্তর রাজাশনের শামসুদ্দিনের ছেলে। তিনি আলহেরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজ শেষে তিনি কলেজ ভবনের অফিস কক্ষে যান। এরপর আর বের হননি। পরে তার খোঁজে অফিস কক্ষে গেলে নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই কলেজ অধ্যক্ষ ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

১৪ ট্রাক চিনির নিলাম বেশি দরদাতা গিয়াসের ‘জোশের ঠেলার’ কী কারণ?

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১০:০২ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১০:০৬ পিএম
বেশি দরদাতা গিয়াসের ‘জোশের ঠেলার’ কী কারণ?
ব্যবসায়ী গিয়াস মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বাজারে প্রতি কেজি চিনির খুচরা দর ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। পাইকারি দর ১০৪ টাকা। সিলেটে আলোচিত ১৪ ট্রাক চোরাই চিনি সরকারি নিলাম ডাকে বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে কিনেছেন নিলাম ডাকে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী গিয়াস মিয়া। প্রতি কেজি ১২৫ টাকা দর হাঁকিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে চিনি কিনেছেন তিনি। এই দরের সঙ্গে ভ্যাট ও ট্যাক্স যুক্ত হয়ে প্রতি কেজির দাম পড়ছে ১৪২ টাকা। বাজার দরের চেয়ে প্রতি কেজিতে ২২ থেকে ২৭ টাকা বেশি। এত দাম দিয়ে চিনি কেনার পেছনে কী কারণ? 

এমন প্রশ্ন নিলাম ডাকে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীসহ নিলাম প্রত্যক্ষ করা ব্যবসায়ীদের। এ ব্যাপারে গিয়াস অবশ্য বলছেন, নিলামে অংশ নিয়ে তিনি ‘জোশের ঠেলায়’ বেশি দাম বলে ফেলেছেন। গিয়াস ‘জোশের ঠেলায়’ বললেও নেপথ্যে রয়েছে আরেক ধান্দা। চিনি ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিলামে কেনা চিনির কাগজপত্র দেখিয়ে চোরাচালানের আরও চিনি বৈধ করতেই অধিক দাম দিয়ে চিনি কিনেছেন তিনি।   

সর্বোচ্চ দরদাতা গিয়াস মিয়া সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার লতিফপুরের বাসিন্দা। সিলেট মহানগরীর কালীঘাট বাণিজ্যিক এলাকায় তার ‘রুহেল ট্রেডার্স’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাজার দরের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে চিনি কেন কিনলেন? এমন প্রশ্নে নিলামের দিন তিনি খবরের কাগজকে বলেছিলেন, ‘জোশের ঠেলায় বেশি দাম হেঁকে ফেলেছি!’ গিয়াসের ‘জোশের ঠেলার’ পেছনে কারণ ‘চোরাই পথে চিনি চোরাচালানির পন্থা’ হিসেবে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অবহিত হয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে ও বিকেলে কয়েকদফা ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কালীঘাটে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ পাওয়া গেছে।  

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার উমাইরগাঁওয়ে গত ৬ জুন ১৪ ট্রাক চোরাই চিনি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় পরদিন পুলিশের এসআই মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। সিলেটে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত থেকে সীমান্ত পথে অবৈধভাবে আনা চিনি চোরাচালানের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে বড় চালান। পুলিশ হেফাজতে থাকা ১৪ ট্রাক চিনি ১ কোটি ৪২ লাখ টাকায় বিক্রির সরকারি নিলাম ডাক সম্পন্ন হয় গত বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে। সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর হাকিম (তৃতীয় আদালত) উম্মে হাবিবার আদালতে প্রকাশ্য নিলামে চিনি বিক্রি করা হয়।

সরকারি নিলাম কমিটির সভাপতি ও সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আব্দুল মুমিনসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যের উপস্থিতিতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের অষ্টম তলায় প্রকাশ্যে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। জব্দকৃত ১ লাখ ৫ হাজার ৭০০ কেজি চিনির মধ্যে মামলার আলামত হিসেবে ৫ কেজি চিনি আদালতে সংরক্ষণ করে বাকি ১ লাখ ৫ হাজার ৬৯৫ কেজি চিনি নিলামে দেওয়া হয়। নিলামের বিট লিস্টে সর্বমোট ৭০ জন নাম তালিকাভুক্ত করেন। 

সকলের উপস্থিতিতে প্রকাশ্য ওই নিলামে ব্যবসায়ী মো. গিয়াস মিয়া প্রতি কেজি চিনির দাম ১২৫ টাকা ডাক দেন। এই ডাক সর্বোচ্চ হওয়ায় গিয়াসই ক্রেতা মনোনীত হন। মোট টাকার সাড়ে সাত পার্সেন্ট ভ্যাটও দিতে হবে তাকে। চিনির মোট দাম ১ কোটি ৩২ লাখ ১১ হাজার ৮৭৫ টাকা। ভ্যাটসহ দাম পড়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ ২ হাজার ৭৬৬ টাকা।

জালালাবাদ থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘নিলামের ক্রেতা চিনির মূল ব্যাংকে জমা দিয়ে কাগজপত্র নিয়ে এলে তার কাছে চিনি হস্তান্তর করা হবে। নিলাম ডাকের তিন কার্য দিবসের মধ্যে মালামাল হস্তান্তর করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’   

এদিকে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা লোকসান দিয়ে ব্যবসায়ী গিয়াস মিয়া চিনি কেনায় বিরূপ মন্তব্য করছেন অন্যান্য ব্যবসায়ী। তারা বলছেন, লোকসান দিয়ে তিনি শুধু চিনিই কেনেননি। তিনি চিনির সঙ্গে কিনেছেন নিলামের বৈধ কাগজ। এই বৈধ কাগজ দিয়ে তিনি এখন অবৈধ আরও চিনি বাজারজাত করবেন। তাই তিনি এখানে লোকসান দেখালেও তার লাভের খাতা ঠিকই পূর্ণ থাকবে। 

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) এডিসি মিডিয়া মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘চিনিগুলো নিলাম হয়েছে, এখনো হস্তান্তর হয়নি। চিনিগুলো বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে এক ব্যবসায়ী কিনেছেন। এটা নিয়েও দুই ধরনের আলোচনা করছে দুটি পক্ষ। একপক্ষ বলছে, এই নিলামের কাগজ নিয়ে ব্যবসায়ী আরও অবৈধ চিনি আনবেন। আবার যারা চিনি অধিক মূল্যে কিনেছেন, তারা বলছেন বাজারে চিনির একটি সিন্ডিকেট সৃষ্টি হয়েছে। ওই সিন্ডিকেট ভাঙতে বেশি দামে চিনি কেনা হয়েছে। তবে যে যাই বলুক, এই নিলামের চিনি ব্যবসায়ী সরাসরি তার গোডাউনে নিয়ে যাবেন। এই নিলামের কাগজ তিনি সড়কে ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে যেহেতু এই বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, তাই আমাদের নজরদারি এখন আরও বাড়বে। আমরা আমাদের ফোর্সকে বলে দেব এ ধরনের কোনো কাগজ কেউ প্রদর্শন করলে যেন তারা ভালোভাবে যাচাই করেন।’

সিট বাণিজ্য, শিক্ষার্থীকে মারধর আইএইচটি ছাত্রলীগ সভাপতিসহ বহিষ্কার ৬

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
আইএইচটি ছাত্রলীগ সভাপতিসহ বহিষ্কার ৬
ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আল আমিন হোসেনকে এক বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিট-বাণিজ্য ও এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়। ফলে এ সময়ে তিনি ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও ছাত্রাবাসে অবস্থান করতে পারবেন না। একই অভিযোগে আরও পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মীকে ছয় মাসের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুজনকে তিরস্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তি ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। যদিও আইএইচটি কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নোটিশ আকারে বিষয়টি প্রকাশ করেছেন।

বহিষ্কৃতরা হলেন- আইএইচটি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ডেন্টাল অনুষদের আল আমিন হোসেন, ছাত্রলীগ কর্মী ডেন্টাল বি গ্যালারির মাসুদ পারভেজ, ফারহান হোসেন, ল্যাব-এ গ্যালারির শাহরিয়ার নাফিজ ও পারভেজ মোশাররফ এবং রেডিওলোজি-এ গ্যালারির নিলয় কুমার। তাদের মধ্যে আল আমিন হোসেনকে এক বছরের জন্য ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া ফার্মেসি বিভাগের সিফাতকে তিরস্কার করে ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক করা হয়েছে। প্রশাসনকে না জানিয়ে অন্য (ছাত্রলীগ সভাপতি) ব্যক্তির সঙ্গে টাকা লেনদেনের জন্য ফার্মেসি বিভাগের মো. হাসানকে তিরস্কারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্ক করা হয়েছে।

শাস্তির নোটিশে জানানো হয়, শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসেন প্রথম বর্ষের ছাত্র হাসানের কাছ থেকে হোস্টেলে সিট দেওয়ার নামে টাকা নেন। ২৯ এপ্রিল শাস্তিপ্রাপ্ত অপর পাঁচ শিক্ষার্থী (ছাত্রলীগ কর্মী) হাসানকে মারধর করেন। আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ১ মে থেকে আইএইচটি ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে গত ৬ জুন একাডেমিক সভায় শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শাস্তি প্রদানের নোটিশটি গত ১২ জুন স্বাক্ষর করেছেন অধ্যক্ষ।

শাস্তিপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ সভাপতি আল আমিন হোসেন বলেন, ‘নোটিশটি ক্যাম্পাস ছুটির কিছুক্ষণ আগে প্রকাশ করা হয় বলে জানতে পেরেছি। তবে ব্যক্তিগতভাবে শাস্তির কোনো চিঠি আমি পাইনি। যদিও ওই বিষয়টি (সিট বাণিজ্য ও শিক্ষার্থীকে মারধর) তখনই মিটমাট হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে কলেজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করায় আমাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।’ এ বিষয়ে আগামী রোববার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।

আইএইচটি অধ্যক্ষ ডা. ফারহানা হক জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমার পর একাডেমিক কাউন্সিল সভা হয়। সভায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার এই সিদ্ধান্ত হয়। গেল কয়েকদিন প্রশাসনিক কাজের চাপ থাকায় এই সংক্রান্ত আদেশের নোটিশটি প্রকাশে দেরি হয় বলে জানান তিনি।

 

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২
ছবি: খবরের কাগজ (ভিডিও থেকে নেওয়া)

ফরিদপুর-ঢাকা মহাসড়কের ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার যুদুনন্দি এলাকায় বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে‌ চারজন। নিহতরা হলেন- পিকআপের ড্রাইভার ও হেলপার। তবে তাদের নাম পরিচয় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেল তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিকেল তিনটার দিকে ফরিদপুরের দিকে যাওয়ার পথে গোল্ডেন লাইনের একটি পরিবহনের সঙ্গে ভাঙ্গাগামী একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপের ড্রাইভার ও হেলপার নিহত হয়। আর এই ঘটনায় বাসের আরও চার যাত্রী আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিস, হাইওয়ে পুলিশ ও নগরকান্দা থানা পুলিশ। সড়ক দুর্ঘটনার পরে ওই এলাকায় যানজট তৈরি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সঞ্জিব দাস/এমএ/

দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮, আহত ৩২

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮, আহত ৩২
ছবি : খবরের কাগজ

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত ও ৩২ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ জুলাই) জেলা সদরের পাঁচবাড়ী এলাকায় ও ফুলবাড়ী উপজেলার হাসপাতাল মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সদর উপজেলায় নিহতরা হলেন চিরিরবন্দর উপজেলার মমিনুল ইসলামের পাঁচ মাসের মেয়ে জায়না, সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের স্বদেশ রায়, বোচাকুঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদ জাহিদের মেয়ে বিভা, লক্ষণ বাহাদুরের ছেলে রাজেশ বাহাদুর, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার দানেশ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী ও মৃত সূরার ছেলে হাসু। ফুলবাড়ী উপজেলায় নিহতরা হলেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার নওনা গ্রামের বাসিন্দা আমান উদ্দিন ও একই উপজেলার পারোইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মেনহাজুল।

দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত এক যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওগামী নাবিল পরিবহনের একটি বাস ফজরের নামাজের জন্য বিরামপুরে যাত্রাবিরতি দেয়। এ নিয়ে অন্য ধর্মাবলম্বী এক যাত্রী বাসের চালকের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া শুরু করেন। এরপর চালক দ্রুতগতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। সকাল ৬টার দিকে বাসটি ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের পাঁচবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। 

এদিকে জালিয়াপাড়া এলাকায় স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আমবোঝাই একটি ট্রাক পেছন থেকে একটি ভ্যানকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক স্বদেশ রায় নিহত হন। ভ্যানটিকে চাপা দেওয়ার পর ট্রাকটি পালিয়ে যাচ্ছিল। ট্রাকটি দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় পাঁচবাড়ী এলাকায় নাবিল পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ৫ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হন। 

এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মেডিকেল অফিসার জিল্লুর রহমান জানান, সদর উপজেলায় দুর্ঘটনাস্থলে দুজন এবং হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চারজন মারা যান। আহতদের মধ্যে দুজন আইসিইউতে আছেন। তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর অন্যরা এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

অন্যদিকে একই দিন বেলা ৩টায় ফুলবাড়ী উপজেলার হাসপাতাল মোড়ে ট্রাকের সঙ্গে গরুবোঝাই নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে নসিমনের চালকসহ দুজন নিহত হন। এ সময় আহত হন চারজন। 

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, নিহত ও আহতদের পারিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সদর উপজেলার দুর্ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে পুলিশ বিআরটিএ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি সমন্বয়ে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এএসএম আলমগীর/জোবাইদা/এমএ/