ঢাকা ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

নাম বদলেও ভাগ্য বদলায়নি সিলেটের

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০২ এএম
আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম
নাম বদলেও ভাগ্য বদলায়নি সিলেটের
ছবি : সংগৃহীত

বিপিএলে সর্বাধিক নামে খেলা দুটো দলের একটি গত আসরের রানার্সআপ সিলেট, অন্যটি ঢাকা। এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির নাম বদল হয়েছে বারবার।  সংখ্যায়  ৬ বার। ঢাকার ঝুলিতে তিনবার বিপিএল সেরার সাফল্য ধরা দিলেও, একবারও  শিরোপা জিততে পারেনি সিলেট। দুই-একবার ব্যতিক্রম ছাড়া এবারও তাদের অবস্থান শেষর দিকে। সাত দলের মাঝে ছয়। মাত্র এক ম্যাচ জিতে ঢাকা সবার তলানিতে।  এবারের আসরে তো মালিক পক্ষের অনুরোধে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার আনফিট হয়েও মাঠে নামা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে সর্বমহলে। সমালোচনায় বাদ যাননি দুই সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল এবং আকরাম খানও। মাশরাফি একাদশে থাকায় তরুণরা বঞ্চিত হওয়া ও বিপিএলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই দুই অধিনায়ক।

রাজনৈতিক ব্যস্ততায় মাশরাফি এবারের আসর থেকে বিরতি নেওয়ার কিছুদিন পর  দলের পক্ষ  থেকে জানানো হয় এই মৌসুমে সিলেটের জার্সিতে আর মাঠে দেখা যাবে না তাকে।  কিন্তু মাশরাফি সরলেও  ভাগ্য বদল হয়নি সিলেটের।  বজায় ছিল অন্যান্য বছরগুলোর মতো হতশ্রী দশা।  যেন এক অজানা শেকলে  বন্দী সিলেটের ভাগ্য!  ১২ ম্যাচে ৫ জয়ে তলানীর দিক  থেকে দ্বিতীয় হয়ে থেমেছে যাত্রা !

সদ্যই জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক হওয়া নাজমুল হোসেন শান্তও ব্যর্থ হয়েছেন সিলেটের জার্সিতে ভালোকিছু করতে। গেল আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের ব্যাটে ১২ ম্যাচে এসেছে মাত্র ১৭৫ রান। পাননি একটিও অর্ধশতকের দেখা।

গত আসর থেকে সিলেট স্ট্রাইকার্স নামে খেলা দলটি  ২০১২ সালে বিপিএলে শুরু করেছিল সিলেট রয়্যালস নামে। যে দলের মালিকানায় ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের নাফিসা কামাল। শুরুর আসরে বিপিএল ভাগ করা হয়েছিল ৬ বিভাগের ৬ দলের সমন্বয়ে। ছিল প্রতিটি দলের একজন করে আইকন ক্রিকেটার। নাফিসা কামালের মালিকানাধীন সিলেটের আইকন ছিলেন অলক কাপালি। যদিও নেতৃত্বের বেলায় রাখা হয়নি তার ওপর আস্থা। অধিনায়কত্ব করেছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটার পিটার ট্রেগো। যে আশায় তাকে অধিনায়ক করা হয়েছিল, তিনি পারেননি তা পূরণ করতে। টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল তলানির দল হিসেবে। ইমরুল কায়েস, কামরান আকমল, ব্র্যাড হগ ও ড্যারেন সামিদের নিয়ে গড়া দলটি ১০ ম্যাচে জিতেছিল মাত্র ২টি। সেই দুই জয় পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৮ম ও ৯ম ম্যাচ পর্যন্ত।

পরের আসরে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অধিনায়ক করা হয় মুশফিকুর রহিমকে। তিনি তখন  জাতীয় দলেরও অধিনায়ক ছিলেন। তার নেতৃত্বে পাল্টে যায় র‌য়্যালসদের পারফরম্যান্স। আগের আসরের হতাশা ভুলে দারুণ এক রূপকথার জন্মই দিয়েছিল প্রায়। কোয়ালিফায়ারে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কাছে মাত্র ৩ রানে হারের পর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রামের কাছে ৩ উইকেটের পরাজয়ে আর সম্ভব হয়নি ফাইনালে পা রাখা। ১৩ ইনিংসে ১৩৩ স্ট্রাইকরেটে ৪৪০ রান  করে অধিনায়ক মুশফিক হয়েছিলেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

ফিক্সিংকান্ডে মাঝে একবছর বন্ধ ছিল বিপিএল আয়োজন। আগের দুই আসরের সব দলকে বাদ দিয়ে ২০১৫ সালে নতুন উদ্যমে বিপিএল শুরু করে কর্তৃপক্ষ। বিপিএলে নতুনরূপ পেলেও সিলেটের ঘুণে ধরা ভাগ্য আর  বদলায়নি। নতুন নাম সিলেট সুপারস্টার্সের হয়ে খেলতে নামা সেই দলের অধিনায়কও ছিলেন মুশফিক। কিন্তু, পুনরাবৃত্তি হয়  অনেকটা ২০১২ সালের ফলাফল!  ৩ জয়ে তলানির চেয়ে একধাপ ওপরে থেকে পঞ্চম হয় তারা। মাঝপথে শহীদ আফ্রিদিকে অধিনায়ক করেও ঘোরানো যায়নি ভাগ্যের চাকা। 
২০১৬ সালের বিপিএলে সিলেট অংশই নেয়নি। ২০১৭ সালে পঞ্চম আসরে তৃতীয়বার পরিচয় বদলায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এবার সিলেট সিক্সার্স নামে আবির্ভূত হয়।  ঘরের মাঠে শুরু হওয়া আসরের প্রথম তিন ম্যাচেই জয় পেয়ে নাসির হোসেনের নেতৃত্বে বড়কিছু করার আভাস দিয়েছিল। কিন্তু এরপর হারতে হয় টানা ৬ ম্যাচ। ১২ ম্যাচে সাকুল্যে জয় ছিল ৪টি।  ২০১৫ সালের চেয়ে এক জয় বেশি হলেও পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানের্ কোনো পরিবর্তনব হয়নি। পঞ্চম স্থানেই ছিল তারা।

ঊনিশের আসরে চমক দেখিয়ে ডেভিড ওয়ার্নারকে দলে নেওয়ার পাশাপাশি করা হয় অধিনায়কও। কিন্তু, তাতেও আলোর মুখ দেখেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত যাওয়ার আগে সিলেটের জার্সিতে ৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন  ওয়ার্নার। এরপর  অধিনায়ক  করা হয়েছিল পাকিস্তানের সোহেল তানভীরকে। এবার জয় আসে আগের আসরের তুলনায় একটি  বেশি ৫টি। কিন্তু পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানের অবনমন ঘটে জায়গা হয়ে ছয়ে।

ক্ষণে ক্ষণে রূপ পাল্টানো বিপিএলের পরের আসর হয়েছিল মুজিববর্ষের উপলক্ষকে সামনে রেখে।  নাম দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু বিপিএল। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া সেই আসরটিকে পুরোপুরি ভুলে যেতে চাইবেন সমর্থকরা। একই রকমভাবে ২০২২ সালের আসরটিকেও তারা মনে রাখতে চাইবেনা। দুই আসরে মোসাদ্দেক হোসেন, রবি বোপারার নেতৃত্বেও সিলেট থান্ডার ও  সিলেট সানরাইজার্স নামে মাঠে নেমে মাত্র এক  জয় নিয়ে পরপর দুবারই থাকতে হয়েছিল তলানিতে।

অবশেষে ২০২৩ সালের আসরে নিজেদের নামের প্রতি কিছুটা সুবিচার করতে পেরেছিল সিলেট। নতুন মালিকানায় নাম হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরাফির নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো ফাইনালে পা রাখে দলটি। বহু বছরের হতাশাকে পেছনে ফেলে নতুন আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন সমর্থকরা। কিন্তু ফাইনালে পৌঁছালেও ফাঁকা থেকে যায় ট্রফি কেবিনেট। কুমিল্লাকে ১৭৬ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলেও প্রতিরোধ গড়তে পারেননি মাশরাফিরা। স্ট্রাইকার্সদের ৭ উইকেটের বড় পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ দিয়ে কুমিল্লা জিতে নেয় তাদের চতুর্থ বিপিএল শিরোপা।

অন্যান্য আসরের মতো সিলেট এবারও ব্যর্থ প্লে অফে পা রাখতে। পাঁচটি জয়ে আসর শেষ করা শান্ত-মিঠুনদের অবস্থান সাত দলের মাঝে চয়ে। আবার প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৬ষ্ঠ ম্যাচ পর্যন্ত। ঠিক কবে নাগাদ সিলেটের নাম বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে কিংবা ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে দেখা যাবে দলটির অধিনায়ককে সেই প্রশ্নই এখন ঘোরপাক খাচ্ছে চতুর্দিকে।

বাফুফে নির্বাচন: প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেই মেজবাহ

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
বাফুফে নির্বাচন: প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেই মেজবাহ

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আসন্ন নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন মেজবাহ উদ্দিন। আগের চারটি নির্বাচনেও তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। অর্থাৎ এ নিয়ে টানা পঞ্চবার এই দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের নির্বাচন।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বাফুফের নির্বাহী কমিটির ১১তম নিয়মিত সভায় মেজবাহ উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যদের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যেখানে নির্বাচন কমিশান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সুরাইয়া আক্তার জাহান ও এ কে এম এহসানুর রহমান। এরা সবাই সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের আপিল কমিটিও। নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো জটিলতা তৈরি হলে বা কারও কোনো অভিযোগ জমা পড়লে এই কমিটি সেটা নিরসন করবে। যার চেয়ারম্যান করা হয়েছে ড. মোহাম্মদ জাকরিয়াকে। সদস্য হিসেবে থাকবেন এস এম হারুনুর রশিদ ও মিহির সারওয়ার মোর্শেদ। এ ছাড়া ১৩৩ জনের ভোটার তালিকা অনুমোদন হয়েছে সভায়।

এবার ভোটার সংখ্যা হওয়ার কথা ছিল ১৩৭। কিন্তু বেশ কয়েকজনের কাউন্সিলশিপ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল। এ নিয়ে গত বুধবার রাতে দীর্ঘ আপিল শুনানি হয়। সেই শুনানি শেষে ৪ জেলার ভোটাধিকার বাতিল হয়। তাতে বৈধ ভোটার সংখ্যা নেমে আসে ১৩৩-এ। নির্বাহী কমিটির সভায় এই সংখ্যাটাই অনুমোদন পেয়েছেন। কোনো কাটছাঁট হয়নি।

কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাহী কমিটির মেয়াদ বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে। তবে নিয়ম অনুযায়ী নতুন নির্বাচিত কমিটির হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার আগে সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সর্বশেষ কমিটিই দায়িত্ব পালন করে যাবে। যেহেতু বৃহস্পতিবার নির্ধারিত মেয়াদের শেষ দিন ছিল, তাই ধারণা করা হচ্ছিল ১১তম সভাটিই হয়তো সভাপতি হিসেবে কাজী সালাউদ্দিনের শেষ সভা হতে যাচ্ছে। কারণ আগেই তিনি জানিয়েছেন, আসছে নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না। 

তবে সালাউদ্দিনের কমিটি আসছে নির্বাচনের আগে আরও একটি সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সব ঠিক থাকলে পরবর্তী সেই সভাটি হবে সভাপতি হিসেবে সালাউদ্দিনের শেষ সভা।

গত ১৬ বছর ধরে দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থায় সর্বোচ্চ পদে আছেন সালাউদ্দিন। তার শেষ সভা হতে পারে বলে বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে সংবাদকর্মীদের মধ্যে বাড়তি কৌতুহল ছিল। বিশেষ করে বিদায়ী কোনো বার্তা তিনি তুলে ধরেন কি না, এটাই ছিল সবার আগ্রহের বিষয়। কিন্তু বৃহস্পতিবারের সভা শেষে সালাউদ্দিন আর সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেননি। সভায় আলোচিত বিষয় ও বিভিন্ন সিদ্ধান্তগুলো সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন নির্বাহী কমিটির সদস্য সত্যজিৎ দাস রুপু।

এ সময় তিনি জানান, পরবর্তী মিটিং শেষে বাফুফে সভাপতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন বলে তাদের জানিয়েছেন।

তবে বাফুফে সভাপতি বৃহস্পতিবারের সভা শুরু করেছিলেন বিদায়ী বার্তা দিয়েই।

সত্যজিৎ দাস রুপু বলেন, ‘আমরা যখন বোর্ড মিটিংটা শুরু করেছি, উনি উনার প্রারম্ভিক সম্ভাষণে এটা উপস্থাপন (বিদায়ী প্রসঙ্গ) করেছিলেন। কিন্তু মিটিংয়ের বিভিন্ন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আরেকটি মিটিং হওয়ার বিষয় আসে। উনি শুরুতেই বলেছেন, আমি দীর্ঘ সময় ছিলাম। এই সময়ে আমি শুধু একটি জিনিসই বুঝি, সেটা হচ্ছে ফুটবল। আমার অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি ফুটবলের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি।’

আরেকটি বোর্ড সভার কেন প্রয়োজন পড়ছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রুপু বলেন, ‘মূলত আগামী বছরের বাজেট আসছে এজিএমে উপস্থান করতে হবে। এটা আমরা আমাদের ফাইন্যান্স কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছি আরও পর্যবেক্ষণ করে উপস্থাপন করার জন্য। উনারা এটা উপস্থাপন করলে সভাপতি সাহেব সেটা অনুমোদনের জন্য সভা ডাকবেন।’

নির্বাচন কমিশন কবে নাগাদ দায়িত্ব শুরু করবে এবং কবে নাগাদ তফসিল ঘোষণা হতে পারে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রুপু বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আজ গঠিত হলো। আজকে বোর্ড থেকে অনুমোদন করা হয়েছে, এটা আমরা উনাদের অবহিত করব। নির্বাচন কমিশন সভা ডাকবেন। এরপর তারা উনাদের কার্যক্রম আপনাদের কাছে তুলে ধরবেন।’

বাফুফের বৃহস্পতিবারের সভায় আরও কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ মাসেই নেপালে হতে যাওয়া মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের অংশ গ্রহণ ও নভেম্বরে ছেলেদের জাতীয় দলের প্রীতিম্যাচ খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে এএফসি স্টেডিয়াম প্রজেক্টের আওতায় প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে বাফুফে ভবন সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এক দশক পর জয় পেল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
এক দশক পর জয় পেল বাংলাদেশ
ছবি: আইসিসি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাঁচ আসরে বাংলাদেশের জয় ছিল মাত্র দুই ম্যাচে। শেষ ১৬ ম্যাচে কোনো জয় পায়নি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। অবশেষে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়ে কাঙ্ক্ষিত সেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) শারজায় আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১৯ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ধীর ও নিচু উইকেটে এ রানই যে জয়ের জন্য যথেষ্ট সেটা প্রমাণ করেছেন বোলাররা। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্কটিশরা থামে ৭ উইকেটে ১০৩ রানে।

ম্যাচের আগে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি জানিয়েছিলেন নিজের শততম ম্যাচে জয় চান। তার ওই চাওয়া পূর্ণ করেছেন সতীর্থরা। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৬ রান তোলে বাংলাদেশ। পরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও বড় ইনিংস খেলেন সোবহানা মোস্তারি ও সাথী রাণী। সোবহানা ৩৬ ও সাথীর ব্যাটে আসে ২৯ রান। এ ছাড়া ১৮ রান আসে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে।

স্কটিশদের হয়ে সাসকিয়া হরলি ১৩ রানে নেন তিন উইকেট।

বাংলাদেশের দেওয়া ১২০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে স্কটল্যান্ডের শুরুটা ছিল ধীরগতির। পাশাপাশি নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে শুরু করে। ফলস্বরূপ, ৯.৫ ওভারে  স্কোরকার্ডে ৪৯ রান তুলতে স্কটল্যান্ড হারিয়ে বসে তিন উইকেট। পরে ওই ধারাবাহিকতা থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি স্কটিশ মেয়েরা। ফলে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৩ রান তোলে তারা।

বাংলাদেশের হয়ে দুই উইকেট নেন রিতু মনি। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার, নাহিদা আক্তার ও ফাহিমা খাতুন। এ ম্যাচে ক্যাথেরিন ফ্রেসারকে আউট করে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন নাহিদা। অন্যদিকে সাসকিয়া হরলিকে আউট করে ৫০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন ফাহিমা।

কানপুর বিমানবন্দরে মুশফিকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
কানপুর বিমানবন্দরে মুশফিকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ
ছবি : সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি দলে থাকা ক্রিকেটারার কানপুর থেকে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের ফ্লাইটে চলে যান প্রথম ম্যাচের ভেন্যু গোয়ালিয়রে। দলে ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, জাকের আলী, লিটন দাস। হোটেলে থেকে যান টেস্ট দলের বাকি সদস্যরা। যেখানে ছিলেন মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক সৌরভ, তাইজুল ইসলাম, সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাঈম হাসান ও নাহিদ রানা। সাকিব আল হাসান অবশ্য সবার আগে মঙ্গলবার রাতেই দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্র চলে যান।

মুশফিকদের ফ্লাইট ছিল বেলা ২টা ৪০ মিনিটে। দুপুর ১টার পর টিমবাস তাদের নিয়ে কানপুর বিমানবন্দরে পৌঁছে। তাদের দেখার পর বেশ কিছু যাত্রীর মাঝে বেশ কৌতুহল সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ সেলফি তুলেন। এ সময় মুশফিকরা নিজেদের মাঝে খোশ গল্পে মেতে উঠেন। মুশফিক তাইজুলকে দেখা যায় পাশাপাশি বসে আলাপরত। সিলেটের দুই ক্রিকেটার জাকির ও খালেদ এবং সাদমান ও মাহমুদুলও একইভাবে নিজেদের মধ্যে আলাপে ছিলেন ব্যস্ত। মুমিনুল এক প্রান্তে একাকী বসেছিলেন। তার মতো করে একা সময় পার করেছেন নাহিদ রানা। নাঈম হাসান ও মাহমুদ হাসান একত্রে যান খাবার দোকানে। পুরো সিরিজে দলের সঙ্গে থাকার কথা ছিল নির্বাচক কমিটির সদস্য হান্নান সরকারের। কিন্তু বিসিবি থেকে জরুরি প্রয়োজনে ফোন আসায় তাকে চলে যেতে হচ্ছে। হান্নান সরকার আবার সবার সঙ্গে কথা বলে সময়টা উপভোগ্য করে তুলেন।

টেস্ট দলের ১০ ক্রিকেটার একসঙ্গে দিল্লি এলেও সবাই একসঙ্গে দেশে ফিরবেন না। মুশফিক, মুমিনুল, সাদমান থেকে যাবেন দিল্লিতে। তারা ৪ তারিখ ফিরে যাবেন দেশে। বাকিরা গতকাল দিল্লিতে রাত যাপন করে আজ দুপুরে ফিরবেন দেশে। মুশফিক, মুমিনুল, সাদমান দিল্লি থেকে যাওয়ার কারণ ঘুরাঘুরি নয়, ক্রিকেটেরই স্বার্থে। তারা দিল্লি থেকে নিজ নিজ স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ব্যাট নিয়ে যাবেন। মুশফিক এসজি, মুমিনুল এসএস ও সাদমান এসএফের লোগো ব্যবহার করেন। তারা যাবেন মিরাট নামক এলাকায় স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কারখানাতে। সেখানেই তিন প্রতিষ্ঠানের কারখানা। সাদমান জানালেন তিনি ৩টা ব্যাট নিয়ে যাবেন। রনি তালুকদারও তাকে ফোন করে একটা ব্যাট নিয়ে যেতে বলেছেন জানিয়ে সাদমান মুশফিকুর রহিমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

কানপুর মুশফিক ছিলেন বেশ প্রাণবন্ত। দলের অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে তিনি কখনো সিরিয়াস বিষয় নিয়ে আলাপ করছেন, আবার কখনো মজা করছেন। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় ছিলেন বেশ আন্তরিক। কথা প্রসঙ্গে জানতে চাইলেন সাকিবের অবসরের প্রসঙ্গ নিয়ে। সাকিবকে সিরিজ কভার করতে আসা বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া দেওয়ার বিষয়টি জেনেছেন জানিয়ে বলেন, ‘দেশে গিয়ে খেলতে পারবে তো। জানি-ই না তো কিছু।’ সাকিবের প্রসঙ্গ থেকে চলে যান বিপিএলে। জানতে চান মাশরাফির কী অবস্থা, মামলা নাকি হয়েছে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে প্রথমবার খেলার সময় এর চেয়ারম্যান ছিলেন সারোয়ার চৌধুরী। গত আসরে তিনি দলের সঙ্গে ছিলেন না। তার অভিযোগ মাশরাফি ও তার বন্ধু বর্তমানে দলের চেয়ারম্যান শুভ্র জোর করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তাকে বাদ দিয়েছেন। এ নিয়ে সে সময় কোনো অভিযোগ না করলেও ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর তিনি এখন মাশরাফির নামে মামলা করেছেন। মাশরাফির নামে মামলার খবর মুশফিক আগেই জেনেছেন। আবারও শুনে শুধু মুচকি হাসেন। এরই মাঝে ঘোষণা আসে দিল্লিগামী যাত্রীদের বিমানে উঠার জন্য। সবাই একে একে গিয়ে লাইনে দাঁড়ান। শেষ হয় মুশফিকদের সঙ্গে কিছু ভালো সময় কাটানোর মুহূর্ত।

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪০ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

দেশের হতে যাওয়া বিশ্বকাপ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নিরাপত্তা ইস্যুতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড। সে ম্যাচ টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। 

টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘আমরা আগে ব্যাটিং করতে চাই। কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হবে। ব্যাটে দারুণভাবে বল আসার কথা। আমরা নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করেছি। প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পাওয়া খুবই দারুণ ছিল আমাদের জন্য। বাংলাদেশে ক্রিকেট ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা এখানে সেটাই দেখাতে চাই।’

টস হেরে স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক ক্যাথরিন ব্রেক বলেন, ‘আমরা আগে ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম তবে তাড়া করার ব্যাপারেও খুশি। কন্ডিশন ভালোই মনে হচ্ছে, গরমটাই সম্ভবত মূল বিষয়। এখন পর্যন্ত খুবই অসাধারণ সবকিছু, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ব্যস্ত সময় কেটেছে। সবাই বেশ উদ্দীপ্ত এবং প্রস্তুত মাঠের খেলার জন্য।’

বাংলাদেশ একাদশ

সাথী রানী, মুর্শিদা খাতুন, সুবহানা মুস্তারি, নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), তাজ নেহার, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, রাবেয়া খান, নাহিদা আক্তার ও মারুফা আক্তার।

স্কটল্যান্ড একাদশ

সাসকিয়া হারলে, সারাহ ব্রাইস (উইকেটরক্ষক), ক্যাথরিন ব্রাইস (অধিনায়ক), আলিসা লিস্টার, প্রিয়ানাজ চ্যাটার্জি, ডার্সি কার্টার, লরনা জ্যাক-ব্রাউন, ক্যাথরিন ফ্রেজার, রাচেল স্লেটার, আবতাহা মাকসুদ, অলিভিয়া বেল।

জোড়া গোলে ৪৬তম শিরোপা মেসির

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
জোড়া গোলে ৪৬তম শিরোপা মেসির
ছবি : সংগৃহীত

লিওনেল মেসির অর্জনের খাতা প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে। এবার নতুন করে জিতলেন আরও একটা শিরোপা। জোড়া গোল করে ইন্টার মায়ামিকে জেতালেন সাপোর্টারস শিল্ড শিরোপা এনে দিলেন আর্জেন্টাইন এই তারকা ফুটবলার। মেজর লিগ সকারের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলম্বাস ক্রুকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি।

মেসির নৈপুণ্যে ম্যাচের প্রথমার্ধের পুরো অংশটাই ছিল মায়ামির দখলে। ৪৫ মিনিতে মায়ামিকে এগিয়ে নেন মেসি গোল করে। এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আরও একটি গোল করে দলের ও নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান। তার কল্যাণে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্লোরিডার ক্লাবটি।

বিরতি থেকে ফিরেই একটি গোল শোধ দিয়ে দেয় মেজর লিগ সকারের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলম্বাস ক্রু। এই গোল শোধ দেওয়ায় ধারণা করা হচ্ছিল ম্যাচটা জমে উঠবে। কিন্তু সেই সুযোগ রাখেননি লুইস সুয়ারেজ। কলম্বাস ৪৬ মিনিটে গোলের দেখা পেলেও ৪৮ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় মায়ামি। গোলটি করেন মেসির বন্ধু সুয়ারেজ।

৬১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন হার্নান্দেজ। ফলে ব্যবধান হয় ৩-২। কলম্বাসের এই খেলোয়াড়ের কাছে ৮৪ মিনিটে সুযোগ আসে দলকে খেলায় ফেরানোর। পেনাল্টি পেয়েও গোল আদায় করতে ব্যর্থ হওয়ায় ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি কলম্বাস। এখানে পুরো কৃতিত্ব মায়ামি গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডারে। 

কলম্বাস আরকোনো গোল করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইন্টার মায়ামি। জিতে নেয় সাপোর্টারস শিল্ড শিরোপা। এটি মেসির ক্যারিয়ারের ৪৬তম শিরোপা। 

মেসির চোখ এখন এমএলএস কাপের দিকে। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন তারকা বলছেন, ‘প্রথম উদ্দেশ্য অর্জন হয়েছে, এখন আমাদের সামনে কী আছে তা নিয়ে ভাবতে হবে।’