ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

নাম বদলেও ভাগ্য বদলায়নি সিলেটের

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০২ এএম
আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম
নাম বদলেও ভাগ্য বদলায়নি সিলেটের
ছবি : সংগৃহীত

বিপিএলে সর্বাধিক নামে খেলা দুটো দলের একটি গত আসরের রানার্সআপ সিলেট, অন্যটি ঢাকা। এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির নাম বদল হয়েছে বারবার।  সংখ্যায়  ৬ বার। ঢাকার ঝুলিতে তিনবার বিপিএল সেরার সাফল্য ধরা দিলেও, একবারও  শিরোপা জিততে পারেনি সিলেট। দুই-একবার ব্যতিক্রম ছাড়া এবারও তাদের অবস্থান শেষর দিকে। সাত দলের মাঝে ছয়। মাত্র এক ম্যাচ জিতে ঢাকা সবার তলানিতে।  এবারের আসরে তো মালিক পক্ষের অনুরোধে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার আনফিট হয়েও মাঠে নামা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে সর্বমহলে। সমালোচনায় বাদ যাননি দুই সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল এবং আকরাম খানও। মাশরাফি একাদশে থাকায় তরুণরা বঞ্চিত হওয়া ও বিপিএলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই দুই অধিনায়ক।

রাজনৈতিক ব্যস্ততায় মাশরাফি এবারের আসর থেকে বিরতি নেওয়ার কিছুদিন পর  দলের পক্ষ  থেকে জানানো হয় এই মৌসুমে সিলেটের জার্সিতে আর মাঠে দেখা যাবে না তাকে।  কিন্তু মাশরাফি সরলেও  ভাগ্য বদল হয়নি সিলেটের।  বজায় ছিল অন্যান্য বছরগুলোর মতো হতশ্রী দশা।  যেন এক অজানা শেকলে  বন্দী সিলেটের ভাগ্য!  ১২ ম্যাচে ৫ জয়ে তলানীর দিক  থেকে দ্বিতীয় হয়ে থেমেছে যাত্রা !

সদ্যই জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক হওয়া নাজমুল হোসেন শান্তও ব্যর্থ হয়েছেন সিলেটের জার্সিতে ভালোকিছু করতে। গেল আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের ব্যাটে ১২ ম্যাচে এসেছে মাত্র ১৭৫ রান। পাননি একটিও অর্ধশতকের দেখা।

গত আসর থেকে সিলেট স্ট্রাইকার্স নামে খেলা দলটি  ২০১২ সালে বিপিএলে শুরু করেছিল সিলেট রয়্যালস নামে। যে দলের মালিকানায় ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের নাফিসা কামাল। শুরুর আসরে বিপিএল ভাগ করা হয়েছিল ৬ বিভাগের ৬ দলের সমন্বয়ে। ছিল প্রতিটি দলের একজন করে আইকন ক্রিকেটার। নাফিসা কামালের মালিকানাধীন সিলেটের আইকন ছিলেন অলক কাপালি। যদিও নেতৃত্বের বেলায় রাখা হয়নি তার ওপর আস্থা। অধিনায়কত্ব করেছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটার পিটার ট্রেগো। যে আশায় তাকে অধিনায়ক করা হয়েছিল, তিনি পারেননি তা পূরণ করতে। টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল তলানির দল হিসেবে। ইমরুল কায়েস, কামরান আকমল, ব্র্যাড হগ ও ড্যারেন সামিদের নিয়ে গড়া দলটি ১০ ম্যাচে জিতেছিল মাত্র ২টি। সেই দুই জয় পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৮ম ও ৯ম ম্যাচ পর্যন্ত।

পরের আসরে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অধিনায়ক করা হয় মুশফিকুর রহিমকে। তিনি তখন  জাতীয় দলেরও অধিনায়ক ছিলেন। তার নেতৃত্বে পাল্টে যায় র‌য়্যালসদের পারফরম্যান্স। আগের আসরের হতাশা ভুলে দারুণ এক রূপকথার জন্মই দিয়েছিল প্রায়। কোয়ালিফায়ারে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কাছে মাত্র ৩ রানে হারের পর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রামের কাছে ৩ উইকেটের পরাজয়ে আর সম্ভব হয়নি ফাইনালে পা রাখা। ১৩ ইনিংসে ১৩৩ স্ট্রাইকরেটে ৪৪০ রান  করে অধিনায়ক মুশফিক হয়েছিলেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

ফিক্সিংকান্ডে মাঝে একবছর বন্ধ ছিল বিপিএল আয়োজন। আগের দুই আসরের সব দলকে বাদ দিয়ে ২০১৫ সালে নতুন উদ্যমে বিপিএল শুরু করে কর্তৃপক্ষ। বিপিএলে নতুনরূপ পেলেও সিলেটের ঘুণে ধরা ভাগ্য আর  বদলায়নি। নতুন নাম সিলেট সুপারস্টার্সের হয়ে খেলতে নামা সেই দলের অধিনায়কও ছিলেন মুশফিক। কিন্তু, পুনরাবৃত্তি হয়  অনেকটা ২০১২ সালের ফলাফল!  ৩ জয়ে তলানির চেয়ে একধাপ ওপরে থেকে পঞ্চম হয় তারা। মাঝপথে শহীদ আফ্রিদিকে অধিনায়ক করেও ঘোরানো যায়নি ভাগ্যের চাকা। 
২০১৬ সালের বিপিএলে সিলেট অংশই নেয়নি। ২০১৭ সালে পঞ্চম আসরে তৃতীয়বার পরিচয় বদলায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এবার সিলেট সিক্সার্স নামে আবির্ভূত হয়।  ঘরের মাঠে শুরু হওয়া আসরের প্রথম তিন ম্যাচেই জয় পেয়ে নাসির হোসেনের নেতৃত্বে বড়কিছু করার আভাস দিয়েছিল। কিন্তু এরপর হারতে হয় টানা ৬ ম্যাচ। ১২ ম্যাচে সাকুল্যে জয় ছিল ৪টি।  ২০১৫ সালের চেয়ে এক জয় বেশি হলেও পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানের্ কোনো পরিবর্তনব হয়নি। পঞ্চম স্থানেই ছিল তারা।

ঊনিশের আসরে চমক দেখিয়ে ডেভিড ওয়ার্নারকে দলে নেওয়ার পাশাপাশি করা হয় অধিনায়কও। কিন্তু, তাতেও আলোর মুখ দেখেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত যাওয়ার আগে সিলেটের জার্সিতে ৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন  ওয়ার্নার। এরপর  অধিনায়ক  করা হয়েছিল পাকিস্তানের সোহেল তানভীরকে। এবার জয় আসে আগের আসরের তুলনায় একটি  বেশি ৫টি। কিন্তু পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানের অবনমন ঘটে জায়গা হয়ে ছয়ে।

ক্ষণে ক্ষণে রূপ পাল্টানো বিপিএলের পরের আসর হয়েছিল মুজিববর্ষের উপলক্ষকে সামনে রেখে।  নাম দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু বিপিএল। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া সেই আসরটিকে পুরোপুরি ভুলে যেতে চাইবেন সমর্থকরা। একই রকমভাবে ২০২২ সালের আসরটিকেও তারা মনে রাখতে চাইবেনা। দুই আসরে মোসাদ্দেক হোসেন, রবি বোপারার নেতৃত্বেও সিলেট থান্ডার ও  সিলেট সানরাইজার্স নামে মাঠে নেমে মাত্র এক  জয় নিয়ে পরপর দুবারই থাকতে হয়েছিল তলানিতে।

অবশেষে ২০২৩ সালের আসরে নিজেদের নামের প্রতি কিছুটা সুবিচার করতে পেরেছিল সিলেট। নতুন মালিকানায় নাম হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরাফির নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো ফাইনালে পা রাখে দলটি। বহু বছরের হতাশাকে পেছনে ফেলে নতুন আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন সমর্থকরা। কিন্তু ফাইনালে পৌঁছালেও ফাঁকা থেকে যায় ট্রফি কেবিনেট। কুমিল্লাকে ১৭৬ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলেও প্রতিরোধ গড়তে পারেননি মাশরাফিরা। স্ট্রাইকার্সদের ৭ উইকেটের বড় পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ দিয়ে কুমিল্লা জিতে নেয় তাদের চতুর্থ বিপিএল শিরোপা।

অন্যান্য আসরের মতো সিলেট এবারও ব্যর্থ প্লে অফে পা রাখতে। পাঁচটি জয়ে আসর শেষ করা শান্ত-মিঠুনদের অবস্থান সাত দলের মাঝে চয়ে। আবার প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৬ষ্ঠ ম্যাচ পর্যন্ত। ঠিক কবে নাগাদ সিলেটের নাম বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে কিংবা ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে দেখা যাবে দলটির অধিনায়ককে সেই প্রশ্নই এখন ঘোরপাক খাচ্ছে চতুর্দিকে।

কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:৫০ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:৪১ পিএম
কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর
ছবি : সংগৃহীত

সবার আগে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখিয়েছে আর্জেন্টিনা। তবে নাম লেখালেও কোয়ার্টারে তাদের প্রতিপক্ষ নিশ্চিত হয়েছে আজ। নকআউটের সেই ম্যাচে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

নিয়ম অনুযায়ী ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপের খেলা হবে কোয়ার্টার ফাইনালে। আজ মেক্সিকোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে বি গ্রুপের রানার্সআপ হওয়ায় কোয়ার্টারে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হতে হবে ইকুয়েডরকে।

কোপা আমেরিকায় ইকুয়েডরের বিপক্ষে হারার ইতিহাস নেই আর্জেন্টিনার। এখন পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় একে-অপরের মুখোমুখি হয়েছে ১১ বার। যেখানে কোনো ম্যাচ হারেনি আর্জেন্টিনা। ৪টি ম্যাচ হয়েছে ড্র। আর সবমিলিয়ে ৪০ বারের দেখায় ২৬ জয় আর্জেন্টিনা আর ইকুয়েডরের ঝুলিতে মাত্র ৫ জয়।

সবশেষ আসরের কোপায় কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরকে পেয়ে ৩-০ গোলের জয়ের স্বাদ পায় লিওনেল মেসিরা। এবারও তাই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আর্জেন্টিনা। যদিও, চোট থেকে সেরে উঠে মেসি মাঠে নামবেন কিনা তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আগামী ৫ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা ও ইকুয়েডর।

সেই ক্যারিবীয় দ্বীপেই পরিপূর্ণ দ্রাবিড়

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
সেই ক্যারিবীয় দ্বীপেই পরিপূর্ণ দ্রাবিড়
ছবি : সংগৃহীত

রাহুল দ্রাবিড়, দ্য ওয়াল। ভারতীয় ক্রিকেটে পরিপূর্ণ এক অধ্যায়ের নাম!

ক্রিকেটার দ্রাবিড় তো বটেই, একজন মানুষ দ্রাবিড়ও যে কারও জন্য আদর্শিক ও অনুকরণীয় চরিত্র। আপনি সফল হতে চান? এজন দ্রাবিড়কে দেখুন, তার জীবন দর্শন মেনে চলুন। আর আপনি যদি ব্যর্থ হন, তাহলেও দ্রাবিড়কে দেখুন। খেলোয়াড় ও কোচিং ক্যারিয়ারে জীবনের জয়গানই রচনা করে গেছেন দ্রাবিড়। ক্রিকেট তাকে বঞ্চিত করেনি, জীবনও না।

হ্যাঁ, ক্রিকেট কিংবা জীবন, দুই জায়গাতেই উত্থান-পতন আছে। সাফল্য ব্যর্থতা আছে। কথায় বলে মানুষ শুধু সফলদেরই মনে রাখে। ভুলে যায় ব্যর্থদের। রাহুল দ্রাবিড় জীবনে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু নিজেকে ভুলতে দেননি কাউকে।

১৬ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে দ্রাবিড় যে সেবা দিয়ে গেছেন, ভারতীয় ক্রিকেট তা মনে রাখতে বাধ্য। আগ্রাসী কোনো পেসারের ১৫০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা বলও অবলীলায় ডিফেন্স করে দিতেন দ্রাবিড়। শান্ত-সৌম্য ভঙ্গিতেই প্রতিপক্ষকে ভেঙে চুরমার করতেন। দ্রাবিড়ের ডিফেন্স ভেদ করা ছিল যেকোনো বোলারের জন্য কঠিন। তাই তো তার আদুরে নাম হয়ে যায় ‘দ্য ওয়াল’। ওয়ানডে ও টেস্ট- দুই ফরম্যাটেই ১০ হাজারের বেশি রান করেছেন। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সফল এই ব্যাটারের একটা বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাওয়া হয়নি।

খুঁজলে এমন অনেককে পাওয়া যাবে, যারা খেলোয়াড় হিসেবে খুব সফল, কিন্তু বিশ্বকাপ জিততে পারেননি। দ্রাবিড়কে তাদের থেকে একটু আলাদাই বলতে হবে। কারণ বিশ্বকাপের সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম রূপটা বোধহয় তিনিই দেখেছেন। ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে ট্রফি জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে সোনালি ট্রফিতে হাতের পরশ বোলাতে পারেননি। ২০০৭ সালে পরের বিশ্বকাপ আসতে আসতে ভারতীয় দলের নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হয়েছিল দ্রাবিড়ের কাঁধে। ফেভারিট হিসেবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েছিল তার দল। কিন্তু প্রথমে বাংলাদেশ, পরে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গ্রুপ পর্বেই স্বপ্নের সলিলসমাধি ঘটেছিল দ্রাবিড়ের ভারতের। দেশটির খেলোয়াড়দের সেবার ফিরতে হয়েছিল রাতের অন্ধকারে পুলিশি প্রহরায়। পোর্ট অব স্পেনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর ভারতীয় ড্রেসিংরুমের বেশ কয়েকটি ছবি এখনো ব্যর্থতার মূর্ত প্রতীক হয়ে আছে। যেগুলোতে দ্রাবিড়ের থমথমে মুখ আর তার শূন্যে চাহনিটাই বলে দেয়, কতটা নিঃস্ব হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

১৭ বছর পর সেই ক্যারিবীয় সাগরপাড়েই এবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেলেন দ্রাবিড়। খেলোয়াড় নয়, কোচের ভূমিকায়। কিন্তু বিশ্বকাপ তো। যা দ্রাবিড়ের জন্য মরীচিকা হয়েই দাঁড়িয়েছিল! খেলোয়াড় হিসেবে যেমন, কোচ হিসেবেও। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় একজন দ্রাবিড়ের যেন বৃত্ত পূরণ। যে বৃত্ত সাফল্য-ব্যর্থতার গল্পে ভরা। পরশু বার্বাডোসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারত পায় রুদ্ধশ্বাস এক জয়। প্রোটিয়াদের দিকেই ঝুঁকে যাওয়া ম্যাচটা দারুণ নৈপুণ্যে নিজেদের দিকে টানেন হার্দিক পান্ডিয়া, জাসপ্রিত বুমরাহরা। ভারত যখন ফের ম্যাচটা নিজেদের মুঠোতে টানে, তখন রাহুল দ্রাবিড়ের উচ্ছ্বাসটা ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৭ বছরের ব্যবধানে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের ড্রেসিংরুমের ধরা পড়া রাহুল দ্রাবিড়কে পাশাপাশি বাঁধিয়ে রাখা যেতেই পারে। জীবনের কোনো এক জায়গায় যিনি চূড়ান্ত ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েননি। নিজের মেধাকে বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। পরিশ্রম, নিষ্ঠা আর সততার মধ্যে এগিয়ে চলেছেন। একদিন সবকিছু হারালেও ১৭ বছর পর ঠিক একই জায়গায় পরিপূর্ণ হলেন।

কোচ হিসেবে এই বিশ্বকাপ ট্রফির ছোঁয়াও কি আর খুব সহজে পেলেন দ্রাবিড়? ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার পর দীর্ঘ সময় ভারতের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৮ সালে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয় করে দ্রাবিড়ের কোচিংয়েই। কিন্তু ২০২১ সালে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে দু-দুবার বিশ্বকাপ জয়ের কাছে গিয়েও ব্যর্থ হন দ্রাবিড়। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারে তার দল। গত বছর ঘরের মাঠে হারে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই কোচ দ্রাবিড় বিদায়ের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ এবার না হলে হয়তো কখনোই হতো না। খেলোয়াড় ও কোচিং মিলিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছরের ক্যারিয়ারে একটা বিশ্বকাপ দীর্ঘশ্বাস হয়ে থাকতো দ্রাবিড়ের। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা তাই ট্রফি জয়ের পর বললেন, ‘আমাদের যে কারও চেয়ে ট্রফিটি তারই (দ্রাবিড়ের) বেশি প্রাপ্য ছিল বলে আমি মনে করি। গত ২০-২৫ বছর ধরে ভারতের ক্রিকেটের জন্য তিনি যা করেছেন, আমার মতে, তার অর্জনের ঝুলিতে এটিই শুধু বাকি ছিল।’ 

সত্যিই তাই। অর্জন আর প্রাপ্তিতে একজন দ্রাবিড় এখন পরিপূর্ণ।

ঘূর্ণিঝড়ে বার্বাডোসে আটকা ভারত দল

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১১:৩০ এএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ১১:৩০ এএম
ঘূর্ণিঝড়ে বার্বাডোসে আটকা ভারত দল
ছবি : সংগৃহীত

প্রায় দুই দিন হতে চললো ভারত ক্রিকেট দল শিরোপা খরা ঘুচিয়েছে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে। আসর শেষ হয়ে গেলেও দেশা ফেরা হয়নি রোহিত-কোহলিদের। যার মূল কারণ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে এখনও বার্বাডোসের ব্রিজটাউনে আটকা দলটি।

তাদের দেশে ফেরাতে এখন বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে সেটি কতটুকু কার্যকর হবে, নিশ্চিত নয় সেটিও।  

বার্তা সংস্থা এএফপির খবর অনুযায়ী, ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক ক্যাটাগরি ফোর বা চতুর্থ শ্রেণিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে ‘বেরিল’ নামক ঘূর্ণিঝড়টিকে। গতকাল যার সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩০ মাইল। আটলান্টিকে চতুর্থ শ্রেণির ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে এটিই বছরে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে এল। এর আগে জুন মাসে কখনোই এমন ঘূর্ণিঝড় হয়নি বলেও জানিয়েছে।’

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারত দলের ব্রিজটাউন ত্যাগ করার কথা ছিল সোমবার। সেখান থেকে প্রথমে নিউইয়র্ক। এরপর বাণিজ্যিক বিমানে মুম্বাই ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আপাতত সে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে না ঘূর্ণিঝড়ের কারণে।

ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ ভারতের দেশে ফেরা নিয়ে জানিয়েছে, বার্বাডোসের বিমানবন্দর খোলা থাকবে কি না, প্রাথমিকভাবে সেদিকে তাকিয়ে ছিল বিসিসিআই। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সে বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের বদলে দিল্লি পর্যন্ত সরাসরি চার্টার্ড ফ্লাইটের কথা ভাবছে বিসিসিআই। যদিও ভারতের স্কোয়াডের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও পরিবারের সদস্যদের মিলিয়ে ভারত দলের বহর ৭০ জনের। এতবড় বিমান বার্বাডোসে না থাকায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিমান আনার কথা ভারতের। তবে এর জন্য আগে সচল থাকতে হবে বার্বাডোসের বিমানবন্দর।

অভিষেক ও বিদায়ে বিশ্বজয়

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৯ এএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৯ এএম
অভিষেক ও বিদায়ে বিশ্বজয়
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বকাপের মঞ্চে শুরু। শেষটাও বিশ্বকাপে। ক্যারিয়ারের শুরুর সঙ্গে শেষের কী চমৎকার মিল! ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেটে যাত্রা শুরু ভারতের হিটম্যানখ্যাত ড্যাশিং ব্যাটার রোহিত শর্মার। পরশু সেই বিশ্বকাপের মঞ্চেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন। অনেক রেকর্ড আর সাফল্যের পঙক্তিমালা রচনা করে বিদায়ের জন্য বড় মঞ্চকেই বেছে নিয়েছেন রোহিত। চার-ছক্কার ধুন্ধুমার ক্রিকেটে ভারতের জার্সি গায়ে আর দেখা যাবে না তাকে। পরশু ব্রিজটাউনের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতকে বহুল আকাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ ট্রফি জিতিয়ে রণে ভঙ্গ দেন তিনি।

২০০৭ সালের পর টি-টোয়েন্টিতে আবারও শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়ল ভারত। এই ট্রফি জয়ের সঙ্গেও রয়েছে রোহিতের যোগসূত্র। ২০০৭ সালে ভারত যখন প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়, ওই দলের কনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন রোহিত। ১৭ বছর পর ভারতের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফিজয়ী দলেও আছেন। তবে এবার আর কনিষ্ঠ হিসেবে নয়। দলের গুরুত্বপূর্ণ জ্যেষ্ঠ সদস্য, অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ট্রফি উপহার দিলেন হিটম্যান। বলতে গেলে, বিশ্বকাপ জিতে শুরু হয়েছিল টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার, থামলেনও বিশ্বকাপ জিতে।

এমন একজন ক্রিকেটারের বিদায়ে ব্যথিত তার ভক্তরা। ট্রফি জয়ের আনন্দের পাশাপাশি রোহিতের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছাড়ার কষ্টে কাতর দলীয় সমর্থকরা। বিদায়বেলায় কষ্ট ছুঁয়েছে রোহিতকেও। তবে আবেগকে সংবরণ করে ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেষে রোহিত বলেছেন, ‘এটি আমার শেষ ম্যাচ। এই ফরম্যাটকে বিদায় বলার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারে না। আমি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছি। এই ফরম্যাটেই আমার ভারতীয় দলে ক্যারিয়ার শুরু। ভারত বিশ্বকাপে ট্রফি জিতুক, এটি আমি খুব করে চাইছিলাম। বলতে গেলে ভীষণভাবে। আমার জন্য ট্রফি জয়ের মুহূর্তটি খুবই আবেগী এক মুহূর্ত। জীবনে এই শিরোপাটি যেভাবেই হোক পেতে চেয়েছিলাম। আমরা সেটি পেরেছি। খুব খুশি লাগছে।’

ভারতীয় কিংবদন্তি কপিল দেব, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের পাশে নিজের নাম যোগ করলেন রোহিত শর্মা। ১৯৮৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়ে ভারত। ওই বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেন কপিল দেব। এরপর ২০০৭ টি-টোয়েন্টি এবং ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ভারত জেতে ধোনির নেতৃত্বে। ২০২৪ সালে বৈশ্বিক ট্রফি জয়ে আবারও নাম লেখাল ভারত। এবার রোহিতের নেতৃত্বে এবং তার অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। মাঝে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেশ কয়েকবার ফাইনালে উঠেও ট্রফি জিততে পারেনি ভারত। এমনকি গত বছর ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি থেকে বঞ্চিত হয়। ওই আসরেও ভারতের নেতৃত্বভার ছিল এই রোহিত শর্মারই কাঁধে।

একজন সফল অধিনায়ক হিসেবে ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে আমৃত্যু নাম লেখা থাকবে রোহিত শর্মার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসেও সফল ব্যাটার হিসেবে অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে উচ্চারিত হবে তার নাম। ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেটে অনেক রেকর্ডের মালিক তিনি। ভারতের জার্সিতে ১৫৯ ম্যাচে ১৫১ ইনিংসে ৩২.০৫ গড়ে মোট ৪ হাজার ২৩১ রান সংগ্রহ করেছেন। যাতে সেঞ্চুরি ছিল ৫টি, হাফ সেঞ্চুরির সংখ্যা ৩৭। স্ট্রাইক রেট ১৪০.৮৯। ঝলমলে এক ক্যারিয়ার। টি-টোয়েন্টিতে রোহিত শুধু ভারতের পক্ষেই সর্বোচ্চ রান কিংবা সর্বাধিক ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়েননি; বিশ্ব ক্রিকেটে এই দুটি রেকর্ড কিন্তু তারই দখলে। এ ছাড়া রোহিত শর্মা এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক (৫টি)। ৩৭টি হাফ সেঞ্চুরি নামের পাশে যোগ করেছেন; যা বিশ্বে ক্রিকেটে চার মারের দিক থেকে তাকে তিনে বসিয়েছে। হিটম্যান রোহিত ছক্কা হাঁকাতে দারুণ পটু। ক্যারিয়ারে মোট ২০৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। বিশ্বে আর কোনো ক্রিকেটার এত ছক্কা হাঁকাতে পারেননি।

রেকর্ডের বরপুত্র রোহিত শর্মার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার নামটা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে। প্রোটিয়াদের মাটিতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে ডারবানে। তবে ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করার সুযোগ পাননি। গৌতম গম্ভীর, বীরেন্দ্র শেহবাগ, যুবরাজ সিং, রবীন উথাপ্পা, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের মতো হার্ডহিটার ব্যাটারদের কারণে ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে ব্যাট করা হয়নি। তবে পরদিনই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপ্ক্ষে সুযোগ পেয়ে যান। আর প্রথম সুযোগেই অপরাজিত ৫০ রান করে বিশ্ববাসীকে নিজের আগমনী বার্তাটা দিয়ে রাখেন। এরপর গত ১৭ বছরে রোহিত ভারতের জার্সিতে কী করেছেন ব্যাট হাতে, সেটা তো সবারই জানা।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ক্যারিয়ার শুরু রোহিতের। কাকতালীয়ভাবে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচেও প্রতিপক্ষ ছিল ওই আফ্রিকাই। এবারও জয় রোহিতদের। ফাইনাল ম্যাচে। বিশ্বকাপ মঞ্চে। কিংবদন্তিরা বোঝেন কোথায় কী করতে হয়? কোথায় ইতি টানতে হয়! বড় মঞ্চে বড় সাফল্যে দলকে রাঙিয়ে কিংবদন্তি রোহিতও বলে দিলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি আর নয়।

রোহিত-কোহলির পর থামলেন জাদেজাও

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
রোহিত-কোহলির পর থামলেন জাদেজাও
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বকাপ জেতার পর ম্যান অব দ্যা ফাইনালের পুরস্কার গ্রহণ করতে এসে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন বিরাট কোহলি। শিরোপা উদযাপন শেষে সংবাদ সম্মেলনে রোহিত শর্মাও জানান অবসরের সিদ্ধান্তের কথা। পুরোপুরি একদিন না পেরোতেই এবার অবসরের ঘোষণা দিলেন ভারতের আরেক ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা।

রবিবার (৩০ জুন) ইনস্টাগ্রামে অবসরের ঘোষণা দেন জাদেজা। ভারতের হয়ে ৩৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার খেলেছেন ৭৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

অবসর বার্তায় জাদেজা লিখেছেন, ‘কৃতজ্ঞ হৃদয়ে আমি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানাচ্ছি। গৌরবের সঙ্গে দ্রুতবেগে ছুটে চলা ঘোড়ার মতো আমি সব সময়ই দেশের জন্য সেরাটা দিয়েছি এবং অন্যান্য সংস্করণে সেটা করে যাব। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ অর্জন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যেটা জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সব স্মৃতি, উল্লাস আর বিরামহীন সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।’

নিজের শেষ বিশ্বকাপটায় খুব একটা ভালো করতে পারেননি জাদেজা। সবমিলিয়ে ৫ ইনিংসে ব্যাট হাতে করেন ৩৫ রান। বল হাতেও ছিলেন সাদামাটা। শিকার করেছেন মাত্র ১টি উইকেট।

ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৭৪ ম্যাচে ৪১ ইনিংসে ব্যাট করে ১২৭.১৬ স্ট্রাইক রেটে ৫১৫ রান করেছেন জাদেজা। আর ৭১ ইনিংসে বল হাতে নিয়ে ৭.১৩ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৫৪ উইকেট।