ঢাকা ১ শ্রাবণ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়তে কাজ করছে সরকার: নৌপ্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়তে কাজ করছে সরকার: নৌপ্রতিমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

বর্তমান সরকার নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। 

মঙ্গলবার (৪ জুন) শিশু একাডেমি মিলনায়তনে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশপ্রেম না থাকলে, দেশের জন্য কাজ না করলে এগিয়ে যাওয়া যায় না। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট এর পর সবকিছু হারিয়ে যেতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধু একটি প্রদেশকে (স্বাধীন বাংলাদেশকে) রাষ্ট্রমর্যাদা, শাসনব্যবস্থা দিয়েছেন। দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত  করেছেন। জিডিপিতে ৯ ভাগ অগ্রগতি ছিল। লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা হয়েছে। এরপর কী পেলাম? ৭৫ পরবর্তী সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে ফেলেছিল। ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করেছিল। ১৫ আগস্ট এর পর বুড়িগঙ্গাসহ নদ-নদী, খাল-বিল সবকিছু দূষিত করা হয়েছে। মানুষকে স্বাধীনতার সুখ দিতে পারেনি। কারণ বাংলাদেশকে তুলে দেওয়া হয়েছিল অপরাধীদের হাতে। ৭৫ এর পর নদ-নদী নিয়ে কোনো সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান কথা বলেনি।’ 

তিনি বলেন, ‘১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীর নাব্যতা, দখল ও দূষণমুক্ত রাখার কথা বলেছেন। ২০১৯ সালে নদীতীরের অবৈধ, দখলমুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। কোভিডের কারণে এগিয়ে যেতে পারিনি। ম্যানমেইড বর্জ্য, শিল্প-কারখানার বর্জ্য দূষণমুক্ত করতে কাজ করছি। দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্মত জাহাজ তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশ ভিজিট করে গেছেন। তিনি অভিভূত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছেন- এটা বড় অর্জন।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘২০১৯ সালে নদী দখলমুক্ত করার অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহস দিয়েছেন। আমরা সফল হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী নদী নিয়ে ভাবেন। নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করার কথা বলেন। যদি নদী-নালা শুকিয়ে যায় তাহলে দেশের প্রাণ থেমে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর দেশপ্রেম আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। নৌপথ খননে বঙ্গবন্ধুর সময়ে সংগৃহীত সাতটি ড্রেজারের পর ২০০৮ সাল পর্যন্ত কোনো সরকার ড্রেজার সংগ্রহ করেনি। আওয়ামী লীগ গত তিন মেয়াদে ৪০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে। আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। নদী দূষণমুক্ত করতে গ্র্যাপ ড্রেজার, হোপার ড্রেজার সংগ্রহের টেন্ডার চলমান রয়েছে। সচেতনতা তৈরি করছি।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব স্বাধীনতার সুখ পৌঁছে দেওয়া। তা না হলে- স্বাধীনতাবিরোধীরা বলতে পারে ১৯৭১-এ ভুল হয়েছে। আমরা সেটি হতে দেব না। স্বাধীনতার সুখ পাচ্ছি। মানুষ অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান ও চিকিৎসা পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেছেন। আমরা অঙ্গীকার করছি ২০৪১ সালের আগেই দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান করতে পারি তাহলেই এই দিবস পালনের স্বার্থকতা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান এ লক্ষ্যে আমরা এখনো পৌঁছতে পারি নাই। কিছুটা ঘাটতি, দুর্বলতা রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারব ততদিন আমরা ‘দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রাখবে অবদান’ এ প্রতিপাদ্যটি ব্যবহার করব। বিশ্বের অনেক বড় বড় নদী- টেমস, হাইমস, রাইন, হান নদী একসময় দূষিত ছিল; এখন সেখানকার পানি পান করা যায়।” 

তিনি জানান, বিশিষ্ট পানি সম্পদ বিশেষজ্ঞ ড. আইনুল নিশাত বলেছেন, ‘একসময় তারা বুড়িগঙ্গার পানি পান করেছেন।’

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুর্ঘটনামুক্ত নৌ চলাচল ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২৪’ পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রাখবে অবদান’।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মতিউর রহমান, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাপ) সংস্থার সাবেক প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু, সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন বীরবিক্রম, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপিত খন্দকার মশিউজ্জামান (রোমেল), বাংলাদেশ কোস্টাল শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মেহবুব কবির, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহাআলম ও বাংলাদেশ নৌ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর বেপারী।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার মনজুরুল কবীর। বিজ্ঞপ্তি

সালমান/

আদালতকে পাশ কাটিয়ে কোটা নিয়ে কিছুই করবে না সরকার: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
আদালতকে পাশ কাটিয়ে কোটা নিয়ে কিছুই করবে না সরকার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

‘কোটা সংস্কার নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে কোনো কিছুই করবে না সরকার। আদালতে যখন একটি বিষয় যায়, তখন সরকার অপেক্ষা করে আদালত কী বলেন, তারপর সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার সময় হয়। তাই কোটার বিষয়ে সরকার আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এবং সর্বোচ্চ আদালতকে সম্মান করবে। কোটার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দেবেন, সরকার সেটা বিবেচনা করবে।’

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘বিচারহীনতায় বাংলাদেশ: বেআইনি আইন ইনডেমনিটি ও কারারুদ্ধ জননেত্রী’ শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেন। এরপর কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে মামলা করেন। এখন যারা কোটা আন্দোলন করছেন, তারা তো হাইকোর্টে যাননি। হঠাৎ এক দিন যখন হাইকোর্টের রায়ের কথা পত্রিকায় বের হয়েছে, তখন তারা আন্দোলনে নেমে পড়েছেন। পরে তারা হাইকোর্টে না গিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদকারী ছাত্রছাত্রীরা চাইলে আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের বক্তব্য আদালতের সামনে তুলে ধরতে পারেন।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন, তারা যদি আমি কে, তুমি কে? আমরা বাঙালি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলতেন তাহলে আমি অবশ্যই বলতাম তারা সঠিক পথে আছেন। যৌক্তিক কথা জননেত্রী শেখ হাসিনা শুনবেন। জনগণের জন্য যেটা ভালো হয়, প্রধানমন্ত্রী সেটা করবেন। কিন্তু সরকার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবে না।’

তিনি বলেন, ‘ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি করেছে। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাংলাদেশে বিচারহীনতার জন্ম দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করে দেওয়ার হাতিয়ার হয়েছিল। এই অধ্যাদেশ জন্ম দিয়েছিল বাংলাদেশে রাজাকার, আলবদর এবং নিজামী-মুজাহিদরাই থাকবে, মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন না। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর এই অর্ডিন্যান্স বাতিল করে প্রমাণ করে দেন, বাংলাদেশের জনগণ এই অর্ডিন্যান্স সহ্য করবে না।’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য তারানা হালিম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, বঙ্গবন্ধু গবেষক হাফিজুর রহমান ও সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ।

বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নেবে জাপান : প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৬ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৬ পিএম
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নেবে জাপান : প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত

জাপান বিভিন্ন খাতে দক্ষ জনবল নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাপানের বিভিন্ন খাত, বিশেষ করে কেয়ার গিভিং, কৃষি খাতসহ অন্যান্য খাতে প্রচুর দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য রাষ্ট্রদূত জাপানি ভাষা শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন। আমরাও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) জাপানি ভাষা ও কারিগরি জ্ঞানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ কর্মীদের জাপানে নিয়োগ দিতে আমাদের প্রস্তুতির কথা বলেছি।’ 

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টিটিসিগুলোতে যুগোপযোগী ও আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রশিক্ষকদের জাপানি ভাষায় দক্ষ করতে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। আধুনিক যন্ত্রপাতির ও ভালোমানের ভাষা প্রশিক্ষকদের সমন্বয় আমরা আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো দ্রুত সময়ে ঢেলে সাজাতে সক্ষম হব।’

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলমসহ অন্যরা।

রেলপথ অবরোধ চার স্টেশনে আটকা ১০ ট্রেন, ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৩ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৩ পিএম
চার স্টেশনে আটকা ১০ ট্রেন, ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধে ঢাকার ৪টি স্টেশনে ১০টি ট্রেন আটকে পড়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা দুইটার দিকে রাজধানীর মহাখালী এলাকায় রেলপথ অবরোধ করেন।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শাহাদাৎ হোসেন জানান, ওই অবরোধের পরে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে স্টেশনে রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, তেজগাঁও স্টেশনে ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটের বনলতা এক্সপ্রেস, বিমানবন্দর স্টেশনে মোহনগঞ্জগামী হাওর এক্সপ্রেস আটকে পড়েছে। 

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাহাদাৎ হোসেন জানান, রাজধানী থেকে বের হওয়ার পথে বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন আটকে পড়ায় প্রভাব পড়েছে কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনেও। স্টেশনটিতে রাজশাহী কমিউটার, চট্টলা এক্সপ্রেস, সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস, জামালপুর কমিউটার, সুবর্ণ এক্সপ্রেসসহ ছয়টি ট্রেন আটকে পড়েছে।

জয়ন্ত/এমএ/

আন্দোলনকারীদের মারধরে আহত ঢাবি সহকারী প্রক্টর

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৫ পিএম
আন্দোলনকারীদের মারধরে আহত ঢাবি সহকারী প্রক্টর
ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের হামলায় আহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবদুল মুহিত। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা চিকিৎসাকেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তাকে রিকশায় করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। 

ক্যাম্পাস থেকে বহিরাগতদের সরে যেতে টিএসসি এলাকায় মাইকিং করে প্রক্টরিয়াল বডি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে যাওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। শিক্ষার্থীরা তাদের লক্ষ্য করে 'ভুয়া ভুয়া' বলে স্লোগান দেন এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

রাজু/এমএ/

ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে নিহত ১

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:০২ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:০২ পিএম
ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে নিহত ১
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

রাজধানীর ঢাকা কলেজের বিপরীত পাশে সংঘর্ষে অজ্ঞাতনামা এক যুবক (২৫) নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে এক পথচারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গুরুতর আহত অবস্থায় এক যুবককে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার কানের নিচে ও মুখের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই পথচারী তার নাম পরিচয় বলতে পারেননি।’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

খাজা/সালমান/